ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী পালিত
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শনিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী পালিত হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রাতভর ইবাদতের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেন।
দিনটি উদ্্যাপন উপলৰে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনও বর্ণাঢ্য মিছিল, ধর্মীয় সমাবেশ, আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। বর্ণাঢ্য মিছিলের আলাহু আকবর ধ্বনিতে শনিবার রাজধানীর রাজপথ মুখরিত হয়ে ওঠে। দিবসটি ছিল ছুটির দিন। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং বেসরকারী চ্যানেল ও রেডিওগুলো দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করে। রাষ্ট্রপতি জিলস্নুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া বিশেষ বাণী দেন। সরকারীভাবে দিবসটি পালন উপলৰে ইসলামিক ফাউন্ডেশন তাদের পৰকালব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ইসলামিক সেমিনার, নাত-ই-রসুল ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে।আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভান্ডারিয়া বাংলাদেশ দিবসটি পালনের জন্য রাজধানীর পল্টন ময়দানে বিশাল সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য জশনে জুলুসের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল-হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভান্ডারী। এতে সভাপতিত্ব করেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভান্ডারিয়ার সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ। সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান অশানত্ম পৃৃথিবীতে মহানবী (দ)-এর আদর্শের অনুকরণ-অনুসরণের মাঝেই বিশ্বাবাসীর মুক্তি নিহিত। এ উপলৰে পল্টন ময়দানে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার আয়োজন করা হয়। সকালে বের করা হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদৰিণ করে পল্টন ময়দানে এসে লাখো মানুষ জোহরের নামাজ আদায় করেন। পরে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ মহফিল। মিলাদে বিশ্ব উম্মাহর শানত্মি, ঐক্য এবং দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়। এ উপলৰে জাতীয় পার্টি এক মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। বাদ মাগরিব এ মিলাদ মহফিল সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুসলিম জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়।
No comments