যা বলার দিল্লিতেই বলবো -বিবিসিকে লর্ড কার্লাইল
বিএনপির
কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে দিল্লি এসে ব্রিফিং করবেন তার
নিযুক্ত বৃটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইল। সেখানে তিনি দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকে
যে বার্তাটি দিতে চান তা খুবই স্পষ্ট। তা হলো- খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায়
জড়িয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখার চেষ্টা চলছে।
বৃটেনের হাউস অব লর্ডসের এই প্রবীণ সদস্য বিবিসিকে এসব কথা জানিয়েছেন। তিনি
বলেছেন যে, বাংলাদেশ সরকার তার ভাষায় ‘তার ভিসার আবেদন ঝুলিয়ে রেখেছে’
বলেই তিনি বাধ্য হয়ে দিল্লিতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করছেন। সেখানে ঢাকা থেকে
বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা যোগ দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো কেন ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ সেটাই তিনি দিল্লিতে ব্যাখ্যা করবেন লর্ড কার্লাইল। এ নিয়ে লন্ডনে তার সঙ্গে কথা বলেন বিবিসি’র সংবাদদাতা শুভজ্যোতি ঘোষ। লর্ড কার্লাইল বিবিসিকে বলেন, ‘আমি বেগম জিয়ার কৌঁসুলিদের একজন। আর এ সম্মেলনটি আমি ঢাকাতেই করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার আমার ভিসা দেয়া না দেয়ার প্রশ্নে ইচ্ছাকৃতভাবে আগে থেকেই বাধা সৃষ্টি করছে। তারা এখনো আমার ভিসা প্রত্যাখ্যান করেনি ঠিকই। কিন্তু এখনো আমার হাতে বাংলাদেশের ভিসা নেই।
ফলে আমি ঢাকায় এ অনুষ্ঠানটি করতে পারছি না। পরিবর্তে দিল্লিতেই সেটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ লর্ড কার্লাইল বলেন, ‘দিল্লির এই অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব না থাকলে আমি অবাকই হবো। তবে আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই- আমি কোনো রাজনৈতিক প্রচারণায় শামিল হতে দিল্লি যাচ্ছি না; একজন সিনিয়র বৃটিশ আইনজীবী হিসেবে আমাকে এ মামলায় আমার মক্কেলের পক্ষে নিয়োজিত করা হয়েছে- সেকারণেই আমি এটা করছি। আমি বিশ্বাস করি, শুধুমাত্র রাজনীতির কারণেই এ মামলাটি রুজু করা হয়েছে।’ ১৫ বছর ধরে হাউস অব কমন্সের সদস্য থাকা ও প্রায় দু’দশক যাবৎ হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড কার্লাইল দাবি করছেন, রাজনীতি ও আইনের জগতে এত দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতার সুবাদে তিনি নিশ্চিত যে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি সম্পূর্ণ সাজানো। তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পেশ করা সাক্ষ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে আমি বুঝেছি, সেগুলো আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। তা থেকে আদৌ প্রমাণিত হয় না যে, তিনি কোন্ ধরনের জালিয়াতি করেছেন। সেটাই আমি দিল্লিতে গণমাধ্যমের কাছে ব্যাখ্যা করবো। আর দ্বিতীয়ত এ থেকেই বোঝা যায়, এই মামলা আনার পেছনে সম্পূর্ণ অন্য উদ্দেশ্য আছে।’
খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে হচ্ছে- তিনি এমন মনে করছেন কিনা সে প্রসঙ্গে লর্ড কার্লাইল বলেন, ‘আমি ভেনডেটা (প্রতিহিংসা) শব্দটা ব্যবহার করতে চাই না। তবে এটুকু বলবো- খালেদা জিয়াকে দেশে আসন্ন নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে অবশ্যই একটা তীব্র রাজনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। কোনো প্রমাণ ছাড়াই ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত করে সত্তরোর্ধ্ব একজন মহিলাকে যেভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে, সেটা তাকে রাস্তা থেকে সরাতে হয়তো সফল হতে পারে, কিন্তু অপরাধ হিসেবে অমার্জনীয়।’
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো কেন ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ সেটাই তিনি দিল্লিতে ব্যাখ্যা করবেন লর্ড কার্লাইল। এ নিয়ে লন্ডনে তার সঙ্গে কথা বলেন বিবিসি’র সংবাদদাতা শুভজ্যোতি ঘোষ। লর্ড কার্লাইল বিবিসিকে বলেন, ‘আমি বেগম জিয়ার কৌঁসুলিদের একজন। আর এ সম্মেলনটি আমি ঢাকাতেই করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার আমার ভিসা দেয়া না দেয়ার প্রশ্নে ইচ্ছাকৃতভাবে আগে থেকেই বাধা সৃষ্টি করছে। তারা এখনো আমার ভিসা প্রত্যাখ্যান করেনি ঠিকই। কিন্তু এখনো আমার হাতে বাংলাদেশের ভিসা নেই।
ফলে আমি ঢাকায় এ অনুষ্ঠানটি করতে পারছি না। পরিবর্তে দিল্লিতেই সেটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ লর্ড কার্লাইল বলেন, ‘দিল্লির এই অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব না থাকলে আমি অবাকই হবো। তবে আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই- আমি কোনো রাজনৈতিক প্রচারণায় শামিল হতে দিল্লি যাচ্ছি না; একজন সিনিয়র বৃটিশ আইনজীবী হিসেবে আমাকে এ মামলায় আমার মক্কেলের পক্ষে নিয়োজিত করা হয়েছে- সেকারণেই আমি এটা করছি। আমি বিশ্বাস করি, শুধুমাত্র রাজনীতির কারণেই এ মামলাটি রুজু করা হয়েছে।’ ১৫ বছর ধরে হাউস অব কমন্সের সদস্য থাকা ও প্রায় দু’দশক যাবৎ হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড কার্লাইল দাবি করছেন, রাজনীতি ও আইনের জগতে এত দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতার সুবাদে তিনি নিশ্চিত যে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি সম্পূর্ণ সাজানো। তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পেশ করা সাক্ষ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে আমি বুঝেছি, সেগুলো আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। তা থেকে আদৌ প্রমাণিত হয় না যে, তিনি কোন্ ধরনের জালিয়াতি করেছেন। সেটাই আমি দিল্লিতে গণমাধ্যমের কাছে ব্যাখ্যা করবো। আর দ্বিতীয়ত এ থেকেই বোঝা যায়, এই মামলা আনার পেছনে সম্পূর্ণ অন্য উদ্দেশ্য আছে।’
খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে হচ্ছে- তিনি এমন মনে করছেন কিনা সে প্রসঙ্গে লর্ড কার্লাইল বলেন, ‘আমি ভেনডেটা (প্রতিহিংসা) শব্দটা ব্যবহার করতে চাই না। তবে এটুকু বলবো- খালেদা জিয়াকে দেশে আসন্ন নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে অবশ্যই একটা তীব্র রাজনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। কোনো প্রমাণ ছাড়াই ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত করে সত্তরোর্ধ্ব একজন মহিলাকে যেভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে, সেটা তাকে রাস্তা থেকে সরাতে হয়তো সফল হতে পারে, কিন্তু অপরাধ হিসেবে অমার্জনীয়।’
No comments