চেয়ারম্যান ছাড়া যুবলীগের বৈঠক আনিস বহিষ্কার
সংগঠনের
সার্বিক পরিস্থিতি ও সপ্তম জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান ওমর
ফারুক চৌধুরীকে ছাড়াই যুবলীগের প্রেসিডিয়াম বৈঠক হয়েছে। গতকাল শুক্রবার
সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ
সম্পাদক হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে বৈঠকে দুর্নীতির অভিযোগে দপ্তর সম্পাদক
কাজী আনিসুর রহমানকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রেসিডিয়াম সদস্য
শেখ আতিয়ার রহমান দীপু সাংবাদিকদের বলেন, কাজী আনিসের ব্যপারে একটি
সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রেসিডিয়ামের সর্বসম্মতিক্রমে একমত পোষণ করেছে কাজী
আনিসকে বহিস্কার করার জন্য।
সেই আলোকে কাজী আনিসকে আমরা বহিস্কার করেছি। সম্মেলনকে সামনে রেখে দপ্তরের দায়িত্বে ভারপ্রাপ্ত কাউকে দেয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। কি কারণে কাজী আনিসকে বহিস্কার করা হয়েছে জানতে চাইলে যুবলীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক এ বি এম আমজাদ হোসেন বলেন, কাজী আনিস যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক। তার দূর্নীতির কথা আমরা পত্র পত্রিকায় দেখেছি এবং অর্থ তছরূপের কারণে তাকে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। রাজধানীতে যুবলীগের নেতাদের নেতৃত্বে ক্যাসিনো ব্যবসা চলছে।
এ নিয়ে অভিযান শুরু হওয়ার পরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সরব হন সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। অভিযোগ আসার পরেই পিয়ন থেকে দপ্তর সম্পাদক হওয়া কাজী আনিস আত্মগোপনে চলে যান। এখন পর্যন্ত তাকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে ব্যাংক হিসাব তলব ও অনুমতি ছাড়া বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর থেকে প্রকাশ্যে আসছেন না যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। যোগ দিচ্ছেন না সাংগঠনিক কোন কর্মকান্ডে। তবে গত ৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে তাকে গণভবনে দেখা গেছে। এরপর থেকেই তিনি বাহিরে তেমন আসেন না। নিজের ধানমন্ডির বাসভবনেই আছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
প্রেসিডিয়াম বৈঠকে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ আতিয়ার রহমান দিপু সাংবাদিকদের বলেন, চেয়ারম্যানের অনুমতি এবং নির্দেশেই এই সভা হয়েছে। তবে তিনি কেন আসেননি সে বিষয়টি জানা নেই। হয়তো অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি। উনি কোথায় আছেন আমরা কেউই জানি না। সংগঠনের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর বিষয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, এতে করে তিনি কি এ পদে থাকার বিষয়ে নৈতিকতা হারিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দিপু বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যানের পদের বিষয়ে একমাত্র সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার। যুবলীগের চেয়ারম্যনের পদটার মালিক কিন্তু আমরা না, পদ দেয়ার মালিক যিনি, তিনিই বিষয়টি বলতে পারবেন। আর যাদের বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিষয়েও তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব কে করবেন জানতে চাইলে অধ্যাপক এ বি এম আমজাদ হোসেন বলেন, এর দায় দায়িত্ব সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। উনি যেভাবে বলবেন সেভাবেই হবে। এদিকে সর্বশেষ গত ২০ সেপ্টেম্বর উত্তরায় সংগঠনের একটি ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলনে দেখা গিয়েছিল ওমর ফারুক চৌধুরীকে। এরপর থেকে ২১ দিন ধরে তার দেখা পাচ্ছেন না নেতা-কর্মীরা। গত বুধবার যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত হওয়ার পর নেতা-কর্মীদের অনেকে ধারণা করেছিলেন, তিনি সংগঠনের কার্যালয়ে আসবেন। তবে গতকাল প্রেসিডেয়াম বৈঠক উপলক্ষ্যে দিনভর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অসংখ্য নেতা-কর্মী অপেক্ষা করেও তার দেখা পাননি। ফোনেও তাকে পাচ্ছেন না তারা। ব্যাংক হিসাব তলব ও অনুমতি ছাড়া বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আসার পর ওমর ফারুক চৌধুরী প্রকাশ্যে আসছেন না। প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শহিদ সেরনিয়াবাত, শেখ শামসুল আবেদীন, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মজিবুর রহমান চৌধুরী, ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আবদুস সাত্তার মাসুদ, আতাউর রহমান, বেলাল হোসাইন, আবুল বাশার, মোহাম্মদ আলী খোকন, অধ্যাপক এবি এম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, নিখিল গুহ, শাহজাহান ভুইয়া মাখন, মোখলেছুজ্জামান হিরু, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু।
সেই আলোকে কাজী আনিসকে আমরা বহিস্কার করেছি। সম্মেলনকে সামনে রেখে দপ্তরের দায়িত্বে ভারপ্রাপ্ত কাউকে দেয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। কি কারণে কাজী আনিসকে বহিস্কার করা হয়েছে জানতে চাইলে যুবলীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক এ বি এম আমজাদ হোসেন বলেন, কাজী আনিস যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক। তার দূর্নীতির কথা আমরা পত্র পত্রিকায় দেখেছি এবং অর্থ তছরূপের কারণে তাকে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। রাজধানীতে যুবলীগের নেতাদের নেতৃত্বে ক্যাসিনো ব্যবসা চলছে।
এ নিয়ে অভিযান শুরু হওয়ার পরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সরব হন সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। অভিযোগ আসার পরেই পিয়ন থেকে দপ্তর সম্পাদক হওয়া কাজী আনিস আত্মগোপনে চলে যান। এখন পর্যন্ত তাকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে ব্যাংক হিসাব তলব ও অনুমতি ছাড়া বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর থেকে প্রকাশ্যে আসছেন না যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। যোগ দিচ্ছেন না সাংগঠনিক কোন কর্মকান্ডে। তবে গত ৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে তাকে গণভবনে দেখা গেছে। এরপর থেকেই তিনি বাহিরে তেমন আসেন না। নিজের ধানমন্ডির বাসভবনেই আছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
প্রেসিডিয়াম বৈঠকে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ আতিয়ার রহমান দিপু সাংবাদিকদের বলেন, চেয়ারম্যানের অনুমতি এবং নির্দেশেই এই সভা হয়েছে। তবে তিনি কেন আসেননি সে বিষয়টি জানা নেই। হয়তো অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি। উনি কোথায় আছেন আমরা কেউই জানি না। সংগঠনের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর বিষয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, এতে করে তিনি কি এ পদে থাকার বিষয়ে নৈতিকতা হারিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দিপু বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যানের পদের বিষয়ে একমাত্র সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার। যুবলীগের চেয়ারম্যনের পদটার মালিক কিন্তু আমরা না, পদ দেয়ার মালিক যিনি, তিনিই বিষয়টি বলতে পারবেন। আর যাদের বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিষয়েও তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব কে করবেন জানতে চাইলে অধ্যাপক এ বি এম আমজাদ হোসেন বলেন, এর দায় দায়িত্ব সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। উনি যেভাবে বলবেন সেভাবেই হবে। এদিকে সর্বশেষ গত ২০ সেপ্টেম্বর উত্তরায় সংগঠনের একটি ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলনে দেখা গিয়েছিল ওমর ফারুক চৌধুরীকে। এরপর থেকে ২১ দিন ধরে তার দেখা পাচ্ছেন না নেতা-কর্মীরা। গত বুধবার যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত হওয়ার পর নেতা-কর্মীদের অনেকে ধারণা করেছিলেন, তিনি সংগঠনের কার্যালয়ে আসবেন। তবে গতকাল প্রেসিডেয়াম বৈঠক উপলক্ষ্যে দিনভর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অসংখ্য নেতা-কর্মী অপেক্ষা করেও তার দেখা পাননি। ফোনেও তাকে পাচ্ছেন না তারা। ব্যাংক হিসাব তলব ও অনুমতি ছাড়া বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আসার পর ওমর ফারুক চৌধুরী প্রকাশ্যে আসছেন না। প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শহিদ সেরনিয়াবাত, শেখ শামসুল আবেদীন, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মজিবুর রহমান চৌধুরী, ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আবদুস সাত্তার মাসুদ, আতাউর রহমান, বেলাল হোসাইন, আবুল বাশার, মোহাম্মদ আলী খোকন, অধ্যাপক এবি এম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, নিখিল গুহ, শাহজাহান ভুইয়া মাখন, মোখলেছুজ্জামান হিরু, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু।
No comments