'দিস ইজ দ্য লেসন ফর আওয়ামী লীগ'
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী
লীগের প্রার্থীর বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজয়ের বিষয় উল্লেখ করে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, দিস ইজ দ্য
লেসন ফর আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগকে এ নির্বাচন
থেকে ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা নিতে হবে।' প্রার্থী নির্বাচন, জাতীয় কয়েকটি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এ
উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে চাপিয়ে দিলেই যে প্রার্থীকে পাস করানো
সম্ভব হয় না, গাজীপুরের নির্বাচন তারই প্রমাণ। তিনি বলেন, গাজীপুরে আওয়ামী
লীগের যে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন তাঁকে দিলে হয়তো আরো ভালো করতেন।
শনিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার নির্বাচন পর্যালোচনাভিত্তিক টক শো ভোটের ফল অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিক জ ই মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা।
আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক গাজীপুরের নির্বাচনে ভোটের ফলাফলে এগিয়ে থাকা বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নানের কাছে সরাসরি সম্প্রচার মাধ্যমে জানতে চান, এই যে ভোট অনুষ্ঠিত হলো এটা তো সুষ্ঠু হয়েছে। আপনি বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন। আপনি কি মনে করেন, এ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন হওয়া যায়।
জবাবে অধ্যাপক এম এ মান্নান তাঁকে বিজয়ী করার জন্য গাজীপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এখানে যদিও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, তবে এটা তো আর দেশের ক্ষমতার পরিবর্তন করে না। তাই এটা ঠিক নয় যে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন হতে হবে অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, মান্নান ভাই এ নির্বাচন আগামী নির্বাচনে কি কোনো প্রভাব ফেলবে বলে আপনি মনে করেন।
জবাবে অধ্যাপক এম এ মান্নান বলেন, হ্যাঁ অবশ্যই এ জন্য যে এই ভোটাররাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবে। তিনি বলেন, গাজীপুরের জনগণ সরকারের মামলা-হামলা ও দুঃশাসনের জবাব দিয়েছে। আগামীতেও দেবে।
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, আগামীতে গাজীপুর বা অন্য চারটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় কি কোনো প্রভাব ফেলবে। তাহলে তা কিভাবে।
জবাবে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া আগামীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। কারণ এখানে স্থানীয় নির্বাচনে খুব কাছে থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ আছে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে একই দিনে দেশের ৩০০টি আসনে একযোগে নির্বাচন হবে। এখানে স্থানীয় নির্বাচনের মতো খুব কাছে থেকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ থাকে না। এ জন্য সরকারকে ওই সময়কালীন নিরপেক্ষ হতে হয়। তিনি বলেন, ওই সময় সরকার যদি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চায় তবে তা সম্ভব। কারণ নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ৩০০ আসনে একা তদারকি করা সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে একটি বাড়তি সমস্যা আছে এটা কেউ এখনো সে রকমভাবে বলছে না। আর তা হলো সাংবিধানিক সমস্যা। সেটা হলো নির্বাচনকালীন বর্তমান পার্লামেন্ট বজায় থাকবে। তিনি বলেন, সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন পৃথিবীর কোথাও নেই। সরকার যদি এটা বলতে চায় তাহলে প্রমাণ দেখাতে পারবে না। তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে অনেক সংসদ সদস্য নানাভাবে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে চান। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, 'আমি একবার দক্ষিণাঞ্চলে চারজন এমপিকে খুব কড়া ভাষায় চিঠি লিখে বলেছিলাম, আপনারা যদি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার থেকে বিরত না হন তাহলে আমি নির্বাচন বন্ধ করে দেব এবং নির্বাচন না হলে সরকারের যে ক্ষয়ক্ষতি হবে তা আপনাদের বেতন থেকে কর্তন করা হবে। তখন তাঁরা প্রভাব বিস্তার থেকে সরে আসেন।'
আলোচনার এ পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, গাজীপুরে সরকারদলীয় প্রার্থীর এত বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরে যাওয়া মানে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা কমে গেছে। সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে।
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, গাজীপুরের এ বিজয়, সরকারি দলের কী করা উচিত। বিএনপিরই বা কী করা উচিত।
জবাবে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, এ পরাজয়ের ফলে সরকারি দলের উচিত হবে নিজেদের দলকে পাড়া-মহল্লায় আরো সুসংহত করা। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া। আর বিরোধী দল এ বিজয় নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে। এটাই তাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
শনিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার নির্বাচন পর্যালোচনাভিত্তিক টক শো ভোটের ফল অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিক জ ই মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা।
আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক গাজীপুরের নির্বাচনে ভোটের ফলাফলে এগিয়ে থাকা বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নানের কাছে সরাসরি সম্প্রচার মাধ্যমে জানতে চান, এই যে ভোট অনুষ্ঠিত হলো এটা তো সুষ্ঠু হয়েছে। আপনি বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন। আপনি কি মনে করেন, এ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন হওয়া যায়।
জবাবে অধ্যাপক এম এ মান্নান তাঁকে বিজয়ী করার জন্য গাজীপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এখানে যদিও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, তবে এটা তো আর দেশের ক্ষমতার পরিবর্তন করে না। তাই এটা ঠিক নয় যে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন হতে হবে অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, মান্নান ভাই এ নির্বাচন আগামী নির্বাচনে কি কোনো প্রভাব ফেলবে বলে আপনি মনে করেন।
জবাবে অধ্যাপক এম এ মান্নান বলেন, হ্যাঁ অবশ্যই এ জন্য যে এই ভোটাররাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবে। তিনি বলেন, গাজীপুরের জনগণ সরকারের মামলা-হামলা ও দুঃশাসনের জবাব দিয়েছে। আগামীতেও দেবে।
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, আগামীতে গাজীপুর বা অন্য চারটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় কি কোনো প্রভাব ফেলবে। তাহলে তা কিভাবে।
জবাবে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া আগামীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। কারণ এখানে স্থানীয় নির্বাচনে খুব কাছে থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ আছে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে একই দিনে দেশের ৩০০টি আসনে একযোগে নির্বাচন হবে। এখানে স্থানীয় নির্বাচনের মতো খুব কাছে থেকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ থাকে না। এ জন্য সরকারকে ওই সময়কালীন নিরপেক্ষ হতে হয়। তিনি বলেন, ওই সময় সরকার যদি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চায় তবে তা সম্ভব। কারণ নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ৩০০ আসনে একা তদারকি করা সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে একটি বাড়তি সমস্যা আছে এটা কেউ এখনো সে রকমভাবে বলছে না। আর তা হলো সাংবিধানিক সমস্যা। সেটা হলো নির্বাচনকালীন বর্তমান পার্লামেন্ট বজায় থাকবে। তিনি বলেন, সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন পৃথিবীর কোথাও নেই। সরকার যদি এটা বলতে চায় তাহলে প্রমাণ দেখাতে পারবে না। তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে অনেক সংসদ সদস্য নানাভাবে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে চান। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, 'আমি একবার দক্ষিণাঞ্চলে চারজন এমপিকে খুব কড়া ভাষায় চিঠি লিখে বলেছিলাম, আপনারা যদি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার থেকে বিরত না হন তাহলে আমি নির্বাচন বন্ধ করে দেব এবং নির্বাচন না হলে সরকারের যে ক্ষয়ক্ষতি হবে তা আপনাদের বেতন থেকে কর্তন করা হবে। তখন তাঁরা প্রভাব বিস্তার থেকে সরে আসেন।'
আলোচনার এ পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, গাজীপুরে সরকারদলীয় প্রার্থীর এত বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরে যাওয়া মানে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা কমে গেছে। সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে।
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, গাজীপুরের এ বিজয়, সরকারি দলের কী করা উচিত। বিএনপিরই বা কী করা উচিত।
জবাবে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, এ পরাজয়ের ফলে সরকারি দলের উচিত হবে নিজেদের দলকে পাড়া-মহল্লায় আরো সুসংহত করা। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া। আর বিরোধী দল এ বিজয় নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে। এটাই তাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
No comments