তত্ত্বাবধায়কে এত ভয় কেন? by অনুরূপ আইচ
বর্তমান সরকারের মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে সবখানে। সব শ্রেণী-পেশার মানুষ
আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ করছেন। আগামী নির্বাচনে কারা
জিতবেÑ এ নিয়ে যেমন আলোচনা চলছে, পাশাপাশি নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়েও নানা
প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে জনসাধারণের মাঝে। বেশ কিছুদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী
বিভিন্ন ভাষণে বলেছেন, তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে
অনাগ্রহী। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে। তিনি বিরোধীদলীয়
নেতাকে সতর্ক করে বলেছেন, আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে ভবিষ্যতে দুই
নেত্রীকেই জেলে নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রত্যুত্তরে এখনও
মুখ খোলেননি বিরোধীদলীয় নেতা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধী দল অনড়। সরকারি দলও শক্ত মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে এ ইস্যুতে। এ নিয়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত। তাই দলনিরপেক্ষ জনগণের মনে প্রশ্ন জাগছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে কেন এত ভয় পাচ্ছে আওয়ামী লীগ? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যতবারই ক্ষমতায় এসেছে, প্রতিবারই তারা তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন করেই এসেছে। শুধু তাই নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তনের জন্য আওয়ামী লীগ একসময় প্রবল আন্দোলন করেছিল। হুট করে এমন কী ঘটল যে, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বাঘের মতো ভয় পেতে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ দোহাই দিচ্ছে এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের। ভুলে গেলে চলবে না, এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের গোঁয়ার্তুমির কারণে। সে সময় চারদলীয় জোট সরকার বিরোধী দলকে উপেক্ষা করতে চেয়েছিল বলেই সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল। এখনও সবার পরিষ্কার মনে আছে, তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার বিরোধী দলকে কিংবা তাদের যৌক্তিক দাবিগুলোকে পাত্তাই দিতে চায়নি। ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছিল তৎকালীন সরকার। এ কারণে এক-এগারোর সরকার ক্ষমতা নিলে সাধারণ মানুষ উল্লাস প্রকাশ করেছিল। কারণ দেশের মানুষ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চায় না। জনগণ শান্তি চায়। ঘুরেফিরে সেই এক-এগারোর পরিস্থিতির দিকে দেশকে নিয়ে যাচ্ছে কেন রাজনৈতিক দলগুলো?
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। আমাদের দেখাদেখি পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে। এর আগেও বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তা ছিল শান্তিপূর্ণ। সেসব নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতিও ছিল সন্তোষজনক। এমনকি এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচিত সরকারকেও সাদরে গ্রহণ করেছিল দেশের মানুষ। তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে এত আপত্তি কেন আওয়ামী লীগের?
শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। তবুও তারই চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশে পঁচাত্তর-পরবর্তী দলীয় সরকারের অধীনে যতগুলো জাতীয় নির্বাচন হয়েছে, সবই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। দেশের মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা পেয়ে জেনেছে, দেশে এখনও দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে হয়তো সরকারি দল বলতে পারে, তাহলে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিরোধীদলীয় সমর্থিত প্রার্থী জিতলেন কী করে? তার উত্তরে বলা যায়, খালেদা জিয়া সরকারের আমলেও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী জিতেছিলেন। বিএনপির আমলে অনেক উপনির্বাচনে জিতেছিল আওয়মী লীগ। মোট কথা, দু-এক জায়গার নির্বাচনের উদাহরণ কখনোই টানা যাবে না জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে। তাছাড়া সরকার যদি মনে করে, কয়েকটি বিশেষ দলের দাবি মানে জনগণের দাবি নয়। সেক্ষেত্রে সরকার হ্যাঁ-না নির্বাচন দিতে পারে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রণয়নের ক্ষেত্রে। এটাও না করে যদি সরকার নিজের সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করে, সেক্ষেত্রে অতীতের সরকারগুলোর মতোই পরিণতি মেনে নিতে হবে। অনেকেই অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়। বর্তমান সরকারেরও নেয়া উচিত। নইলে সরকারি দল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। অতীতের এমন অনেক রেকর্ড রয়েছে। কোনো একটা বিষয় নিয়ে সরকারি দল যদি গোঁয়ার্তুমি করতে করতে মানুষকে বিরক্ত করে ফেলে, তখন সরকার হয়ে পড়ে গণবিচ্ছিন্ন। সরকারের ভালো কাজগুলোর কথাও ভুলে যায় জনগণ।
আওয়ামী লীগ যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল, তখন অনেককে বলতে শুনেছি, বিএনপি সরকার তত্ত্বাবধায়কের দাবি মেনে নিলেই হয়। তাহলে তো দেশে অরাজকতা হয় না। সে সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মানার কারণে অরাজক পরিস্থিতির জন্য জনগণ দায়ী করেছিল বিএনপিকে। ঠিক একইভাবে ভবিষ্যতে মানুষ দায়ী করবে আওয়ামী লীগকে। তখন আওয়ামী লীগের অবস্থাও অতীতের বিএনপি সরকারের মতো হবে।
বিএনপি সরকার যদি স্বচ্ছভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন করত, তবে ওয়ান-ইলেভেনের সৃষ্টি হতো না। মাইনাস টু ফর্মুলার কথাও উচ্চারিত হতো না। দুই নেত্রীসহ একাধিক রাজনীতিককে জেলে যেতে হতো না। তিন মাসের বদলে দুই বছর ক্ষমতা দখল করে থাকতে পারত না ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আরও কথা থেকে যায়। ওয়ান-ইলেভেনের সরকার যদি এতই খারাপ হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেসব ব্যক্তিকে কেন আইনের মুখোমুখি করল না? যদি এক-এগারোর কর্তাব্যক্তিরা দোষী হতেন এবং যদি তাদের বিচারের প্রক্রিয়ায় আনা হতো, তাহলে কেউ আর সংবিধান লংঘন করার সাহস পেত না।
এসবের কিছুই করেনি বর্তমান সরকার। কাজেই তাদের মুখে ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের বিরুদ্ধাচরণ চলে না। সত্যিই যদি ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকত আওয়ামী লীগের, তবে তারা ক্ষমতায় এসে সর্বপ্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বচ্ছ রূপরেখা তৈরি করে আইন প্রণয়ন করত সংসদে। তাই আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভীতিকে লোক দেখানো মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। নইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগের এত ভয়ের কোনো কারণ নেই।
অনুরূপ আইচ : লেখক ও সাংবাদিক
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধী দল অনড়। সরকারি দলও শক্ত মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে এ ইস্যুতে। এ নিয়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত। তাই দলনিরপেক্ষ জনগণের মনে প্রশ্ন জাগছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে কেন এত ভয় পাচ্ছে আওয়ামী লীগ? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যতবারই ক্ষমতায় এসেছে, প্রতিবারই তারা তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন করেই এসেছে। শুধু তাই নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তনের জন্য আওয়ামী লীগ একসময় প্রবল আন্দোলন করেছিল। হুট করে এমন কী ঘটল যে, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বাঘের মতো ভয় পেতে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ দোহাই দিচ্ছে এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের। ভুলে গেলে চলবে না, এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের গোঁয়ার্তুমির কারণে। সে সময় চারদলীয় জোট সরকার বিরোধী দলকে উপেক্ষা করতে চেয়েছিল বলেই সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল। এখনও সবার পরিষ্কার মনে আছে, তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার বিরোধী দলকে কিংবা তাদের যৌক্তিক দাবিগুলোকে পাত্তাই দিতে চায়নি। ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছিল তৎকালীন সরকার। এ কারণে এক-এগারোর সরকার ক্ষমতা নিলে সাধারণ মানুষ উল্লাস প্রকাশ করেছিল। কারণ দেশের মানুষ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চায় না। জনগণ শান্তি চায়। ঘুরেফিরে সেই এক-এগারোর পরিস্থিতির দিকে দেশকে নিয়ে যাচ্ছে কেন রাজনৈতিক দলগুলো?
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। আমাদের দেখাদেখি পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে। এর আগেও বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তা ছিল শান্তিপূর্ণ। সেসব নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতিও ছিল সন্তোষজনক। এমনকি এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচিত সরকারকেও সাদরে গ্রহণ করেছিল দেশের মানুষ। তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে এত আপত্তি কেন আওয়ামী লীগের?
শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। তবুও তারই চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশে পঁচাত্তর-পরবর্তী দলীয় সরকারের অধীনে যতগুলো জাতীয় নির্বাচন হয়েছে, সবই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। দেশের মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা পেয়ে জেনেছে, দেশে এখনও দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে হয়তো সরকারি দল বলতে পারে, তাহলে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিরোধীদলীয় সমর্থিত প্রার্থী জিতলেন কী করে? তার উত্তরে বলা যায়, খালেদা জিয়া সরকারের আমলেও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী জিতেছিলেন। বিএনপির আমলে অনেক উপনির্বাচনে জিতেছিল আওয়মী লীগ। মোট কথা, দু-এক জায়গার নির্বাচনের উদাহরণ কখনোই টানা যাবে না জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে। তাছাড়া সরকার যদি মনে করে, কয়েকটি বিশেষ দলের দাবি মানে জনগণের দাবি নয়। সেক্ষেত্রে সরকার হ্যাঁ-না নির্বাচন দিতে পারে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রণয়নের ক্ষেত্রে। এটাও না করে যদি সরকার নিজের সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করে, সেক্ষেত্রে অতীতের সরকারগুলোর মতোই পরিণতি মেনে নিতে হবে। অনেকেই অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়। বর্তমান সরকারেরও নেয়া উচিত। নইলে সরকারি দল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। অতীতের এমন অনেক রেকর্ড রয়েছে। কোনো একটা বিষয় নিয়ে সরকারি দল যদি গোঁয়ার্তুমি করতে করতে মানুষকে বিরক্ত করে ফেলে, তখন সরকার হয়ে পড়ে গণবিচ্ছিন্ন। সরকারের ভালো কাজগুলোর কথাও ভুলে যায় জনগণ।
আওয়ামী লীগ যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল, তখন অনেককে বলতে শুনেছি, বিএনপি সরকার তত্ত্বাবধায়কের দাবি মেনে নিলেই হয়। তাহলে তো দেশে অরাজকতা হয় না। সে সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মানার কারণে অরাজক পরিস্থিতির জন্য জনগণ দায়ী করেছিল বিএনপিকে। ঠিক একইভাবে ভবিষ্যতে মানুষ দায়ী করবে আওয়ামী লীগকে। তখন আওয়ামী লীগের অবস্থাও অতীতের বিএনপি সরকারের মতো হবে।
বিএনপি সরকার যদি স্বচ্ছভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন করত, তবে ওয়ান-ইলেভেনের সৃষ্টি হতো না। মাইনাস টু ফর্মুলার কথাও উচ্চারিত হতো না। দুই নেত্রীসহ একাধিক রাজনীতিককে জেলে যেতে হতো না। তিন মাসের বদলে দুই বছর ক্ষমতা দখল করে থাকতে পারত না ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আরও কথা থেকে যায়। ওয়ান-ইলেভেনের সরকার যদি এতই খারাপ হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেসব ব্যক্তিকে কেন আইনের মুখোমুখি করল না? যদি এক-এগারোর কর্তাব্যক্তিরা দোষী হতেন এবং যদি তাদের বিচারের প্রক্রিয়ায় আনা হতো, তাহলে কেউ আর সংবিধান লংঘন করার সাহস পেত না।
এসবের কিছুই করেনি বর্তমান সরকার। কাজেই তাদের মুখে ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের বিরুদ্ধাচরণ চলে না। সত্যিই যদি ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকত আওয়ামী লীগের, তবে তারা ক্ষমতায় এসে সর্বপ্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বচ্ছ রূপরেখা তৈরি করে আইন প্রণয়ন করত সংসদে। তাই আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভীতিকে লোক দেখানো মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। নইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগের এত ভয়ের কোনো কারণ নেই।
অনুরূপ আইচ : লেখক ও সাংবাদিক
No comments