প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক- বড় চ্যালেঞ্জ মানোন্নয়ন ও ঝরে পড়া রোধ
বিদ্যালয় গমনোপযোগী শিশুদের ভর্তি, ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যায় সমতা আনাসহ প্রাথমিক শিক্ষায় বেশ কিছু অগ্রগতি হলেও এই স্তরের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও উচ্চমাত্রার ঝরে পড়া রোধ এখনো বড় চ্যালেঞ্জ।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে ‘বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা: নীতি, প্রভাব ও মালিকানা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে শিক্ষাবিদ, গবেষক, নাগরিক প্রতিনিধি, শিক্ষক নেতা ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন।তাঁরা বলেন, আন্তর্জাতিক মানের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে একটি সমন্বিত কর্মসূচি প্রণয়ন, এ খাতে বরাদ্দ দ্বিগুণ করা, উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও মাঠপর্যায়ের জ্ঞান-অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নীতি প্রণয়ন করতে হবে। প্রকল্পগুলোতে সরকারের মালিকানা প্রতিষ্ঠা ও রাজনীতিক-আমলা-নাগরিক সমাজকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন করারও দাবি জানান তাঁরা।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স স্টাডিজ (আইজিএস) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মনজুর আহমদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কাজী সালেহ আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক আবুল এহসান, আইজিএসের পরিচালক রিজওয়ান খায়ের, ব্র্যাকের সমীর রঞ্জন নাথ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ, কানাডার স্কুল অব পাবলিক পলিসির অধ্যাপক জন রিচার্ডস, ইউনিসেফের নবেন্দ্র দাহাল, শিক্ষক নেতা কাজী ফারুক আহমেদ, আবদুর রহমান প্রমুখ।
বৈঠকে গবেষণা প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন আইজিএসের গবেষণা সহযোগী মো. সিরাজুল ইসলাম। এতে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়ন, বিদ্যালয় ও উপজেলাভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপের আয়োজন এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে বেসরকারি সংস্থারগুলোর সঙ্গে অংশীদারি প্রতিষ্ঠা করতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, আইজিএস নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের গভর্নেন্স পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর সর্বশেষ প্রকাশিত (২০১০-১১) প্রতিবেদনের একটি অধ্যায়ে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
No comments