প্রভাষকের স্ত্রীর সঙ্গে অধ্যক্ষের পরকীয়া, চাকরি গেল দু’জনের by জাবেদ রহিম বিজন
প্রভাষকের
স্ত্রীর সঙ্গে অধ্যক্ষের পরকীয়ার জেরে চাকরি হারালেন দু’জনই। এ ঘটনায়
দু’দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড
কলেজে। পরকীয়া প্রেমের ঘটনা টক অব দ্য টাউন। পরকীয়া প্রেমিক জুটির
কথোপকথনের একটি রেকর্ডও ছড়িয়ে পড়েছে। ৮ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড কথোপকথনের ওই অডিও
রেকর্ডের একটি অংশে অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ভাদুরীকে বলতে শোনা যায়- ‘একটু আদর
দেবেন’। এর জবাবে প্রভাষক স্ত্রী রেহেনা: আমি আদর দিতে জানি না।
আপনি আছেন এক প্রান্তে, আমি আরেক প্রান্তে। এরমধ্যে চুম্বনের শব্দ। প্রথমে ভাদুরী পরে রেহেনা। এর আগে রেহেনা বাসায় একা একা আছেন বলে জানান ভাদুরীকে। তখন ভাদুরী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থাকলে চলে আসতাম।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্যাসফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ভাদুরী তারই কলেজের প্রভাষক ইছা হকের স্ত্রী রেহেনা পারভীনের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হন কয়েক মাস আগে। তবে বৃহস্পতিবার (২৮শে জুন) প্রভাষক ইছা হকের স্ত্রী রেহেনা পারভীন এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের কোম্পানি সচিব নাসিবুজ্জামান তালুকদারের কাছে। এরপর রোববার এ নিয়ে গভর্নিং কমিটির সভা বসে। সেখানে অভিযোগের বিষয়টি প্রমাণিত হলে অধ্যক্ষ এবং প্রভাষক দু’জনকেই চাকরি থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ খবরে ওইদিন বিকালে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনের কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ এবং বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপরই গতকাল থেকে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজ দু’দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়।
রেহেনা পারভীনের দেয়া অভিযোগ থেকে জানা যায়- অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ভাদুরী ও প্রভাষক ইছা হক জেলা শহরের বিরাসারে একটি বাড়িতে পাশাপাশি ভাড়া থাকতেন। এই সুবাদে অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ভাদুরী আইসিটি প্রভাষক ইছা হকের স্ত্রী রেহেনা পারভীনকে প্রায় বিরক্ত করতেন। গত কয়েকমাস আগে অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ভাদুরী রেহেনা পারভীনকে ফোন করেন। রেহেনাকে অনেক ভালো লাগে বলে ভাদুরী রেহেনাকে জানান। রেহেনার স্বামী ইছা হক কলেজে চলে গেলে প্রায় তিনি তার বাসার কলিং বেলে চাপ দিতেন। গত ২৭শে জানুয়ারি চিনাইর বঙ্গবন্ধু অনার্স কলেজে ইছা হক ও তার স্ত্রী রেহেনা পারভীন এবং অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ভাদুরী তার ছেলেমেয়ে নিয়ে একটি মেধাবৃত্তির অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে কলেজের অফিসের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষের ভেতর বড় আরেকটি কক্ষে পেছনের দিক থেকে চেপে ধরে রেহেনার পিঠে চুমো দেন অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ভাদুরী। বিষয়টি রেহেনা পারভীন পরিবারের লোকজনকে জানান।
পরে তারা এ সবের প্রমান আছে কি না জানতে চান। গত ২৫শে মে থেকে ৩০শে মে পর্যন্ত কুমিল্লায় একটি প্রশিক্ষণে ছিলেন অধ্যক্ষ ভাদুরী। এ সময় ভাদুরী মুঠোফোনে রেহেনার সঙ্গে কথা বলেন। তার আগে ২৪শে মে বিশ্বজিৎ বাসা পরিবর্তন করে অন্যত্র চলে যান। অধ্যক্ষের এমন আচরণের বিষয়টি রেহেনা তার বাবা-মা ও শ্বশুরের সঙ্গে আলোচনা করেন। তাদের পরামর্শেই কোম্পানী সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ পাওয়ার পর রোববার কলেজের গভর্নিং কমিটির বৈঠক বসে। সেখানে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অধ্যক্ষ ও প্রভাষককে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়। এরপরই তারা দু’জন পদত্যাগ করেন। তবে এখন অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ভাদুরী বলছেন- তিনি ষড়যন্ত্র ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার। সিবিএ এবং স্থানীয় শিক্ষকরা তাকে ব্ল্যাকমেইল করেছে। তাকে পদত্যাগ করানো হয়েছে। ভয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, তাদের (কর্তৃপক্ষ) উচিত ছিলো সময় নিয়ে বিষয়টি দেখা। তবে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের কোম্পানি সচিব নাসিবুজ্জামান তালুকদার বলেছেন- বিষয়গুলো খুবই নোংরা। একটি অডিও আছে সেটি শুনলে আপনি বুঝতে পারবেন কি হয়েছে।
অধ্যক্ষের সঙ্গে অভিযোগকারীর স্বামীর পদত্যাগের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন- একজন লোক বাসায় যায়। মেলামেশা করে এতে তার কি কোনো দায়িত্ববোধ ছিলো না। যে করে আর যে সমর্থন দেয় তাদের উভয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। শিক্ষকরা সম্মানিত ব্যক্তি। তাদেরকে আমাদের সন্তানরা অনুসরণ করবে। যে কাজটা তারা করেছেন তাতে তাদেও নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে বলে ধরা পড়ে।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা হয় ২০০৩ সালে। প্রতিষ্ঠাকালীন প্রাইমারি শাখা থেকে এটি কলেজে উন্নীত হয়। এর ছাত্রছাত্রী ৩ সহস্রাধিক। দেশের বৃহৎ গ্যাস উৎপাদনকারী একটি কোম্পানির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলে এর সুনাম রয়েছে।
আপনি আছেন এক প্রান্তে, আমি আরেক প্রান্তে। এরমধ্যে চুম্বনের শব্দ। প্রথমে ভাদুরী পরে রেহেনা। এর আগে রেহেনা বাসায় একা একা আছেন বলে জানান ভাদুরীকে। তখন ভাদুরী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থাকলে চলে আসতাম।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্যাসফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ভাদুরী তারই কলেজের প্রভাষক ইছা হকের স্ত্রী রেহেনা পারভীনের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হন কয়েক মাস আগে। তবে বৃহস্পতিবার (২৮শে জুন) প্রভাষক ইছা হকের স্ত্রী রেহেনা পারভীন এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের কোম্পানি সচিব নাসিবুজ্জামান তালুকদারের কাছে। এরপর রোববার এ নিয়ে গভর্নিং কমিটির সভা বসে। সেখানে অভিযোগের বিষয়টি প্রমাণিত হলে অধ্যক্ষ এবং প্রভাষক দু’জনকেই চাকরি থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ খবরে ওইদিন বিকালে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনের কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ এবং বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপরই গতকাল থেকে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজ দু’দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়।
রেহেনা পারভীনের দেয়া অভিযোগ থেকে জানা যায়- অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ভাদুরী ও প্রভাষক ইছা হক জেলা শহরের বিরাসারে একটি বাড়িতে পাশাপাশি ভাড়া থাকতেন। এই সুবাদে অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ভাদুরী আইসিটি প্রভাষক ইছা হকের স্ত্রী রেহেনা পারভীনকে প্রায় বিরক্ত করতেন। গত কয়েকমাস আগে অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ভাদুরী রেহেনা পারভীনকে ফোন করেন। রেহেনাকে অনেক ভালো লাগে বলে ভাদুরী রেহেনাকে জানান। রেহেনার স্বামী ইছা হক কলেজে চলে গেলে প্রায় তিনি তার বাসার কলিং বেলে চাপ দিতেন। গত ২৭শে জানুয়ারি চিনাইর বঙ্গবন্ধু অনার্স কলেজে ইছা হক ও তার স্ত্রী রেহেনা পারভীন এবং অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ভাদুরী তার ছেলেমেয়ে নিয়ে একটি মেধাবৃত্তির অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে কলেজের অফিসের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষের ভেতর বড় আরেকটি কক্ষে পেছনের দিক থেকে চেপে ধরে রেহেনার পিঠে চুমো দেন অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ভাদুরী। বিষয়টি রেহেনা পারভীন পরিবারের লোকজনকে জানান।
পরে তারা এ সবের প্রমান আছে কি না জানতে চান। গত ২৫শে মে থেকে ৩০শে মে পর্যন্ত কুমিল্লায় একটি প্রশিক্ষণে ছিলেন অধ্যক্ষ ভাদুরী। এ সময় ভাদুরী মুঠোফোনে রেহেনার সঙ্গে কথা বলেন। তার আগে ২৪শে মে বিশ্বজিৎ বাসা পরিবর্তন করে অন্যত্র চলে যান। অধ্যক্ষের এমন আচরণের বিষয়টি রেহেনা তার বাবা-মা ও শ্বশুরের সঙ্গে আলোচনা করেন। তাদের পরামর্শেই কোম্পানী সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ পাওয়ার পর রোববার কলেজের গভর্নিং কমিটির বৈঠক বসে। সেখানে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অধ্যক্ষ ও প্রভাষককে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়। এরপরই তারা দু’জন পদত্যাগ করেন। তবে এখন অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ভাদুরী বলছেন- তিনি ষড়যন্ত্র ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার। সিবিএ এবং স্থানীয় শিক্ষকরা তাকে ব্ল্যাকমেইল করেছে। তাকে পদত্যাগ করানো হয়েছে। ভয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, তাদের (কর্তৃপক্ষ) উচিত ছিলো সময় নিয়ে বিষয়টি দেখা। তবে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের কোম্পানি সচিব নাসিবুজ্জামান তালুকদার বলেছেন- বিষয়গুলো খুবই নোংরা। একটি অডিও আছে সেটি শুনলে আপনি বুঝতে পারবেন কি হয়েছে।
অধ্যক্ষের সঙ্গে অভিযোগকারীর স্বামীর পদত্যাগের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন- একজন লোক বাসায় যায়। মেলামেশা করে এতে তার কি কোনো দায়িত্ববোধ ছিলো না। যে করে আর যে সমর্থন দেয় তাদের উভয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। শিক্ষকরা সম্মানিত ব্যক্তি। তাদেরকে আমাদের সন্তানরা অনুসরণ করবে। যে কাজটা তারা করেছেন তাতে তাদেও নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে বলে ধরা পড়ে।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা হয় ২০০৩ সালে। প্রতিষ্ঠাকালীন প্রাইমারি শাখা থেকে এটি কলেজে উন্নীত হয়। এর ছাত্রছাত্রী ৩ সহস্রাধিক। দেশের বৃহৎ গ্যাস উৎপাদনকারী একটি কোম্পানির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলে এর সুনাম রয়েছে।
No comments