যুক্তরাজ্য থেকে কাতাদাকে জর্ডানে পাঠানো হলো
কট্টরপন্থী
ধর্মীয় নেতা আবু কাতাদাকে যুক্তরাজ্য থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল
রোববার তিনি জন্মভূমি জর্ডানে পৌঁছেছেন। সেখানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত
থাকার অভিযোগে তাঁকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এ ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ
করে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সাংবাদিকদের বলেন, আবু
কাতাদাকে জর্ডানে পাঠাতে পেরে তিনি ‘আনন্দিত’। আবু কাতাদাকে (৫৩) বহনকারী
একটি বিমান গত শনিবার স্থানীয় সময় দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে আরএএফ
নর্থহল্ট বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এর প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর জর্ডানের মার্কা
সামরিক বিমানঘাঁটিতে পৌঁছায়। প্রায় ২০ বছর পর স্বদেশে ফিরলেন আবু কাতাদা।
সেখান থেকে তাঁকে সোজা নিরাপত্তা আদালতে নেওয়া হয়। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে
জড়িত থাকার অভিযোগে আবু কাতাদাকে প্রথম ২০০১ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে
তাঁকে স্বদেশে পাঠানোর জন্য প্রায় আট বছর ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে আসছিল
যুক্তরাজ্য। আবু কাতাদাকে নির্যাতন করা হবে না, এ-সংক্রান্ত
যুক্তরাজ্য-জর্ডান একটি চুক্তি সই হয়। ওই চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে
স্বদেশে পাঠানো সম্ভব হয়। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে বলেন,
‘বিপজ্জনক মানুষটিকে শেষমেশ বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে তাঁর নিজের
দেশে পাঠানো হয়েছে।’ কাতাদাকে বহনকারী ওই বিমানে জর্ডানের আরও ছয়জন
ছিলেন। তাঁদের তিনজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা, একজন মনস্তত্ত্ববিদ, একজন
চিকিৎসক ও একজন আইনজীবী। জর্ডানের একজন সরকারি মুখপাত্র বলেন, কাতাদাকে
বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। বিচারপ্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত
করা হবে। বিবিসি ও এএফপি।
No comments