ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না গ্রামীণ উদ্যোক্তারা by আশরাফুল ইসলাম
কমে যাচ্ছে কর্মসংস্থান, চাপ বাড়ছে শহরের ওপর
ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না গ্রামের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। ভাটা পড়েছে ঋণ বিতরণেও। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) এ খাতে (নন-ফার্ম রুরাল ক্রেডিট) ঋণ আদায়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ঋণাত্মক ৫২ শতাংশ। গত অর্থবছরের প্রথম মাসে ঋণ আদায় হয়েছিল ১৬৪ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৪৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে তা কমে হয়েছে ৭৮ কোটি টাকা। শুধু ঋণ আদায়ই কমছে না, বিতরণও কমে গেছে। গেল বছরের জুলাইয়ে যেখানে বিতরণ হয়েছিল প্রায় ৯৩ কোটি টাকা, সেখানে চলতি মাসের জুলাইয়ে এসে কমে হয়েছে প্রায় ৮৭ কোটি টাকা। এটাতো এক মাসের হিসাব। গেল অর্থবছরেও আগের বছরের চেয়ে ঋণ আদায় ও বিতরণ কমে গিয়েছিল। বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচক দিয়ে তৈরি বাংলাদেশ ব্যাংকের মাসিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অবকাঠামো সুবিধার অভাব ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সঙ্কটে জাতীয়পর্যায়ের মতো পল্লী এলাকায়ও এর প্রভাব পড়েছে। এতে কমে যাচ্ছে গ্রামীণ কর্মসংস্থান। চাপ বাড়ছে শহরের ওপর।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, শহরের চেয়ে গ্রামে অবকাঠামোর সুবিধা কম। শহরে যে হারে বিদ্যুৎ বিতরণ করা হয়, গ্রামে ওই হারে বিদ্যুৎ বিতরণ করা হয় না। এমনও এলাকা আছে যেসব এলাকায় দিনে-রাতে ছয় থেকে আট ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় না। এর সাথে আস্থার সঙ্কটতো রয়েছেই।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, বিনিয়োগ স্থবিরতার মধ্যে ুদ্র উদ্যোক্তারাও লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে তাদের ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা কমে গেছে। এসবেরই প্রভাব পড়েছে ঋণ আদায়ে।
পল্লী এলাকার ঋণ বিতরণ ও আদায়ে ব্যাপক প্রভাব সম্পর্কে দেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের একটি ব্যাংকের এমডি গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেছেন, পল্লী এলাকায় ক্ষুদ্র শিল্পে বিনিয়োগের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার অন্যতম কারণ হলো অবকাঠামো ও আস্থার সঙ্কট। সরকারবিরোধী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা গ্রেফতার ও জেলের ভয়ে পলাতক ছিলেন। গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের টানা আন্দোলনের সময় তারা স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে পারেননি। অনেকেই ব্যবসা-বাণিজ্য গুটিয়ে নিয়েছিলেন। এসব কারণে তারা নতুন বিনিয়োগে যেতে পারেননি, পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রাখায় নিয়মিত ব্যাংকঋণও পরিশোধ করতে পারেননি। এ কারণে অনেকেই ঋণখেলাপিতে পরিণত হয়েছেন, যার প্রভাব পড়েছে ব্যাংকের ওপর।
প্রথম প্রজন্মের অপর এক ব্যাংকের এমডি গতকাল নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, পল্লী এলাকায় ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে ব্যাংকারদের এমনিতেই একটা অনীহা থাকে, এরওপর বিনিয়োগস্থবিরতার মাসে বিনিয়োগকারীরাও এগিয়ে আসছেন না। অনেকেই বছরের প্রথম তিন মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি। ওই সময় যারা ঋণখেলাপিতে পরিণত হয়েছিলেন তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না। আর ঋণখেলাপি হলে ব্যাংক থেকে নতুন করে ঋণ নিতে পারেন না। ফলে অনেকেরই ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ছাড়া শহরের মতো পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো সুবিধা পান না। সব মিলেই নতুন উদ্যোক্তাও আসছেন না। আবার পল্লী এলাকায় সবচেয়ে বড় সমস্যা ভালো উদ্যোক্তার অভাব। যাকে ঋণ দেয়া হবে, তার কাছ থেকে ঋণ ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা না থাকলে পুরো ঋণই ঝুঁকির মুখে পড়ে যাবে। এসব বিবেচনায় পল্লী এলাকায় ঋণ বিতরণে ঋণাত্মক প্রভাব পড়ছে।
পল্লী এলাকায় ঋণ বিতরণ কমে যাওয়ায় কর্মসংস্থানেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা। পল্লী এলাকায় কর্মসংস্থান সঙ্কুচিত হওয়ায় মানুষ কর্মের সংস্থানে শহরমুখী হচ্ছে। এতে শহরের ওপর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। তাদের মতে, গ্রামীণ বিনিয়োগ বাড়াতে কর মওকুফসহ সরকারি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে গ্রামমুখী বিনিয়োগ বাড়বে। এতে গ্রামীণ অর্থনীতি আরো চাঙ্গা হবে বলে তারা মনে করেন। এতে বেকারত্বের হারও কমে যাবে।
ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না গ্রামের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। ভাটা পড়েছে ঋণ বিতরণেও। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) এ খাতে (নন-ফার্ম রুরাল ক্রেডিট) ঋণ আদায়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ঋণাত্মক ৫২ শতাংশ। গত অর্থবছরের প্রথম মাসে ঋণ আদায় হয়েছিল ১৬৪ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৪৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে তা কমে হয়েছে ৭৮ কোটি টাকা। শুধু ঋণ আদায়ই কমছে না, বিতরণও কমে গেছে। গেল বছরের জুলাইয়ে যেখানে বিতরণ হয়েছিল প্রায় ৯৩ কোটি টাকা, সেখানে চলতি মাসের জুলাইয়ে এসে কমে হয়েছে প্রায় ৮৭ কোটি টাকা। এটাতো এক মাসের হিসাব। গেল অর্থবছরেও আগের বছরের চেয়ে ঋণ আদায় ও বিতরণ কমে গিয়েছিল। বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচক দিয়ে তৈরি বাংলাদেশ ব্যাংকের মাসিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অবকাঠামো সুবিধার অভাব ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সঙ্কটে জাতীয়পর্যায়ের মতো পল্লী এলাকায়ও এর প্রভাব পড়েছে। এতে কমে যাচ্ছে গ্রামীণ কর্মসংস্থান। চাপ বাড়ছে শহরের ওপর।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, শহরের চেয়ে গ্রামে অবকাঠামোর সুবিধা কম। শহরে যে হারে বিদ্যুৎ বিতরণ করা হয়, গ্রামে ওই হারে বিদ্যুৎ বিতরণ করা হয় না। এমনও এলাকা আছে যেসব এলাকায় দিনে-রাতে ছয় থেকে আট ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় না। এর সাথে আস্থার সঙ্কটতো রয়েছেই।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, বিনিয়োগ স্থবিরতার মধ্যে ুদ্র উদ্যোক্তারাও লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে তাদের ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা কমে গেছে। এসবেরই প্রভাব পড়েছে ঋণ আদায়ে।
পল্লী এলাকার ঋণ বিতরণ ও আদায়ে ব্যাপক প্রভাব সম্পর্কে দেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের একটি ব্যাংকের এমডি গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেছেন, পল্লী এলাকায় ক্ষুদ্র শিল্পে বিনিয়োগের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার অন্যতম কারণ হলো অবকাঠামো ও আস্থার সঙ্কট। সরকারবিরোধী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা গ্রেফতার ও জেলের ভয়ে পলাতক ছিলেন। গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের টানা আন্দোলনের সময় তারা স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে পারেননি। অনেকেই ব্যবসা-বাণিজ্য গুটিয়ে নিয়েছিলেন। এসব কারণে তারা নতুন বিনিয়োগে যেতে পারেননি, পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রাখায় নিয়মিত ব্যাংকঋণও পরিশোধ করতে পারেননি। এ কারণে অনেকেই ঋণখেলাপিতে পরিণত হয়েছেন, যার প্রভাব পড়েছে ব্যাংকের ওপর।
প্রথম প্রজন্মের অপর এক ব্যাংকের এমডি গতকাল নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, পল্লী এলাকায় ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে ব্যাংকারদের এমনিতেই একটা অনীহা থাকে, এরওপর বিনিয়োগস্থবিরতার মাসে বিনিয়োগকারীরাও এগিয়ে আসছেন না। অনেকেই বছরের প্রথম তিন মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি। ওই সময় যারা ঋণখেলাপিতে পরিণত হয়েছিলেন তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না। আর ঋণখেলাপি হলে ব্যাংক থেকে নতুন করে ঋণ নিতে পারেন না। ফলে অনেকেরই ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ছাড়া শহরের মতো পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো সুবিধা পান না। সব মিলেই নতুন উদ্যোক্তাও আসছেন না। আবার পল্লী এলাকায় সবচেয়ে বড় সমস্যা ভালো উদ্যোক্তার অভাব। যাকে ঋণ দেয়া হবে, তার কাছ থেকে ঋণ ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা না থাকলে পুরো ঋণই ঝুঁকির মুখে পড়ে যাবে। এসব বিবেচনায় পল্লী এলাকায় ঋণ বিতরণে ঋণাত্মক প্রভাব পড়ছে।
পল্লী এলাকায় ঋণ বিতরণ কমে যাওয়ায় কর্মসংস্থানেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা। পল্লী এলাকায় কর্মসংস্থান সঙ্কুচিত হওয়ায় মানুষ কর্মের সংস্থানে শহরমুখী হচ্ছে। এতে শহরের ওপর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। তাদের মতে, গ্রামীণ বিনিয়োগ বাড়াতে কর মওকুফসহ সরকারি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে গ্রামমুখী বিনিয়োগ বাড়বে। এতে গ্রামীণ অর্থনীতি আরো চাঙ্গা হবে বলে তারা মনে করেন। এতে বেকারত্বের হারও কমে যাবে।
No comments