নার্সের ভূমিকায় ঝাড়ুদার-উদ্বেগজনক নজির
৯ বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ইমা আক্তার একটি অটোরিকশার ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে ভর্তি হয়েছিল ২৫০ শয্যার কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালে। ঘটনাক্রমে মেয়েটিকে বাইরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে অপারেশন করা হয় এবং আবার ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে ইমার মৃত্যু হলে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং হাসপাতালের সামনে কয়েক ঘণ্টা অবরোধ করে। পত্রিকার সংবাদে জানা গেছে, ইমার স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, অবস্থা যখন উন্নতির দিকে, তখন একটি ইনজেকশন দেওয়ার জন্য হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স ৫০ টাকা দাবি করেন। সে দাবি না মেটানোর কারণে তিনি নিজে ইনজেকশন দেননি। তখন হাসপাতালের এক ঝাড়ুদারের হাত দিয়ে ইনজেকশন দেওয়ানো হয়। এর পরই ইমার অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। আত্মীয়রা দাবি করেছেন, ভুলভাবে ও আনাড়ি হাতে ইনজেকশন দেওয়ার কারণেই ইমাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এমন প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা দেখা গেলে গ্রামগঞ্জে অবস্থিত চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোর কী হাল, তা সহজেই অনুমেয়। যদি ইনজেকশন প্রয়োগের দক্ষতার অভাবে মেয়েটির মৃত্যু না-ও হয়ে থাকে, তাহলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সের দায়িত্ব অবহেলার দায় কোনোভাবেই কি এড়ানো যাবে! চিকিৎসার মতো এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে দায়িত্ব পালনে অবহেলা রীতিমতো অপরাধ বলেই আমরা মনে করি। বিগত দিনেও আমরা দেখেছি, হাসপাতালে চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে ঝাড়ুদার অস্ত্রোপচারও করেছে। শুধু তা-ই নয়, অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আমরা প্রত্যক্ষ করি, যে কাজ চিকিৎসকের করার কথা সেই কাজ করছে কোনো একজন অশিক্ষিত, অপ্রশিক্ষিত দপ্তরি বা পিয়ন জাতীয় কেউ। প্রায়ই দেখা যায়, হাসপাতাল বা ক্লিনিকের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার ভার নিচ্ছেন নন-টেকনিশিয়ান কেউ। এ ধরনের চর্চা বন্ধ হওয়া দরকার। কঠোর হস্তে এ ধরনের অনিয়ম বন্ধ না করা হলে হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর হার যেমন বাড়বে, তেমনি হাসপাতালগুলোর প্রতি জনমনে আস্থা আরো কমতে থাকবে। স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি আমাদের জোর দাবি, দেশের অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তদারকি আরো নিবিড় করা হোক। বাঁচা-মরার নিশ্চয়তা মানুষের হাতে নেই; কিন্তু ভুল চিকিৎসা বা দায়িত্বে অবহেলার কারণে একটি মৃত্যুও আর দেখতে চাই না। আমরা আশা করব, ছোট্ট মেয়ে ইমার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ হাসপাতাল কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করবে এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। একজন চিকিৎসক, কর্মরত নার্স ও ঝাড়ুদারকে আসামি করে একটি মামলাও হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ক্ষেত্রে মামলার তদন্তকাজেও স্বচ্ছতা থাকা একান্ত প্রয়োজন।
এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এমন প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা দেখা গেলে গ্রামগঞ্জে অবস্থিত চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোর কী হাল, তা সহজেই অনুমেয়। যদি ইনজেকশন প্রয়োগের দক্ষতার অভাবে মেয়েটির মৃত্যু না-ও হয়ে থাকে, তাহলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সের দায়িত্ব অবহেলার দায় কোনোভাবেই কি এড়ানো যাবে! চিকিৎসার মতো এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে দায়িত্ব পালনে অবহেলা রীতিমতো অপরাধ বলেই আমরা মনে করি। বিগত দিনেও আমরা দেখেছি, হাসপাতালে চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে ঝাড়ুদার অস্ত্রোপচারও করেছে। শুধু তা-ই নয়, অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আমরা প্রত্যক্ষ করি, যে কাজ চিকিৎসকের করার কথা সেই কাজ করছে কোনো একজন অশিক্ষিত, অপ্রশিক্ষিত দপ্তরি বা পিয়ন জাতীয় কেউ। প্রায়ই দেখা যায়, হাসপাতাল বা ক্লিনিকের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার ভার নিচ্ছেন নন-টেকনিশিয়ান কেউ। এ ধরনের চর্চা বন্ধ হওয়া দরকার। কঠোর হস্তে এ ধরনের অনিয়ম বন্ধ না করা হলে হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর হার যেমন বাড়বে, তেমনি হাসপাতালগুলোর প্রতি জনমনে আস্থা আরো কমতে থাকবে। স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি আমাদের জোর দাবি, দেশের অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তদারকি আরো নিবিড় করা হোক। বাঁচা-মরার নিশ্চয়তা মানুষের হাতে নেই; কিন্তু ভুল চিকিৎসা বা দায়িত্বে অবহেলার কারণে একটি মৃত্যুও আর দেখতে চাই না। আমরা আশা করব, ছোট্ট মেয়ে ইমার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ হাসপাতাল কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করবে এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। একজন চিকিৎসক, কর্মরত নার্স ও ঝাড়ুদারকে আসামি করে একটি মামলাও হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ক্ষেত্রে মামলার তদন্তকাজেও স্বচ্ছতা থাকা একান্ত প্রয়োজন।
No comments