হট.. হটার.. হটেস্ট
হট.. হটার.. হটেস্ট! এরকমই মন্তব্য শুনতে হবে৷ গায়ে ইয়ে কোমরে জড়ালে৷ পোশাকটার পোশাকি নাম ‘স্কার্ট’৷
একটুকরো
কাপড় আলতো করে কোমর কামড়ে কখনও পায়ের ওপর লুটোপুটি৷ তো কখনও উদ্ধত ভাবে
উঠতে উঠতে হাঁটু বেয়ে তারও ওপরে৷ সব ঋতুতেই দারুণ ‘চলেবল’৷ গরমের পক্ষে
খাসা৷ স্কার্টের সাত সতেরো নিয়ে হাজির উপালি মুখোপাধ্যায়
শুরুটা অ-সভ্য আমলে৷ মানুষ নিজেকে তখনও ঠিক করে ঢাকতে শেখেনি৷ পশুর চামড়া, গাছের ছাল-বাকল দিয়ে ‘কৌপিন’-মার্কা একটুকরো কাপড় জড়াত কোমরে৷ লজ্জাবস্ত্র হিসেবে৷ লম্বায় মেরেকেটে আধ বিঘত৷ এটাই স্কার্টের আদিরূপ৷ তারপর সভ্যতার গাড়ি এগিয়েছে৷ নিজেকে ঢাকতে ঢাকতে মানুষ চাপা পড়ে গেছে ইয়া ইয়া পোশাকের আড়ালে৷ আনুমানিক ভিক্টোরিয় যুগে আবার বিপ্লব পোশাকে৷ ইয়ং কালচার পোশাকের ভার কমাল৷ সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচল হালকা-পুলকা স্কার্ট পড়ে৷ প্রথমে পা পর্যন্ত থাকলেও ধীরে সুস্থে উঠল হাঁটুতে৷ এখন বিশ্ব জুড়ে আবার সেই কৌপিন-যুগ৷ মানে মাইক্রোর রমরমা৷
শরীর জুড়ানো এলে: দোকানে দোকানে তেড়ে ফুঁড়ে সবাইকে ছাপিয়ে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে ম্যাক্সি, মিডি, মাইক্রো৷ এ বলে আমায় পড়, ও বলে আমায়৷ লাইনে আরও আছে৷ এ-লাইন, কার্গো, স্কুটার, পুডল, পেনসিল, র্যাপ অন… কোনটা পরবেন? প্রত্যেকটাই স্টাইলিস্ট৷
প্রথমে ম্যাক্সি স্কার্ট৷ যাঁরা এখনও ততটাও সাহসিনী নন অথচ মনের কোণে ফ্যাশনের ইচ্ছে ঘাই মারছে, তাঁদের জন্য এটা৷ কোমর থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা৷ কোনওটা কোমর চাপা, বাকিটা ছড়ানো৷ কোনটা পেনসিলের মতো সরু৷ কোনওটা আবার স্পিলট্ করা পাশে৷ সেই কাটা অংশ দিয়ে উঁকি-ঝুঁকি নিষিদ্ধ আদিম ইশারার৷ কোনওটার সামনে শুধুই বড় বড় শো বোতাম৷ শো বাড়িয়েছে স্কার্টের৷ এগুলো একরঙা৷ বেশি চলে জেড ব্ল্যাক, অফ হোয়াইট, দুধ সাদা বা প্যাস্টেল৷ এখন আবার ফ্লোরাল, ডিজিটাল ফ্লোরাল, অ্যাবস্ট্রাক্ট, জিওমেট্রিক নকশাও থাকছে এতে৷ প্লিট চাইলে তাও মিলবে৷ সরু কিংবা বক্স (চওড়া)৷ র্যাপ অন-কেও এই দলেই ফেলা ভাল৷ কোমরে কাপড়ের বেল্ট৷ পুরোটাই খোলা বস্ত্র৷ বেল্টের সাহায্যে কোমরের দু’পাশে বেঁধে নিলেই ভোল বদলে স্কার্ট৷
পরের ধাপ মিডি৷ স্কার্টের ঝুল হাঁটু পর্যন্ত৷ একটু ছড়ানো ছিটানো৷ মানে বেশি ঘেরের৷ এতে পোলকা ডট যেমন আছে৷ তেমনি আছে ট্রাইবাল প্রিন্ট৷ সাদার ওপর ফ্লোরাল প্রিন্টের চাহিদা চিরকালের৷ অনেক সময় কোমরটা একটু চাপা হয়৷ তার জন্য চওড়া ইলাস্টিক লুকোনো থাকে আলাদা করে বসানো কাপড়ে নিচে৷ এ-লাইন আর পুডল এই তালিকায়৷ এ-লাইনের স্কার্টের শেপ ইংরেজি ‘এ’ অক্ষরের মতো৷ আর পুডল কোমরে চাপা ইলাস্টিকওয়ালা বড় ঘেরের৷ এতেও প্লিট আছে৷ আর আছে বড় সাদা-কালো বা লাল-কালো চেকস৷ একরঙাও হয়৷
বাকি রইল মিনি-মাইক্রো৷ এটা কেবল সাহসী নয়, দুঃসাহসীদের জন্য৷ কত্তো রকমের মিনি বেরিয়েছে৷ এখানেও চেকস, পোলকা, ফ্লোরাল, লিপস্টিক প্রিন্ট (ছোট ডট বা বিন্দু) কমন ফ্যাক্টর৷ ‘জরা হটকে’ হতে চাইলে পরতে হবে অ্যাসিড ওয়াশ, লেপার্ড স্কেটার (সারা গায়ে চিতাবাঘের ছাপ৷ স্কার্টটা চাপা নয়) জিপ উইথ সাইড প্লিট (সামনে চেন, পাশে অল্প কাটা), ম্যাংগো স্কার্ট (আমের আকারে এবং রঙে), গেম প্লেয়ার (এরই আরেক নাম কার্গো৷ কার্গো প্যান্টের মতো অনেক ছোট-বড় পকেট), টাই অ্যান ডাই, জেব্রা প্রিন্ট (কালোর ওপর সাদা ও রকমারি রঙের স্ট্রাইপ), ফ্লিপি মাইক্রো (কোমর চাপা নিচে ছড়ানো), এমব্রয়ডারিড (সূঁচ-সুতোর কাজ), ফ্লোরাল জেব্রা (সাদার ওপর কালো স্ট্রাইপ, রঙিন ফুল একসঙ্গে)৷ এখানেই পাবেন স্কুটার স্কার্টকে৷ স্কার্টের নিচে আলাদা কাপড় দিয়ে প্যান্টের মতো করা৷ স্কার্ট-প্যান্টের চমত্কার সহবাস৷
মেটেরিয়ালের ছড়াছড়ি: স্কার্ট বেশি তৈরি হয় ডেনিম জিনস, জার্সি বা পপলিনের৷ এখন লেদার, শিফন, কটন, লেস, জ্যাকোয়ার্ড দিয়েও বানানো হচ্ছে৷ ডেনিমে হচ্ছে অ্যাসিড ওয়াশ, ট্রাইবাল প্রিন্ট৷ লেদারের স্কার্টগুলো একরঙা৷ সাদা, কালো ছাড়াও শকিং পিঙ্ক, ভাইব্রান্ট গ্রিন, টম্যাটো অরেঞ্জ কালার রয়েছে৷ লেসের স্কার্ট মানেই সেলফ মোটিফ৷ জ্যাকোয়ার্ডও তাই৷ এগুলো সাদা বা কালোর ওপর বেশি হয়৷ ফ্লোরাল প্রিন্ট শুধুই শিফনের ওপর৷ লেস আর শিফনের স্কার্টে লাইনিন দেওয়া থাকে৷
কাদের জন্য এসব: বলুন কাদের জন্য নয়৷ গেঁড়ি থেকে ফিফটি প্লাস- চাইলেই পরতে পারেন আরামদায়ক পোশাকটাকে৷ তবে অবশ্যই সব রকমের স্কার্ট সবার জন্য নয়৷ মাইক্রো ছো থেকে আঠের বা কুড়ি৷ ফিগার স্লিম-ট্রিম হলে তার ওপরেও উঠতে পারে৷ তবে বয়স গড়িয়ে পঁয়ত্রিশের বেড়া ডিঙলে আস্তে আস্তে মিডি বা লং স্কার্টের দিকে এগোন৷ আভিজাত্য আর আধুনিকতা হাত ধরাধরি করে আপনার চেহারায়৷ অফিস, আউটিং, নিশি বাসরের আসর জমাতে স্কার্টের জুড়িদার নেই৷ তবে মাইক্রো অফিসে কতটা চলবে সেটা কিন্ত্ত নির্ভর করছে আপনার ক্যারি করার ওপর৷ এর সঙ্গে মানানসই টপ বাছতে ভুলবেন না৷ সেটা হ
No comments