রোকেয়া হায়দার নারী সাংবাদিকতার অনুপ্রেরণা :- সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা
ভয়েস
অব আমেরিকায় গৌরবময় ৩৭ বছরের জন্য রোকেয়া হায়দারকে সংবর্ধনা দিয়েছেন
ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ভিওএ ফ্যান ক্লাবস, বাংলাদেশ। গতকাল জাতীয় প্রেস
ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এ উপলক্ষে সংগঠনটির উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, রোকেয়া হায়দার নারী সাংবাদিকতার অনুপ্রেরণা। তার
কর্মজীবন আমাদের সাহস জোগায়। পুরুষশাসিত এই সমাজে একজন রোকেয়া হায়দার হয়ে
ওঠার পেছনে তাকে সাহস, মেধা, সময়, শ্রম ব্যয় করতে হয়েছে। একদিনে রোকেয়া
হায়দার হয়ে উঠেননি। এখনো তরুণের মতো কাজ করছেন। তিনি অনন্য। বিশ্বের
বিভিন্ন দেশে সংবাদ সংগ্রহে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
তিনি শুধু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কর্মীই নয়; তিনি একজন সংগঠক, একজন মমতাময়ী সাধারণ মানুষ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে রোকেয়া হায়দার বলেন, শুরু থেকেই সঠিক তথ্যের আদর্শ নিয়ে ভয়েস অব আমেরিকা এগিয়ে যাচ্ছে।
পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে সঠিক সংবাদের জন্য ছুটে যায় ভয়েস অব আমেরিকা। মানুষের প্রয়োজনে পাশে থাকে এই গণমাধ্যমটি। শ্রোতাদের বক্তব্য সম্বন্ধে তিনি বলেন, সঠিক খবর শোনার জন্য ভয়েস অব আমেরিকা শুনেন, এটাই আমাদের গর্ব। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকাস্থ আমেরিকান সেন্টারের পাবলিক অ্যাফিয়ার্স অফিসার অ্যান্ড ডিরেক্টর আরলিসা রেনল্ডস বলেন, রোকেয়া হায়দারের কর্মময় জীবন শুনে গর্ববোধ করছি। তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করে এগিয়ে যাচ্ছেন। এটি চমৎকার বিষয়। ভয়েস অব আমেরিকা সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সাহসের সঙ্গে ভয়েস অব আমেরিকার কাজ করার জন্য প্রশংসা করেন এই কর্মকর্তা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, রোকেয়া হায়দার নারী সাংবাদিকতার অনুপ্রেরণা। তার কর্মজীবন আমাদের সাহস জোগায়। পুরুষশাসিত এই সমাজে একজন রোকেয়া হায়দার হয়ে ওঠার পেছনে তাকে সাহস, মেধা, সময়, শ্রম ব্যয় করতে হয়েছে। একদিনে রোকেয়া হায়দার হয়ে উঠেননি। এখনো তরুণের মতো কাজ করছেন। তিনি অনন্য। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংবাদ সংগ্রহে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি শুধু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কর্মীই নন; তিনি একজন সংগঠক, একজন মমতাময়ী সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, যশোরের মেয়ে হলেও বাবার কর্মসূত্রে জন্ম ও বেড়ে ওঠা কোলকাতায়। সেন্ট জন্স বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু। ইডেন কলেজে পড়াশোনা করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স। ১৯৬৮ সালে চট্টগ্রাম বেতারে নিয়মিত অনুষ্ঠান ঘোষিকা হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৪ সালে পেশাদার সাংবাদিকতা শুরু করেন। তখন থেকেই ঢাকা বেতার ও টিভিতে নিয়মিত খবর পড়তেন। ১৯৮১ সালে বিশ্ববিখ্যাত ভয়েস অব আমেরিকার আমন্ত্রণে ওয়াশিংটন ডিসিতে চলে যান। সেই থেকে পুরোদস্তুর সাংবাদিক বনে যান। ২০১১ সাল থেকে ভিওএ বাংলা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের বাংলা বিভাগে তিনিই প্রথম মহিলা। তিনি সাংবাদিকতার কর্মব্যস্ততার মাঝেও বিভিন্ন সমাজসবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। খেলাধুলা পছন্দ করেন। বেশ কয়েকটি অলিম্পিক, বিশ্বকাপ ফুটবলের খবর সরাসরি মাঠ থেকে সংগ্রহ ও সরবরাহ করেছেন। এছাড়া মাদার তেরেসার মতো মহীয়সী নারীসহ অসংখ্য মনীষীর সাক্ষাৎকারও নিয়েছেন। ৩৭ বছরের পেশাগত দায়িত্ব পালনে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য আমেরিকার অত্যন্ত সম্মানের ‘অল স্টার অ্যাওয়ার্ড’ রোকেয়া হায়দারের ঝুড়িতে এসেছে। এছাড়া কাজের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য পুরস্কার তিনি পেয়েছেন।
ফ্যান সদস্য ও প্রতিনিধি জহিরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ আমেরিকান দূতাবাসের প্রেস চিফ মো. মাহবুবুর রহমান, ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ভিওএ ফ্যান ক্লাবস সদস্য মো. আব্দুল্লাহ, যুবরাজ চৌধুরী, ইব্রাহিম জামান, মনিরুজ্জামান মিলন, জামিল আহমেদ, নাসরিন হুদা বিথি, হালিম সরকার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের গৌরবময় ৬০ বছর অতিক্রম করার জন্য মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
তিনি শুধু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কর্মীই নয়; তিনি একজন সংগঠক, একজন মমতাময়ী সাধারণ মানুষ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে রোকেয়া হায়দার বলেন, শুরু থেকেই সঠিক তথ্যের আদর্শ নিয়ে ভয়েস অব আমেরিকা এগিয়ে যাচ্ছে।
পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে সঠিক সংবাদের জন্য ছুটে যায় ভয়েস অব আমেরিকা। মানুষের প্রয়োজনে পাশে থাকে এই গণমাধ্যমটি। শ্রোতাদের বক্তব্য সম্বন্ধে তিনি বলেন, সঠিক খবর শোনার জন্য ভয়েস অব আমেরিকা শুনেন, এটাই আমাদের গর্ব। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকাস্থ আমেরিকান সেন্টারের পাবলিক অ্যাফিয়ার্স অফিসার অ্যান্ড ডিরেক্টর আরলিসা রেনল্ডস বলেন, রোকেয়া হায়দারের কর্মময় জীবন শুনে গর্ববোধ করছি। তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করে এগিয়ে যাচ্ছেন। এটি চমৎকার বিষয়। ভয়েস অব আমেরিকা সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সাহসের সঙ্গে ভয়েস অব আমেরিকার কাজ করার জন্য প্রশংসা করেন এই কর্মকর্তা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, রোকেয়া হায়দার নারী সাংবাদিকতার অনুপ্রেরণা। তার কর্মজীবন আমাদের সাহস জোগায়। পুরুষশাসিত এই সমাজে একজন রোকেয়া হায়দার হয়ে ওঠার পেছনে তাকে সাহস, মেধা, সময়, শ্রম ব্যয় করতে হয়েছে। একদিনে রোকেয়া হায়দার হয়ে উঠেননি। এখনো তরুণের মতো কাজ করছেন। তিনি অনন্য। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংবাদ সংগ্রহে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি শুধু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কর্মীই নন; তিনি একজন সংগঠক, একজন মমতাময়ী সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, যশোরের মেয়ে হলেও বাবার কর্মসূত্রে জন্ম ও বেড়ে ওঠা কোলকাতায়। সেন্ট জন্স বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু। ইডেন কলেজে পড়াশোনা করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স। ১৯৬৮ সালে চট্টগ্রাম বেতারে নিয়মিত অনুষ্ঠান ঘোষিকা হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৪ সালে পেশাদার সাংবাদিকতা শুরু করেন। তখন থেকেই ঢাকা বেতার ও টিভিতে নিয়মিত খবর পড়তেন। ১৯৮১ সালে বিশ্ববিখ্যাত ভয়েস অব আমেরিকার আমন্ত্রণে ওয়াশিংটন ডিসিতে চলে যান। সেই থেকে পুরোদস্তুর সাংবাদিক বনে যান। ২০১১ সাল থেকে ভিওএ বাংলা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের বাংলা বিভাগে তিনিই প্রথম মহিলা। তিনি সাংবাদিকতার কর্মব্যস্ততার মাঝেও বিভিন্ন সমাজসবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। খেলাধুলা পছন্দ করেন। বেশ কয়েকটি অলিম্পিক, বিশ্বকাপ ফুটবলের খবর সরাসরি মাঠ থেকে সংগ্রহ ও সরবরাহ করেছেন। এছাড়া মাদার তেরেসার মতো মহীয়সী নারীসহ অসংখ্য মনীষীর সাক্ষাৎকারও নিয়েছেন। ৩৭ বছরের পেশাগত দায়িত্ব পালনে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য আমেরিকার অত্যন্ত সম্মানের ‘অল স্টার অ্যাওয়ার্ড’ রোকেয়া হায়দারের ঝুড়িতে এসেছে। এছাড়া কাজের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য পুরস্কার তিনি পেয়েছেন।
ফ্যান সদস্য ও প্রতিনিধি জহিরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ আমেরিকান দূতাবাসের প্রেস চিফ মো. মাহবুবুর রহমান, ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ভিওএ ফ্যান ক্লাবস সদস্য মো. আব্দুল্লাহ, যুবরাজ চৌধুরী, ইব্রাহিম জামান, মনিরুজ্জামান মিলন, জামিল আহমেদ, নাসরিন হুদা বিথি, হালিম সরকার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের গৌরবময় ৬০ বছর অতিক্রম করার জন্য মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
No comments