আবারও গার্মেন্টে আগুন-পুড়ে মরার এই মিছিল কবে শেষ হবে?
সাভারের তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডে ১২২ জন শ্রমিক মারা যাওয়ার শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আরেক পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে সাতজন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন।
স্মার্ট এক্সপোর্ট লিমিটেড নামের এই কারখানায়ও অগ্নিকাণ্ডের সময় প্রধান ফটক তালাবদ্ধ ছিল। অপ্রশস্ত অন্য সিঁড়ি দিয়ে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অনেকেই পড়ে যান এবং পদদলিত হয়ে মারা যান। ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে মারা যান কেউ কেউ। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, কারখানাটিতে অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। তদুপরি প্রথমেই দমকল বাহিনীকে খবর না দিয়ে নিজেরাই আগুন নেভানোর ও মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব কিসের আলামত? কারখানাগুলোতে কর্মরত শ্রমিকরা দরিদ্র বলে কি তাঁদের জীবনের কোনো মূল্যই নেই? কেন আগুন লাগার পরও প্রধান ফটক বন্ধ থাকবে? সাভারে ১২২ জন শ্রমিক পুড়ে মরার পর সরকার শ্রমিকদের নিরাপত্তায় কী উদ্যোগ নিয়েছে?
জানা যায়, স্মার্ট এক্সপোর্ট লিমিটেড পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর অনুমোদন ছাড়াই কারখানা চালিয়ে আসছিল। সেখানে শ্রমিক নিরাপত্তার দিকটি ছিল খুবই নাজুক। কর্মপরিবেশও ছিল নিম্নমানের। সদস্য নয় বলে বিজিএমইএ কারখানাটির তত্ত্বাবধানও করেনি। কাজেই এই কারখানার শ্রমিক নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ছিল পুরোপুরি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের। কিন্তু সেই বিভাগ যে আদৌ কোনো দায়িত্ব পালন করেনি, তা তো এখন দিনের মতো স্পষ্ট। তাহলে কারখানা নামক মৃত্যুফাঁদে শ্রমিক হত্যার এই দায় মালিকদের পাশাপাশি কি সরকারেরও নয়? বিজিএমইএ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে বিজিএমইএর অনুমোদনহীন এ রকম হাজারখানেক কারখানা রয়েছে। আবাসিক এলাকায় কিংবা এমন সরু গলিতে অনেক কারখানা রয়েছে, যেখানে অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ঢুকতে পারবে না। তাহলে এসব কারখানা সরকারের লাইসেন্স পায় কিভাবে? আর বিজিএমইএ কেনই বা অনুমোদিত নয় বলে এসব কারখানার দায় এড়াতে চায়, তাও আমাদের বোধগম্য নয়। স্মার্ট এক্সপোর্টের অগ্নিকাণ্ডের খবরটিও প্রধান প্রধান আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেল ও পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার হয়েছে। তাতে কি বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না? পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন্ন রাখার স্বার্থে তারা কেন সরকারের কাছে এসব কারখানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলছে না? অভিযোগ আছে, প্রতিষ্ঠিত শিল্প মালিকদের কেউ কেউ কম পয়সায় শ্রমিক খাটানোর জন্য বেনামে এমন অনেক কারখানা গড়ে তুলেছেন। সেই অভিযোগটিও খতিয়ে দেখা দরকার।
স্মার্ট এক্সপোর্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যখন আমাদের টিভি চ্যানেলগুলোতে দেখানো হচ্ছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় অবস্থান করছে। এর আগে গত ২৪ নভেম্বরের তাজরীন ফ্যাশনসের অগ্নিকাণ্ড সারা দুনিয়ায় আমাদের পোশাকশিল্প সম্পর্কে ব্যাপক নেতিবাচক ধারণার জন্ম দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক দেশে বিক্ষোভ হয়েছে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি না করার দাবিতে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিলের চিন্তাভাবনা করছে। আমাদের শ্রমিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়েছে কি? হয়নি যে তারই প্রমাণ আবার অগ্নিকাণ্ডে শ্রমিকের মৃত্যু। সরকার ও পোশাকশিল্পের মালিকদের বিষয়টি দ্রুত চিন্তাভাবনা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা চাই, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্পের অগ্রগতি অব্যাহত থাক।
জানা যায়, স্মার্ট এক্সপোর্ট লিমিটেড পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর অনুমোদন ছাড়াই কারখানা চালিয়ে আসছিল। সেখানে শ্রমিক নিরাপত্তার দিকটি ছিল খুবই নাজুক। কর্মপরিবেশও ছিল নিম্নমানের। সদস্য নয় বলে বিজিএমইএ কারখানাটির তত্ত্বাবধানও করেনি। কাজেই এই কারখানার শ্রমিক নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ছিল পুরোপুরি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের। কিন্তু সেই বিভাগ যে আদৌ কোনো দায়িত্ব পালন করেনি, তা তো এখন দিনের মতো স্পষ্ট। তাহলে কারখানা নামক মৃত্যুফাঁদে শ্রমিক হত্যার এই দায় মালিকদের পাশাপাশি কি সরকারেরও নয়? বিজিএমইএ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে বিজিএমইএর অনুমোদনহীন এ রকম হাজারখানেক কারখানা রয়েছে। আবাসিক এলাকায় কিংবা এমন সরু গলিতে অনেক কারখানা রয়েছে, যেখানে অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ঢুকতে পারবে না। তাহলে এসব কারখানা সরকারের লাইসেন্স পায় কিভাবে? আর বিজিএমইএ কেনই বা অনুমোদিত নয় বলে এসব কারখানার দায় এড়াতে চায়, তাও আমাদের বোধগম্য নয়। স্মার্ট এক্সপোর্টের অগ্নিকাণ্ডের খবরটিও প্রধান প্রধান আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেল ও পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার হয়েছে। তাতে কি বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না? পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন্ন রাখার স্বার্থে তারা কেন সরকারের কাছে এসব কারখানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলছে না? অভিযোগ আছে, প্রতিষ্ঠিত শিল্প মালিকদের কেউ কেউ কম পয়সায় শ্রমিক খাটানোর জন্য বেনামে এমন অনেক কারখানা গড়ে তুলেছেন। সেই অভিযোগটিও খতিয়ে দেখা দরকার।
স্মার্ট এক্সপোর্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যখন আমাদের টিভি চ্যানেলগুলোতে দেখানো হচ্ছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় অবস্থান করছে। এর আগে গত ২৪ নভেম্বরের তাজরীন ফ্যাশনসের অগ্নিকাণ্ড সারা দুনিয়ায় আমাদের পোশাকশিল্প সম্পর্কে ব্যাপক নেতিবাচক ধারণার জন্ম দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক দেশে বিক্ষোভ হয়েছে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি না করার দাবিতে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিলের চিন্তাভাবনা করছে। আমাদের শ্রমিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়েছে কি? হয়নি যে তারই প্রমাণ আবার অগ্নিকাণ্ডে শ্রমিকের মৃত্যু। সরকার ও পোশাকশিল্পের মালিকদের বিষয়টি দ্রুত চিন্তাভাবনা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা চাই, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্পের অগ্রগতি অব্যাহত থাক।
No comments