ভুল তথ্য দিয়ে ফেঁসে গেলেন দুই আইনজীবী, ক্ষমা চেয়ে রক্ষা
ভুল তথ্য দেয়ার অপরাধে অবশেষে মুচলেকা ও ৰমা চেয়ে দুই আইনজীবী গ্রেফতারের হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বিচারপতি মোঃ শামসুল হুদা ও বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকীর দ্বৈত বেঞ্চে।
একটি হত্যা মামলায় পাঁচ আসামি জামিনে ছিল। জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে এলে বিষয়টি ধরা পড়ে। ভুয়া এফিডেভিটের মাধ্যমে আইনজীবী এসএম ফয়েজ এবং এ্যাডভোকেট গৌরাঙ্গ চন্দ্র রায় আসামিদের জামিন বৃদ্ধি করতে আসেন। নথিপত্র দেখে আদালতের কাছে বিষয়টি ধরা পড়ে। আদালত ভুল তথ্য দেয়ার কারণে পাঁচ আসামির জামিন বাতিল করে তাদেরকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে। গ্রেফতার বা অন্যান্য বিষয়ে কি করা হয়েছে তা জানতে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং জেলা ও দায়রা জজকে ৭ দিনের মধ্যে তদনত্ম দাখিল করতে বলেছে হাইকোর্ট।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ জেলার চুনারম্নঘাটে একটি জমি নিয়ে মারামারি হয়। এতে শাহিদুর রহমান মারাত্মকভাবে আহত হন। শাহিদুর রহমানের চাচাত ভাই কামারম্নজ্জামান ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থানায় মামলা দায়ের করেন। আহত অবস্থায় ৩০ সেপ্টেম্বর শাহিদুর রহমান মারা যান। পরবতর্ীতে পুলিশ ঐ বছরের ১ অক্টোবর হত্যা মামলা হিসেবে এটি সংযুক্তি করে। মামলায় ৫৯ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ১৮ জন ৫ অক্টোবর জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আসে। ৬ অক্টোবর আদালত ৫ জনকে ৬ মাসের জামিন এবং অবশিষ্ট ১৩ জনকে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করতে বলে। জামিনপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি মহিবুর রহমান ওরফে বড়মিয়া, সুফি মিয়া, শওকাত মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক ও মৌলাদ হোসেন জামিন বৃদ্ধির জন্য হাইকোর্টে আসে।
বাদী পৰ আদালতে আইনজীবী হিসেবে মাহাবুব আলীকে নিয়োগ করেন। এফআইআরের কাগজপত্রে অসঙ্গতি থাকায় বাদী বা পৰভুক্ত হবার জন্য আসে। তখন আদালত জানায়, বিষয়টি এ্যাটর্নি জেনারেল অফিস দেখবে।
আসামি পৰের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা জামিন বৃদ্ধির জন্য আসে। আদালত নথিপত্র দেখে আইনজীবী এসএম ফজেয়কে ভুল তথ্য দেয়ার জন্য পুলিশ ডাকে। এ সময় এ্যাডভোকেট এসএম ফয়েজ আদালতে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি ও সময় দিলাম না। এ্যাডভোকেট গৌরাঙ্গ চন্দ্র রায় আমাকে নিয়ে এসেছেন। তখন আদালত পুলিশ ডাকে। অবস্থা বেগতিক বুঝে গৌরাঙ্গ চন্দ্র আদালতে মুচলেকা দেন। তিনি বলেন, এফিডেভিটকারী খালেককে আদালতে হাজির করব। বিষয়টি নিয়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
No comments