সাক্ষাৎকার আমার কষ্ট এক মুহূর্তে ঝেড়ে ফেলেছি: আজমত উল্লা by পার্থ শঙ্কর সাহা ও মোহাম্মদ আলম
১৮ বছর ধরে গাজীপুরের টঙ্গী পৌরসভার মেয়র
ছিলেন। জীবনে হারেননি কোনো নির্বাচনে। সেই আজমত উল্লা খান গত শনিবার
নবগঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে পরাজিত হলেন।
নির্বাচনের
দিন নিজের বিজয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। সেই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি
ছিল, রায় যা-ই হোক, তা মেনে নেবেন। গতকাল রোববার দুপুরে টঙ্গী বাজারের নিজ
বাড়িতে বসে তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করলেন। বললেন, ‘জনগণ যে
রায় দিয়েছে, তা আমি মাথা পেতে নিয়েছি।’
নির্বাচনে ১৪-দলীয় জোট-সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা বললেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, সন্দেহ নেই।’ তবে জামায়াত-শিবিরের ধর্মভিত্তিক মিথ্যা প্রচারণা এবং কালোটাকার কাছে তাঁকে হারতে হয়েছে। সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নির্বাচনে হারার কারণ প্রসঙ্গে আজমত উল্লা বলেন, চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রভাব কিছুটা হলেও গাজীপুরে পড়েছে।
আর দলীয় দ্বন্দ্ব? নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের নেতা জাহাঙ্গীর আলমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে তাঁর উত্তর, ‘কোনো মন্তব্য নেই।’
তবে জাহাঙ্গীরের ভূমিকা নিয়ে আজমত উল্লা যে খুশি নন, তা বুঝিয়ে দিলেন কথায়। বললেন, ‘যদি প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকত, তবে আমার জন্য আরও ভালো হতো।’ পরাজয়ের বিষয়ে বারবার তিনি বলছিলেন, ‘আমি কাউকে দায়ী করতে চাই না। দলের সবাই আমার জন্য সমানভাবে কাজ করেছে।’
নির্বাচনে দলের ভেতর কেউ বিরোধিতা করেছে কি না—এই প্রশ্নের জবাবে আজমত উল্লা বলেন, ‘যদি কেউ পক্ষে কাজ করার কথা বলেও ভেতরে ভেতরে বিরোধিতা করে, তবে বিবেকের দংশনে তিনি বা তাঁরা দংশিত হবেন। আমার যে কষ্ট তা আমি এক মুহূর্তে ঝেড়ে ফেলেছি।’
আজমত উল্লা বললেন, ‘দল আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি সামাজিক এবং রাজনৈতিক কর্মী। তাই দলীয় কাজ শুরু করে দিয়েছি।’
নতুন নির্বাচিত মেয়রকে অভিনন্দন জানিয়ে আজমত উল্লা বলেন, নতুন মেয়র যদি কোনো বিষয়ে তাঁর সহযোগিতা চান, তবে তা দিতে দ্বিধা করবেন না। তিনি আশা করেন, যেসব আশাবাদ নতুন মেয়র জনগণকে দিয়েছেন, তা তিনি মনে রাখবেন। এর সঙ্গে এই অঞ্চলের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন।
এই নির্বাচন আগামী সংসদ নির্বাচনে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন গাজীপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমত উল্লা। তবে এখনই যদি আন্তরিকতা দিয়ে দল গঠনের কাজ শুরু করা হয়, তবে গাজীপুরে দলের ঐতিহ্য ফিরে পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
নির্বাচনে ১৪-দলীয় জোট-সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা বললেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, সন্দেহ নেই।’ তবে জামায়াত-শিবিরের ধর্মভিত্তিক মিথ্যা প্রচারণা এবং কালোটাকার কাছে তাঁকে হারতে হয়েছে। সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নির্বাচনে হারার কারণ প্রসঙ্গে আজমত উল্লা বলেন, চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রভাব কিছুটা হলেও গাজীপুরে পড়েছে।
আর দলীয় দ্বন্দ্ব? নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের নেতা জাহাঙ্গীর আলমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে তাঁর উত্তর, ‘কোনো মন্তব্য নেই।’
তবে জাহাঙ্গীরের ভূমিকা নিয়ে আজমত উল্লা যে খুশি নন, তা বুঝিয়ে দিলেন কথায়। বললেন, ‘যদি প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকত, তবে আমার জন্য আরও ভালো হতো।’ পরাজয়ের বিষয়ে বারবার তিনি বলছিলেন, ‘আমি কাউকে দায়ী করতে চাই না। দলের সবাই আমার জন্য সমানভাবে কাজ করেছে।’
নির্বাচনে দলের ভেতর কেউ বিরোধিতা করেছে কি না—এই প্রশ্নের জবাবে আজমত উল্লা বলেন, ‘যদি কেউ পক্ষে কাজ করার কথা বলেও ভেতরে ভেতরে বিরোধিতা করে, তবে বিবেকের দংশনে তিনি বা তাঁরা দংশিত হবেন। আমার যে কষ্ট তা আমি এক মুহূর্তে ঝেড়ে ফেলেছি।’
আজমত উল্লা বললেন, ‘দল আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি সামাজিক এবং রাজনৈতিক কর্মী। তাই দলীয় কাজ শুরু করে দিয়েছি।’
নতুন নির্বাচিত মেয়রকে অভিনন্দন জানিয়ে আজমত উল্লা বলেন, নতুন মেয়র যদি কোনো বিষয়ে তাঁর সহযোগিতা চান, তবে তা দিতে দ্বিধা করবেন না। তিনি আশা করেন, যেসব আশাবাদ নতুন মেয়র জনগণকে দিয়েছেন, তা তিনি মনে রাখবেন। এর সঙ্গে এই অঞ্চলের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন।
এই নির্বাচন আগামী সংসদ নির্বাচনে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন গাজীপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমত উল্লা। তবে এখনই যদি আন্তরিকতা দিয়ে দল গঠনের কাজ শুরু করা হয়, তবে গাজীপুরে দলের ঐতিহ্য ফিরে পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
No comments