বর্ষাকালীন রোগ
চলছে বর্ষাকাল। নতুন পানির আনন্দের সঙ্গে
নতুন রোগবালাই চলে আসছে। বন্যা, জলাবদ্ধতা আর পানিবাহিত জীবাণুর ঠেলায়
‘ঠ্যাক’ খেয়ে যাচ্ছে সাধারণ পাবলিক।
রস+আলোর পাঠকদের সঙ্গে কিছু বর্ষাকালীন রোগের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন আমির খসরু
ম্যানহোলগায়েবানোরিস
এটি একটি সামাজিক রোগ। বিভিন্ন এলাকায় ম্যানহোলের ঢাকনাচোরদের কল্যাণে রোগটি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। বন্যার পানিতে রাস্তা ডুবে যাওয়ায় ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলের অবস্থান শনাক্ত করতে না পারার ফলে অনেকই এ রোগের শিকার হচ্ছেন। ম্যানহোলে হঠাৎ পড়ে গিয়ে গায়েব হয়ে যাওয়াই এ রোগের পরিণতি। ম্যানহোলগায়েবানোরিস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যথাসময়ে ফিরতে পারছেন না বাড়িতে। ফিরলেও বিচিত্র রঙের আবর্জনায় মাখামাখি হওয়ার ফলে বাড়ির লোকজন আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিনতে পারছে না।
পাপিছলানোহাড়গুড়িস
বর্ষার সময় রাস্তাঘাট স্বাভাবিকভাবেই পিছলা হয়ে থাকে। এই পিছলা পথে চলতে গিয়ে অনেকেই পায়ের নিচে শক্ত ভিত্তির অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেন। ফলে পতন ঘটিয়ে বেমক্কা আছাড় খেয়ে হাত-পাসহ শরীরের অনেক অংশের হাড়-হাড্ডি গুঁড়ো করে ফেলেন। পিচ্ছিল শেওলা, কলার খোসা, যেখানে-সেখানে আবর্জনা ফেলার প্রবণতা এই রোগের বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। পাপিছলানোহাড়গুড়িস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নাখোশ হলেও হাড়বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সমপ্রদায়কে এ সময় বিশেষ আনন্দিত হতে দেখা যায়।
রেইনিবিজনেসোরাস
বর্ষাকাল এলেই বিশেষ শ্রেণীর কিছু মানুষের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ ব্যাপক মাত্রায় দেখা দেয়। তাঁদের কেউ কেউ বাড়ির জানালা দিয়েই বন্যার পানিতে বড়শি-ছিপ ফেলে মাছ ধরার আশায় বসে থাকেন। কাউকে দেখা যায় চার চাকার গাড়িটি বিক্রি করে দিয়ে কাঠের নৌকা তৈরির ব্যবসায় মনোনিবেশ করতে। ছাতা, রেইনকোট, রাবারের জুতা ও স্যালাইন বিক্রির ব্যবসায়ও অনেককে সাফল্যের সঙ্গে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। রেইনিবিজনেসোরাস রোগ হলেও তেমন ক্ষতিকর নয় বলে একে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয়।
কাদাছিটকানোফোবিয়া
এই রোগের ফলে শারীরিক ক্ষতির চেয়ে মানসিক ক্ষতির পরিমাণ বেশি। বিশেষ করে যাঁরা বর্ষাকালে বাড়ি থেকে সাজুগুজু করে বের হন, তাঁদেরই এই রোগ নিয়ে বেশি বিচলিত হতে দেখা যায়। পাপিছলানোহাড়গুড়িস রোগে একবার আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও কাদাছিটকানোফোবিয়ায় ভুগতে দেখা যায়। পানিতে ডুবে যাওয়া রাস্তায় দ্রুতগতিতে চলাচলকারী যানবাহনগুলোর ছিটিয়ে দেওয়া কাদায় মাখামাখি হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডুকরে উঠে কান্নাকাটি করতে দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে ডেটিং মিস হয়ে যাওয়ায় ভুল বোঝাবুঝি থেকে হূদেরাগের সূচনাও হয়।
ওয়াটারোপেটোডাউন
এটি পানিবাহিত রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা স্যালাইন খেয়ে বেঁচে থাকেন। মিনারেল ওয়াটারের নামে ট্যাপের পানি এবং ট্যাপের পানির নামে নদীর পানি পান করায় এ রোগের উদ্ভব ঘটে। সতর্ক হওয়ার আগেই আক্রান্ত ব্যক্তির পেট নেমে যায় এবং তাঁরা বাড়ির টয়লেটে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করে দেন। তাঁদের জ্বালায় পরিবারের অন্য সদস্যরা টয়লেট যাওয়ার ক্ষেত্রে সেশনজটের মুখোমুখি হন। ওয়াটারোপেটোডাউন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রিয় উক্তি হলো ‘ত্যাগেই শান্তি’। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে তাঁরা পরিবেশদূষণও করে থাকেন। বর্ষাকালে এই রোগ মহামারির লেভেল ছুঁয়ে ফেলতে পারে।
ম্যানহোলগায়েবানোরিস
এটি একটি সামাজিক রোগ। বিভিন্ন এলাকায় ম্যানহোলের ঢাকনাচোরদের কল্যাণে রোগটি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। বন্যার পানিতে রাস্তা ডুবে যাওয়ায় ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলের অবস্থান শনাক্ত করতে না পারার ফলে অনেকই এ রোগের শিকার হচ্ছেন। ম্যানহোলে হঠাৎ পড়ে গিয়ে গায়েব হয়ে যাওয়াই এ রোগের পরিণতি। ম্যানহোলগায়েবানোরিস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যথাসময়ে ফিরতে পারছেন না বাড়িতে। ফিরলেও বিচিত্র রঙের আবর্জনায় মাখামাখি হওয়ার ফলে বাড়ির লোকজন আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিনতে পারছে না।
পাপিছলানোহাড়গুড়িস
বর্ষার সময় রাস্তাঘাট স্বাভাবিকভাবেই পিছলা হয়ে থাকে। এই পিছলা পথে চলতে গিয়ে অনেকেই পায়ের নিচে শক্ত ভিত্তির অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেন। ফলে পতন ঘটিয়ে বেমক্কা আছাড় খেয়ে হাত-পাসহ শরীরের অনেক অংশের হাড়-হাড্ডি গুঁড়ো করে ফেলেন। পিচ্ছিল শেওলা, কলার খোসা, যেখানে-সেখানে আবর্জনা ফেলার প্রবণতা এই রোগের বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। পাপিছলানোহাড়গুড়িস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নাখোশ হলেও হাড়বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সমপ্রদায়কে এ সময় বিশেষ আনন্দিত হতে দেখা যায়।
রেইনিবিজনেসোরাস
বর্ষাকাল এলেই বিশেষ শ্রেণীর কিছু মানুষের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ ব্যাপক মাত্রায় দেখা দেয়। তাঁদের কেউ কেউ বাড়ির জানালা দিয়েই বন্যার পানিতে বড়শি-ছিপ ফেলে মাছ ধরার আশায় বসে থাকেন। কাউকে দেখা যায় চার চাকার গাড়িটি বিক্রি করে দিয়ে কাঠের নৌকা তৈরির ব্যবসায় মনোনিবেশ করতে। ছাতা, রেইনকোট, রাবারের জুতা ও স্যালাইন বিক্রির ব্যবসায়ও অনেককে সাফল্যের সঙ্গে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। রেইনিবিজনেসোরাস রোগ হলেও তেমন ক্ষতিকর নয় বলে একে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয়।
কাদাছিটকানোফোবিয়া
এই রোগের ফলে শারীরিক ক্ষতির চেয়ে মানসিক ক্ষতির পরিমাণ বেশি। বিশেষ করে যাঁরা বর্ষাকালে বাড়ি থেকে সাজুগুজু করে বের হন, তাঁদেরই এই রোগ নিয়ে বেশি বিচলিত হতে দেখা যায়। পাপিছলানোহাড়গুড়িস রোগে একবার আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও কাদাছিটকানোফোবিয়ায় ভুগতে দেখা যায়। পানিতে ডুবে যাওয়া রাস্তায় দ্রুতগতিতে চলাচলকারী যানবাহনগুলোর ছিটিয়ে দেওয়া কাদায় মাখামাখি হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডুকরে উঠে কান্নাকাটি করতে দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে ডেটিং মিস হয়ে যাওয়ায় ভুল বোঝাবুঝি থেকে হূদেরাগের সূচনাও হয়।
ওয়াটারোপেটোডাউন
এটি পানিবাহিত রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা স্যালাইন খেয়ে বেঁচে থাকেন। মিনারেল ওয়াটারের নামে ট্যাপের পানি এবং ট্যাপের পানির নামে নদীর পানি পান করায় এ রোগের উদ্ভব ঘটে। সতর্ক হওয়ার আগেই আক্রান্ত ব্যক্তির পেট নেমে যায় এবং তাঁরা বাড়ির টয়লেটে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করে দেন। তাঁদের জ্বালায় পরিবারের অন্য সদস্যরা টয়লেট যাওয়ার ক্ষেত্রে সেশনজটের মুখোমুখি হন। ওয়াটারোপেটোডাউন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রিয় উক্তি হলো ‘ত্যাগেই শান্তি’। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে তাঁরা পরিবেশদূষণও করে থাকেন। বর্ষাকালে এই রোগ মহামারির লেভেল ছুঁয়ে ফেলতে পারে।
No comments