আওয়ামী লীগে গভীর হতাশা by জাহাঙ্গীর আলম
চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজয়ের পর
গাজীপুরেও একই পরিণতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে গভীরভাবে হতাশ করেছে। আওয়ামী
লীগের দুর্গ বলে পরিচিত গাজীপুরে সর্বশক্তি নিয়োগের পরও বড় ব্যবধানে
পরাজয়ের ঘটনা দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয়
নেতারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে এ ধরনের পরিস্থিতি দলের
জন্য ‘বিপৎসংকেত’। স্থানীয় নির্বাচন হলেও জাতীয় রাজনীতির প্রভাবেই আওয়ামী
লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর পরাজয় ঘটেছে। তাঁরা মনে করেন, আর্থিক কেলেঙ্কারি এবং
রাজনৈতিকভাবে কয়েকটি ভুলনীতি গ্রহণ প্রধানত এ জন্য দায়ী।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এ পরাজয়ের কিছুটা প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে। গতকাল সিলেটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন পছন্দ করে বলেই সিটি নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। তিনি এমন মন্তব্যও করেন, ‘মানুষ যত সুখ পায়, তত বেশি চায়। সরকার অনেক ভালো কাজ করছে। কিন্তু আমাদের মধ্যেও অনেক দুর্বৃত্ত, ভূমিদস্যু, ভূমিখেকো আছে।’
চার সিটির (রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট) মতো গাজীপুরেও প্রার্থীর ব্যক্তিগত যোগ্যতা, দক্ষতা, উন্নয়ন বা স্থানীয় বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। গত সাড়ে চার বছরে সরকারের বিতর্কিত বিষয়গুলোকে জনগণ বড় করে দেখেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, সরকারের প্রতি মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছে এ নির্বাচনে।
গতকাল আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী, জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী, সাংসদসহ ২০ জন নেতার সঙ্গে কথা বললে তাঁরা একবাক্যে বলেন, তিন-চতুর্থাংশ আসন নিয়ে বিপুল বিজয়ের সাড়ে চার বছরের মাথায় এমন বিপর্যয়ে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা ভেঙে পড়েছেন। নেতাদের অনেকে এ পরাজয়ের পেছনে পদ্মা সেতু, হল-মার্ক ও শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির কথা উল্লেখ করেন। কেউ কেউ নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকারের নীতির সমালোচনা করেন। এসব ঘটনায় সব মানুষ যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমনটা নয়। তবে বিরোধী দল এসব বিষয় জাতীয় বিষয়ে পরিণত করতে পেরেছে। জনগণ সরকারের এসব কাজ পছন্দ করেনি।
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘দল বসবে, সবার পর্যবেক্ষণ নিয়ে আলোচনা হবে। তবে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি, এটা কেউ বলতে পারছে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও যে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়, অন্তত এ চ্যালেঞ্জে আমরা জয়ী হয়েছি।’
জ্যেষ্ঠ দুই সাংসদের মতে, গত সাড়ে চার বছরে বর্তমান সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করলেও দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। বরং মেয়াদের শুরু থেকেই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একশ্রেণীর নেতা-কর্মীর চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি এবং কারও কারও রাতারাতি অর্থশালী হওয়ার প্রবণতা, অহংবোধ ও দাম্ভিকতা সরকারের ভালো কাজগুলো ম্লান করে দিয়েছে। কারও কারও প্রশ্রয়ে একশ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতি মানুষ মনে রেখেছে। তা ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করার বিষয়টিও মানুষ ভালোভাবে নেয়নি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, গত চার মাসের তুলনায় আগামী চার মাস ভিন্ন চিত্র থাকবে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মাতাল হাওয়া বইতে থাকবে। এ হাওয়া কোন দিকে যায়, সেটা বলা যাবে না।
আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত গাজীপুরে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর হেরে যাওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের কাছে দুর্ভেদ্য দুর্গ বলে কিছু নেই। জনগণ যেকোনো দুর্গই ভেঙে দিতে পারে, যদি তারা আস্থা হারিয়ে ফেলে। তবে এই নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, চার সিটি নির্বাচনে দলীয় সমন্বয়হীনতা থাকলেও গাজীপুরে দলগত সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছিল। সারা দেশের নেতা-কর্মীরা সেখানে গিয়ে ভোট চেয়েছেন। দলগতভাবে সর্বোচ্চ শক্তি, শ্রম ও মেধা ব্যয় করা হয়েছে। অতীতে কোনো স্থানীয় নির্বাচনে এমনভাবে নামেনি আওয়ামী লীগ। তার পরও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ভোটাররা।
গাজীপুরে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া একজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ভোট চাইতে গেলে অনেকে বলেছেন, ‘আপনারা পদ্মা সেতু করতে পারলেন না কেন? ওই মন্ত্রীকে বাদ দিলে কী হতো? হল-মার্ক কেলেঙ্কারিতে অভিযোগ পাওয়া উপদেষ্টাকে বাদ দিলেন না কেন?’ এ প্রসঙ্গে এই নেতা বলেন, ‘মানুষের চোখে ধুলা দিয়ে কিছু করা যাবে না। এ নির্বাচনে এটা আমাদের বড় শিক্ষা।’
কয়েকজন নেতা জানান, গাজীপুরের নির্বাচনে বিরোধী দলের নেতিবাচক প্রচারণাও আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর পরাজয়ের অন্যতম কারণ। তারা নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার করেছে। হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে। অপপ্রচার চালিয়ে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পেরেছে। তা ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে গত কয়েক মাসে দেশে যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল, তা ভালোভাবে সামাল দিতে না পারার দায়ও সরকারের ওপর পড়েছে।
বর্তমানে সাংসদ এমন দুজন সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মনে করেন, সংকট দুদিকে। একটি, নেতাদের সঙ্গে কর্মীদের দূরত্ব। অন্যটি, দলের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব। জাতীয় নির্বাচন একেবারে সামনে থাকায় এ দুটো বিষয় একসঙ্গে সামাল দেওয়া খুবই কঠিন।
আ.লীগকে দায়ী করছে জোটের শরিকেরা: ১৪ দলের শরিকেরাও নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য আওয়ামী লীগকেই দায়ী করছে। কারণ, রাষ্ট্র পরিচালনায় বেশ কিছু ত্রুটি জোটের পক্ষ থেকে ধরিয়ে দেওয়া হলেও সরকার তা আমলে নেয়নি। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাংসদ রাশেদ খান মেনন প্রথম আলোকে বলেন, ‘টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির কথা আমরা বহুবার বলেছি। তা ছাড়া সবাইকে আস্থায় নিয়ে সরকার পরিচালনা করা হয়নি। এককেন্দ্রিকভাবে সরকার পরিচালনা করা হয়েছে।’
জাতীয় পার্টির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘গাজীপুরে আমাদের লোকদের সমর্থন থাকা না থাকা তো বিষয় নয়, আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যেই তো ঐক্য ছিল না।’
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এ পরাজয়ের কিছুটা প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে। গতকাল সিলেটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন পছন্দ করে বলেই সিটি নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। তিনি এমন মন্তব্যও করেন, ‘মানুষ যত সুখ পায়, তত বেশি চায়। সরকার অনেক ভালো কাজ করছে। কিন্তু আমাদের মধ্যেও অনেক দুর্বৃত্ত, ভূমিদস্যু, ভূমিখেকো আছে।’
চার সিটির (রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট) মতো গাজীপুরেও প্রার্থীর ব্যক্তিগত যোগ্যতা, দক্ষতা, উন্নয়ন বা স্থানীয় বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। গত সাড়ে চার বছরে সরকারের বিতর্কিত বিষয়গুলোকে জনগণ বড় করে দেখেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, সরকারের প্রতি মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছে এ নির্বাচনে।
গতকাল আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী, জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী, সাংসদসহ ২০ জন নেতার সঙ্গে কথা বললে তাঁরা একবাক্যে বলেন, তিন-চতুর্থাংশ আসন নিয়ে বিপুল বিজয়ের সাড়ে চার বছরের মাথায় এমন বিপর্যয়ে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা ভেঙে পড়েছেন। নেতাদের অনেকে এ পরাজয়ের পেছনে পদ্মা সেতু, হল-মার্ক ও শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির কথা উল্লেখ করেন। কেউ কেউ নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকারের নীতির সমালোচনা করেন। এসব ঘটনায় সব মানুষ যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমনটা নয়। তবে বিরোধী দল এসব বিষয় জাতীয় বিষয়ে পরিণত করতে পেরেছে। জনগণ সরকারের এসব কাজ পছন্দ করেনি।
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘দল বসবে, সবার পর্যবেক্ষণ নিয়ে আলোচনা হবে। তবে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি, এটা কেউ বলতে পারছে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও যে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়, অন্তত এ চ্যালেঞ্জে আমরা জয়ী হয়েছি।’
জ্যেষ্ঠ দুই সাংসদের মতে, গত সাড়ে চার বছরে বর্তমান সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করলেও দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। বরং মেয়াদের শুরু থেকেই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একশ্রেণীর নেতা-কর্মীর চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি এবং কারও কারও রাতারাতি অর্থশালী হওয়ার প্রবণতা, অহংবোধ ও দাম্ভিকতা সরকারের ভালো কাজগুলো ম্লান করে দিয়েছে। কারও কারও প্রশ্রয়ে একশ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতি মানুষ মনে রেখেছে। তা ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করার বিষয়টিও মানুষ ভালোভাবে নেয়নি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, গত চার মাসের তুলনায় আগামী চার মাস ভিন্ন চিত্র থাকবে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মাতাল হাওয়া বইতে থাকবে। এ হাওয়া কোন দিকে যায়, সেটা বলা যাবে না।
আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত গাজীপুরে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর হেরে যাওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের কাছে দুর্ভেদ্য দুর্গ বলে কিছু নেই। জনগণ যেকোনো দুর্গই ভেঙে দিতে পারে, যদি তারা আস্থা হারিয়ে ফেলে। তবে এই নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, চার সিটি নির্বাচনে দলীয় সমন্বয়হীনতা থাকলেও গাজীপুরে দলগত সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছিল। সারা দেশের নেতা-কর্মীরা সেখানে গিয়ে ভোট চেয়েছেন। দলগতভাবে সর্বোচ্চ শক্তি, শ্রম ও মেধা ব্যয় করা হয়েছে। অতীতে কোনো স্থানীয় নির্বাচনে এমনভাবে নামেনি আওয়ামী লীগ। তার পরও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ভোটাররা।
গাজীপুরে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া একজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ভোট চাইতে গেলে অনেকে বলেছেন, ‘আপনারা পদ্মা সেতু করতে পারলেন না কেন? ওই মন্ত্রীকে বাদ দিলে কী হতো? হল-মার্ক কেলেঙ্কারিতে অভিযোগ পাওয়া উপদেষ্টাকে বাদ দিলেন না কেন?’ এ প্রসঙ্গে এই নেতা বলেন, ‘মানুষের চোখে ধুলা দিয়ে কিছু করা যাবে না। এ নির্বাচনে এটা আমাদের বড় শিক্ষা।’
কয়েকজন নেতা জানান, গাজীপুরের নির্বাচনে বিরোধী দলের নেতিবাচক প্রচারণাও আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর পরাজয়ের অন্যতম কারণ। তারা নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার করেছে। হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে। অপপ্রচার চালিয়ে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পেরেছে। তা ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে গত কয়েক মাসে দেশে যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল, তা ভালোভাবে সামাল দিতে না পারার দায়ও সরকারের ওপর পড়েছে।
বর্তমানে সাংসদ এমন দুজন সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মনে করেন, সংকট দুদিকে। একটি, নেতাদের সঙ্গে কর্মীদের দূরত্ব। অন্যটি, দলের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব। জাতীয় নির্বাচন একেবারে সামনে থাকায় এ দুটো বিষয় একসঙ্গে সামাল দেওয়া খুবই কঠিন।
আ.লীগকে দায়ী করছে জোটের শরিকেরা: ১৪ দলের শরিকেরাও নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য আওয়ামী লীগকেই দায়ী করছে। কারণ, রাষ্ট্র পরিচালনায় বেশ কিছু ত্রুটি জোটের পক্ষ থেকে ধরিয়ে দেওয়া হলেও সরকার তা আমলে নেয়নি। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাংসদ রাশেদ খান মেনন প্রথম আলোকে বলেন, ‘টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির কথা আমরা বহুবার বলেছি। তা ছাড়া সবাইকে আস্থায় নিয়ে সরকার পরিচালনা করা হয়নি। এককেন্দ্রিকভাবে সরকার পরিচালনা করা হয়েছে।’
জাতীয় পার্টির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘গাজীপুরে আমাদের লোকদের সমর্থন থাকা না থাকা তো বিষয় নয়, আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যেই তো ঐক্য ছিল না।’
No comments