সমাজ শিশুর মনোজগৎ নির্মাণ by উম্মে মুসলিমা
প্রথম আলোয় কাবেরী গায়েনের ‘কালো মিতু ও
ফরসা অন্ধকার’ পড়তে গিয়ে মনে হলো, শিশুমনে সাদা-কালোর ধারণা আমরাই
প্রতিষ্ঠিত করে দিই। প্রতিটি পরিবারেই কোনো না কোনো সময় নতুন শিশুর আগমন
ঘটে।
শিশুদের আমরা যেমন খুশি তেমন করে গড়তে পারি। তবে ১২
বছর পর নাকি তাদের কোমর শক্ত হয়ে যায়। আর ভেঙে গড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই
যা কিছু করার বারোর আগেই করতে হবে। মা-বাবার সম্পর্ক, ছেলেমেয়ের পার্থক্য,
নারী-পুরুষের বৈষম্য, আপন-পর ভাবনা, ঊর্ধ্বতন-অধস্তনের ধারণা, সাদা-কালোর
ভালোমন্দ, গরিব-ধনীর ব্যবধান, আরাম-আয়েশের ধারণা, খাবারদাবারের অভ্যস্ততা,
শিল্প-সংস্কৃতির পাঠদান ইত্যাদি বিষয়ে শিশুর সামনে যে ধরনের আচরণ করা হবে
বা শিশুকে যা শেখানো হবে, শিশু সেই মানসিকতাতেই বেড়ে উঠবে। পরিবেশের প্রভাব
কেউ এড়াতে পারে না।
মা-বাবার সম্পর্ক শিশুমনে গভীরভাবে রেখাপাত করে। পিতৃতান্ত্রিক সমাজে পুরুষ পরিবারের প্রধান। পুরুষের সিদ্ধান্তের ওপর সংসার পরিচালিত হয়। শিশুর মা-বাবা দুজনেই রোজগেরে হওয়া সত্ত্বেও শিশু যখন দেখে, দিনান্তে ঘরে ফিরে মা রান্নাঘরে ঢুকছে, বাবা টিভির সামনে গা এলিয়ে বসে ‘চা দাও’ বলে হুকুম জারি করছে, রাতের রান্না ভালো হয়নি বলে রেগেমেগে টেবিল থেকে উঠে যাচ্ছে, সকালে নাশতা দিতে দেরি হচ্ছে বলে খিস্তিখেউড় করছে, শিশুর স্কুলের ফলাফল ভালো হয়নি বলে মাকেই দোষারোপ করছে, তখন শিশুমনে বদ্ধমূল হয়ে ওঠে সব দোষ মায়ের। কারণ, এসব কাজের জন্যই মা। ওদিকে শিশু মা-বাবা দুজনকেই ভালোবাসে। মা-বাবার সম্পর্কের টানাপোড়েন এক দিকে শিশুকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, অপর দিকে মা-বাবার একে অন্যের প্রতি আচরণ মেয়েশিশু ও ছেলেশিশুকে বিসমচরিত্রের মানুষে পরিণত করে। মেয়েশিশু ভাবে, আমাকে মায়ের মতো মুখ বুজে সহ্য করা শিখতে হবে আর ছেলেশিশু ভাবে, পুরুষই অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত। শিক্ষা, সচেতনতা, নারীর ক্ষমতার স্বীকৃতি ও সংস্কৃতিবোধ খুব অল্পসংখ্যক মানুষকে বৈষম্যপূর্ণ আচার-ব্যবহারে কুণ্ঠিত করলেও এগুলোর কোনোটাই অধিকাংশকে পরিবর্তিত করেনি। একটি শিশু ছেলে না মেয়ে, সেই ধারণার বীজ বপন না করে, সে যেন বুঝতে পারে সে মানুষ।
শিশু কোনো কারণে মাতুলালয়ে বড় হলেও তাকে শেখানো হয়, ওটা তার আসল ঠিকানা নয়। নানা-নানি-মামা-খালাদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় বেড়ে ওঠা শিশুটি যখন সবচেয়ে অনিরাপদ ও স্পর্শকাতর সময় অতিক্রম করে কথা বলা শুরু করে, তখন পিতৃগৃহে ফিরে যায়। পরেরবার বেড়াতে আসা সে রকম এক নাতি নাকি অপত্যস্নেহে মানুষ করা তার নানিকে বলেছিল, ‘তোমরা থাকো, আমি এখন বাড়ি যাব।’ আবার শিশু জন্মের পর সবাই শিশুটির চেহারায় বাবা-দাদা-চাচা-ফুফুদের চেহারা খুঁজে পায়। অনেক শিশুর চেহারা অবিকল মায়ের মতো হলেও স্বভাবে পিতৃকুলের ছাপ খুঁজে পেতে সচেষ্ট হয়।
আর শিশুর গায়ের রং নিয়ে আদিখ্যেতা তো আছেই। ফরসা শিশুদের বলা হয়, ‘একেবারে যেন সাহেবের বাচ্চা!’ কারও বাচ্চা হলে প্রথমে জিজ্ঞাসা করা হয় ছেলে না মেয়ে? ছেলে হলে কথা নেই। কিন্তু প্রথম বাচ্চা মেয়ে হলেই সবার মুখ ভার। তার পরের প্রশ্ন কালো না ফরসা। চেহারা কার মতো? বাবার মতো শুনলে অনেকেই স্বস্তি পায়। যে শিশু ‘ফরসা’, ‘সাদা’ ‘দুধে-আলতা’, ‘ইউরোপিয়ানদের মতো’, ‘ধবধবে’ ‘ফুটফুটে’ প্রভৃতি বিশেষণ শুনতে শুনতে বড় হয়, সে ‘কালো’কে তার তুলনায় হীন ভাবতে শুরু করে। একজন মা বলছিলেন, ‘আমার বাচ্চা আমাদের গৃহপরিচারিকার কোলে যেতে চায় না। ও যে কালো, তাই।’ এক শিশুকে তার এক কালো আত্মীয়া কোলে নিতে গেলে সে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে।
কালো মানেই খারাপ—এ ধারণা আমরাই শিশুদের মনে ঢুকিয়ে দিই। এ ধারণা নিয়ে কোনো ছেলেশিশু বড় হয়ে কালো মিতুকে গঞ্জনা দেয়, কালো মিতু নিজেকে অবাঞ্ছিত ভাবতে ভাবতে আত্মহত্যায় স্বস্তি খুঁজে পায়। বর্ণবৈষম্যের গুরু আমরাই। শিশুর জন্য কেমন ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে, আমরা কেউ তা জানি না। আমরা যারা তার পাশে আছি, একদিন সবাই থাকব বা সে যে পরিবেশে, আরাম-আয়েশে বড় হচ্ছে, ভবিষ্যতেও সেই একই অবস্থা পাবে—এর নিশ্চয়তা কি আমরা দিতে পারি? আজকাল নাগরিক জীবনে একটা বা দুটো বাচ্চা নিয়ে সংসার। বেশি নজর দিতে গিয়ে আমরা শিশুদের পরনির্ভরশীল করে তুলছি। পারলে তাদের বাহ্যক্রিয়াদিও মা-বাবাই সেরে দেন। কিন্তু আত্মনির্ভরশীল ও কষ্টসহিষ্ণু না হলে আত্মবিশ্বাস জন্মায় না এবং আত্মবিশ্বাসই প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বশর্ত। জনসংখ্যা কমাতে সরকারি উৎসাহে ‘দুটোর বেশি সন্তান নয়, একটি হলে ভালো হয়’ ধারা বজায় রাখতে গিয়ে শিক্ষিত সমাজের মধ্যে জন্মহার কমলেও দেশ এর সুফল লাভে বঞ্চিত হচ্ছে। কেননা, মানুষ করার গলদে মানবসম্পদে পরিণত না হয়ে সন্তানেরা মানবাপদে পর্যবসিত হচ্ছে। একটি আত্মপ্রত্যয়ী, কর্মঠ, শক্তসমর্থ প্রজন্ম ছাড়া এ দুর্ভাগা দেশের পরনির্ভরশীলতা কে কমাবে? আমরা মা-বাবারাই কি ওদের হাত-পা ভেঙে দিচ্ছি না? যারা এ দেশের ভবিষ্যৎ, বিকলাঙ্গ দেহমন নিয়ে ওরা নিজেরাই যদি না বাঁচতে পারল, তাহলে দেশটাকে বাঁচাবে কারা?
শিল্প-সংস্কৃতিবোধও শিশুদের ভেতর শৈশবে জাগ্রত করানো প্রয়োজন। শিশুকে শুধু টিভির সামনে বসিয়ে না রেখে, বিশেষ করে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করে দেওয়া পরিবারের সবার দায়িত্ব। পড়ুয়াদের চিন্তার জগৎ অনেক বিস্তৃত, অনেক গভীর। চিন্তাশক্তিকে ধারালো করার প্রধান উপায় বই পড়া। মানবিক গুণাবলি অর্জনেও বই পড়ার ভূমিকা দৃশ্যমাধ্যম-শিল্পের ভূমিকার চেয়ে বেশি। প্রতিটি পরিবারেই শিশুদের ম্যাগাজিন ও শিশুতোষ পত্রপত্রিকা নিয়মিতভাবে রাখা উচিত। ঠাকুরমার ঝুলি বা ফেইরিটেল-এর সিডি চালিয়ে দিলে শিশু হয়তো কিছুক্ষণের জন্য বিনোদিত হবে, কিন্তু সে চোখ বন্ধ করে কোনো দিন তেপান্তরের মাঠ পেরোতে পারবে না, খোলা আকাশ তাকে জ্যোৎস্না দেখতে ডাকবে না বা বর্ষার দিন তাকে বিষণ্ন করে তুলবে না। মানবিক গুণাবলি অর্জনের জন্য বই যেমন শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে, তেমনি কাব্যতার প্রলেপ হূদয়ের নাব্যতা বাড়িয়ে শিশুকে করে তোলে নদীর মতো নিঃস্বার্থ।
উম্মে মুসলিমা: সাহিত্যিক।
মা-বাবার সম্পর্ক শিশুমনে গভীরভাবে রেখাপাত করে। পিতৃতান্ত্রিক সমাজে পুরুষ পরিবারের প্রধান। পুরুষের সিদ্ধান্তের ওপর সংসার পরিচালিত হয়। শিশুর মা-বাবা দুজনেই রোজগেরে হওয়া সত্ত্বেও শিশু যখন দেখে, দিনান্তে ঘরে ফিরে মা রান্নাঘরে ঢুকছে, বাবা টিভির সামনে গা এলিয়ে বসে ‘চা দাও’ বলে হুকুম জারি করছে, রাতের রান্না ভালো হয়নি বলে রেগেমেগে টেবিল থেকে উঠে যাচ্ছে, সকালে নাশতা দিতে দেরি হচ্ছে বলে খিস্তিখেউড় করছে, শিশুর স্কুলের ফলাফল ভালো হয়নি বলে মাকেই দোষারোপ করছে, তখন শিশুমনে বদ্ধমূল হয়ে ওঠে সব দোষ মায়ের। কারণ, এসব কাজের জন্যই মা। ওদিকে শিশু মা-বাবা দুজনকেই ভালোবাসে। মা-বাবার সম্পর্কের টানাপোড়েন এক দিকে শিশুকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, অপর দিকে মা-বাবার একে অন্যের প্রতি আচরণ মেয়েশিশু ও ছেলেশিশুকে বিসমচরিত্রের মানুষে পরিণত করে। মেয়েশিশু ভাবে, আমাকে মায়ের মতো মুখ বুজে সহ্য করা শিখতে হবে আর ছেলেশিশু ভাবে, পুরুষই অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত। শিক্ষা, সচেতনতা, নারীর ক্ষমতার স্বীকৃতি ও সংস্কৃতিবোধ খুব অল্পসংখ্যক মানুষকে বৈষম্যপূর্ণ আচার-ব্যবহারে কুণ্ঠিত করলেও এগুলোর কোনোটাই অধিকাংশকে পরিবর্তিত করেনি। একটি শিশু ছেলে না মেয়ে, সেই ধারণার বীজ বপন না করে, সে যেন বুঝতে পারে সে মানুষ।
শিশু কোনো কারণে মাতুলালয়ে বড় হলেও তাকে শেখানো হয়, ওটা তার আসল ঠিকানা নয়। নানা-নানি-মামা-খালাদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় বেড়ে ওঠা শিশুটি যখন সবচেয়ে অনিরাপদ ও স্পর্শকাতর সময় অতিক্রম করে কথা বলা শুরু করে, তখন পিতৃগৃহে ফিরে যায়। পরেরবার বেড়াতে আসা সে রকম এক নাতি নাকি অপত্যস্নেহে মানুষ করা তার নানিকে বলেছিল, ‘তোমরা থাকো, আমি এখন বাড়ি যাব।’ আবার শিশু জন্মের পর সবাই শিশুটির চেহারায় বাবা-দাদা-চাচা-ফুফুদের চেহারা খুঁজে পায়। অনেক শিশুর চেহারা অবিকল মায়ের মতো হলেও স্বভাবে পিতৃকুলের ছাপ খুঁজে পেতে সচেষ্ট হয়।
আর শিশুর গায়ের রং নিয়ে আদিখ্যেতা তো আছেই। ফরসা শিশুদের বলা হয়, ‘একেবারে যেন সাহেবের বাচ্চা!’ কারও বাচ্চা হলে প্রথমে জিজ্ঞাসা করা হয় ছেলে না মেয়ে? ছেলে হলে কথা নেই। কিন্তু প্রথম বাচ্চা মেয়ে হলেই সবার মুখ ভার। তার পরের প্রশ্ন কালো না ফরসা। চেহারা কার মতো? বাবার মতো শুনলে অনেকেই স্বস্তি পায়। যে শিশু ‘ফরসা’, ‘সাদা’ ‘দুধে-আলতা’, ‘ইউরোপিয়ানদের মতো’, ‘ধবধবে’ ‘ফুটফুটে’ প্রভৃতি বিশেষণ শুনতে শুনতে বড় হয়, সে ‘কালো’কে তার তুলনায় হীন ভাবতে শুরু করে। একজন মা বলছিলেন, ‘আমার বাচ্চা আমাদের গৃহপরিচারিকার কোলে যেতে চায় না। ও যে কালো, তাই।’ এক শিশুকে তার এক কালো আত্মীয়া কোলে নিতে গেলে সে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে।
কালো মানেই খারাপ—এ ধারণা আমরাই শিশুদের মনে ঢুকিয়ে দিই। এ ধারণা নিয়ে কোনো ছেলেশিশু বড় হয়ে কালো মিতুকে গঞ্জনা দেয়, কালো মিতু নিজেকে অবাঞ্ছিত ভাবতে ভাবতে আত্মহত্যায় স্বস্তি খুঁজে পায়। বর্ণবৈষম্যের গুরু আমরাই। শিশুর জন্য কেমন ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে, আমরা কেউ তা জানি না। আমরা যারা তার পাশে আছি, একদিন সবাই থাকব বা সে যে পরিবেশে, আরাম-আয়েশে বড় হচ্ছে, ভবিষ্যতেও সেই একই অবস্থা পাবে—এর নিশ্চয়তা কি আমরা দিতে পারি? আজকাল নাগরিক জীবনে একটা বা দুটো বাচ্চা নিয়ে সংসার। বেশি নজর দিতে গিয়ে আমরা শিশুদের পরনির্ভরশীল করে তুলছি। পারলে তাদের বাহ্যক্রিয়াদিও মা-বাবাই সেরে দেন। কিন্তু আত্মনির্ভরশীল ও কষ্টসহিষ্ণু না হলে আত্মবিশ্বাস জন্মায় না এবং আত্মবিশ্বাসই প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বশর্ত। জনসংখ্যা কমাতে সরকারি উৎসাহে ‘দুটোর বেশি সন্তান নয়, একটি হলে ভালো হয়’ ধারা বজায় রাখতে গিয়ে শিক্ষিত সমাজের মধ্যে জন্মহার কমলেও দেশ এর সুফল লাভে বঞ্চিত হচ্ছে। কেননা, মানুষ করার গলদে মানবসম্পদে পরিণত না হয়ে সন্তানেরা মানবাপদে পর্যবসিত হচ্ছে। একটি আত্মপ্রত্যয়ী, কর্মঠ, শক্তসমর্থ প্রজন্ম ছাড়া এ দুর্ভাগা দেশের পরনির্ভরশীলতা কে কমাবে? আমরা মা-বাবারাই কি ওদের হাত-পা ভেঙে দিচ্ছি না? যারা এ দেশের ভবিষ্যৎ, বিকলাঙ্গ দেহমন নিয়ে ওরা নিজেরাই যদি না বাঁচতে পারল, তাহলে দেশটাকে বাঁচাবে কারা?
শিল্প-সংস্কৃতিবোধও শিশুদের ভেতর শৈশবে জাগ্রত করানো প্রয়োজন। শিশুকে শুধু টিভির সামনে বসিয়ে না রেখে, বিশেষ করে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করে দেওয়া পরিবারের সবার দায়িত্ব। পড়ুয়াদের চিন্তার জগৎ অনেক বিস্তৃত, অনেক গভীর। চিন্তাশক্তিকে ধারালো করার প্রধান উপায় বই পড়া। মানবিক গুণাবলি অর্জনেও বই পড়ার ভূমিকা দৃশ্যমাধ্যম-শিল্পের ভূমিকার চেয়ে বেশি। প্রতিটি পরিবারেই শিশুদের ম্যাগাজিন ও শিশুতোষ পত্রপত্রিকা নিয়মিতভাবে রাখা উচিত। ঠাকুরমার ঝুলি বা ফেইরিটেল-এর সিডি চালিয়ে দিলে শিশু হয়তো কিছুক্ষণের জন্য বিনোদিত হবে, কিন্তু সে চোখ বন্ধ করে কোনো দিন তেপান্তরের মাঠ পেরোতে পারবে না, খোলা আকাশ তাকে জ্যোৎস্না দেখতে ডাকবে না বা বর্ষার দিন তাকে বিষণ্ন করে তুলবে না। মানবিক গুণাবলি অর্জনের জন্য বই যেমন শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে, তেমনি কাব্যতার প্রলেপ হূদয়ের নাব্যতা বাড়িয়ে শিশুকে করে তোলে নদীর মতো নিঃস্বার্থ।
উম্মে মুসলিমা: সাহিত্যিক।
No comments