ফরিদপুরে মহাসড়কের ভোগান্তি এবারের ঈদুল আজহায়ও by হারুন আনসারী
ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের বেহাল দশা। ছবিটি সদর উপজেলার কানাইপুর থেকে তোলা : নয়া দিগন্ত |
ঢাকা-খুলনা
ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুর অংশে দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় দু’টি
মহাসড়কেরই পরিস্থিতি নাজুক আকার ধারণ করেছে। সড়কগুলোর বিস্তীর্ণ অংশজুড়ে
ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের বেশির ভাগ স্থানে
ওপরের বিটুমিন প্রলেপ উঠে গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বাখুণ্ডা, জোড়া সেতু, মহিলা রোড, তালমার মোড়, শংকরপাশা, কাজী কুড়িয়াল, ভুবুক দিয়া, সদরদী, নওপাড়া ও টেকেরহাট গোলচক্কর এলাকায় খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে খুলনার দিকে গঙ্গাবর্দী, কানাইপুর বাজার, পরীতিপুর, মধুখালী রেলগেট ও বাজারসংলগ্ন এলাকা, বাগাট বাজার এলাকার পরিস্থিতি নাজুক। এই মহাসড়কের ঢাকার দিকে বাহিরদিয়া, ধুলদী রেলগেট এলাকা ও বসন্তপুরের অবস্থাও নাজুক।
ফরিদপুর সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মাগুরার ওয়াপদা থেকে রাজবাড়ীর বসন্তপুর পর্যন্ত ফরিদপুর সড়ক বিভাগের মধ্যে পড়েছে ৪৯ কিলোমিটার অংশ। অন্য দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকা পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার পড়েছে এ সড়ক বিভাগের অধীনে।
ওই সব জায়গায়, পুরো সড়কজুড়ে মহাসড়কের মধ্যে হাজার হাজার ছোটবড় ও মাঝারি আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে এ দু’টি পথে চলাচল করা দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। এর ফলে বাসের চাকা ফেটে গিয়ে বাস উল্টে পড়ে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা- বরিশাল মহাসড়কের প্রায় সর্বত্র ছোটবড় খানখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই কাদামাটিতে আটকে যায় গাড়ি। সৃষ্টি হয় যানজটের। প্রতিদিনই গাড়ির ইঞ্জিন ফেসে যাচ্ছে। জনগণের দুর্ভোগের শেষ নেই। সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের মধ্যে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে। রাস্তা খারাপ থাকায় গাড়িতে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগছে। ফরিদপুর-বরিশাল পথে চলাচলকারী বিকাশ পরিবহনের চালক ফরিদপুর শহরের গৌরাঙ্গ সিকদার বলেন, মহা সড়কটির পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে। গাড়ি চালানোর সময় শরীরের কিছু থাকে না। আবার যাত্রীদের গালাগাল, সব মিলিয়ে মহা বিপদে আছি।
ঢাকা-মাদারীপুর পথে চলাচলকারী সার্বিব পরিবহনের চালক মাদারীপুরের আবুল হোসেন জানান, সাধুর সেতুর কাজের ধীরগতির কারণে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে বিকল্প সড়কটি সংস্কার না করায় প্রায়ই গাড়ি দেবে যায়। তিনি বলেন, এ রাস্তার কারণে প্রায় প্রতিদিনই গাড়ির পাতি ও বেয়ারিং ভেঙে যাচ্ছে, খসে পড়ছে সাইড গ্লাস। দেরী হওয়ায় ডাউন ট্রিপ ধরতে পারছি না।
যশোর থেকে ঢাকাগামী কাভার্ডভ্যান চালক যশোরের চুড়িপট্টি এলাকার বাসিন্দা মো: শাহাবুদ্দিন বলেন, যশোর থেকে মাগুরা পর্যন্ত সড়কটি তত খারাপ নয়। কিন্তু কামারখালী সেতু পার হলেই আর জান থাকে না। রাস্তা বুড়া মাইনসের দাঁতের মতো হয়ে গেছে। খালি নড়বড় করে। সড়ক বিভাগ ঠিক মতো সংস্কার কাজ করে না। পিচ কম দেয়। ফলে দু’দিনের মধ্যেই রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়।
ওই পথে চলাচলকারী ট্রাক চালক ইকবাল হোসেন বলেন, আগে খুলনা থেকে ঢাকা যেতে ১২ ঘণ্টা লাগত। এখন দেড় দিনেও পৌঁছাতে পারি না রাস্তা খারাপের কারণে।
ফরিদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি গত বৃহস্পতিবার কাজে যোগ দেয়ার পর দু’দিন সরেজমিন মহাসড়ক দু’টি পরিদর্শন করেছি। তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমরা খানাখন্দ ভরাট করাসহ সড়ক দু’টি চলাচলের উপযোগী করে তোলার কাজ শুরু করেছি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ঈদুল আজহার আগেই এ কাজ শেষ করা হবে। মাদারীপুর সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভুরঘাটা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার।
মাদারীপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, সড়কটির বেশির ভাগ জায়গা ভালো তবে দু’টি জায়গার কিছু রাস্তার অবস্থা খারাপ। আমরা সড়কটি চলাচলের উপযুক্ত করতে গত দুই মাস ধরে কাজ করছি। বৃষ্টির জন্য সমস্যা হলেও আমরা আশাবাদী ঈদের আগে কাজ শেষ করা যাবে। তিনি বলেন, সাধুর সেতু নির্মাণে দীর্ঘসূত্রতা হচ্ছে না। শিডিউল অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এটি শেষ হওয়ার কথা।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বাখুণ্ডা, জোড়া সেতু, মহিলা রোড, তালমার মোড়, শংকরপাশা, কাজী কুড়িয়াল, ভুবুক দিয়া, সদরদী, নওপাড়া ও টেকেরহাট গোলচক্কর এলাকায় খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে খুলনার দিকে গঙ্গাবর্দী, কানাইপুর বাজার, পরীতিপুর, মধুখালী রেলগেট ও বাজারসংলগ্ন এলাকা, বাগাট বাজার এলাকার পরিস্থিতি নাজুক। এই মহাসড়কের ঢাকার দিকে বাহিরদিয়া, ধুলদী রেলগেট এলাকা ও বসন্তপুরের অবস্থাও নাজুক।
ফরিদপুর সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মাগুরার ওয়াপদা থেকে রাজবাড়ীর বসন্তপুর পর্যন্ত ফরিদপুর সড়ক বিভাগের মধ্যে পড়েছে ৪৯ কিলোমিটার অংশ। অন্য দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকা পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার পড়েছে এ সড়ক বিভাগের অধীনে।
ওই সব জায়গায়, পুরো সড়কজুড়ে মহাসড়কের মধ্যে হাজার হাজার ছোটবড় ও মাঝারি আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে এ দু’টি পথে চলাচল করা দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। এর ফলে বাসের চাকা ফেটে গিয়ে বাস উল্টে পড়ে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা- বরিশাল মহাসড়কের প্রায় সর্বত্র ছোটবড় খানখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই কাদামাটিতে আটকে যায় গাড়ি। সৃষ্টি হয় যানজটের। প্রতিদিনই গাড়ির ইঞ্জিন ফেসে যাচ্ছে। জনগণের দুর্ভোগের শেষ নেই। সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের মধ্যে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে। রাস্তা খারাপ থাকায় গাড়িতে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগছে। ফরিদপুর-বরিশাল পথে চলাচলকারী বিকাশ পরিবহনের চালক ফরিদপুর শহরের গৌরাঙ্গ সিকদার বলেন, মহা সড়কটির পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে। গাড়ি চালানোর সময় শরীরের কিছু থাকে না। আবার যাত্রীদের গালাগাল, সব মিলিয়ে মহা বিপদে আছি।
ঢাকা-মাদারীপুর পথে চলাচলকারী সার্বিব পরিবহনের চালক মাদারীপুরের আবুল হোসেন জানান, সাধুর সেতুর কাজের ধীরগতির কারণে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে বিকল্প সড়কটি সংস্কার না করায় প্রায়ই গাড়ি দেবে যায়। তিনি বলেন, এ রাস্তার কারণে প্রায় প্রতিদিনই গাড়ির পাতি ও বেয়ারিং ভেঙে যাচ্ছে, খসে পড়ছে সাইড গ্লাস। দেরী হওয়ায় ডাউন ট্রিপ ধরতে পারছি না।
যশোর থেকে ঢাকাগামী কাভার্ডভ্যান চালক যশোরের চুড়িপট্টি এলাকার বাসিন্দা মো: শাহাবুদ্দিন বলেন, যশোর থেকে মাগুরা পর্যন্ত সড়কটি তত খারাপ নয়। কিন্তু কামারখালী সেতু পার হলেই আর জান থাকে না। রাস্তা বুড়া মাইনসের দাঁতের মতো হয়ে গেছে। খালি নড়বড় করে। সড়ক বিভাগ ঠিক মতো সংস্কার কাজ করে না। পিচ কম দেয়। ফলে দু’দিনের মধ্যেই রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়।
ওই পথে চলাচলকারী ট্রাক চালক ইকবাল হোসেন বলেন, আগে খুলনা থেকে ঢাকা যেতে ১২ ঘণ্টা লাগত। এখন দেড় দিনেও পৌঁছাতে পারি না রাস্তা খারাপের কারণে।
ফরিদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি গত বৃহস্পতিবার কাজে যোগ দেয়ার পর দু’দিন সরেজমিন মহাসড়ক দু’টি পরিদর্শন করেছি। তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমরা খানাখন্দ ভরাট করাসহ সড়ক দু’টি চলাচলের উপযোগী করে তোলার কাজ শুরু করেছি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ঈদুল আজহার আগেই এ কাজ শেষ করা হবে। মাদারীপুর সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভুরঘাটা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার।
মাদারীপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, সড়কটির বেশির ভাগ জায়গা ভালো তবে দু’টি জায়গার কিছু রাস্তার অবস্থা খারাপ। আমরা সড়কটি চলাচলের উপযুক্ত করতে গত দুই মাস ধরে কাজ করছি। বৃষ্টির জন্য সমস্যা হলেও আমরা আশাবাদী ঈদের আগে কাজ শেষ করা যাবে। তিনি বলেন, সাধুর সেতু নির্মাণে দীর্ঘসূত্রতা হচ্ছে না। শিডিউল অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এটি শেষ হওয়ার কথা।
No comments