গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ-সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে
ভবিষ্যতের এক ইতিবাচক বাংলাদেশের চিত্রই ফুটে উঠেছে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী চার দশকের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি টেকসই প্রবৃদ্ধির দেশ- দাঁড়াবে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর। ছাড়িয়ে যাবে ইউরোপের অনেক দেশকে।
ব্রিকসের বাইরে বেশ কয়েকটি দেশই ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের অর্থনীতিতে একটি বিশেষ স্থান দখল করবে বলে যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে একটি বিশেষ স্থানে।
চার দশক আগে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ভেতর দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেওয়া বাংলাদেশকে এক সময় মনে করা হতো বিদেশি সাহায্যমুখী এমন একটি দেশ, যেখানে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। আর সে কারণেই বিনিয়োগ কিংবা সাহায্য- কোনোটিতেই আস্থা ছিল না পশ্চিমা বিশ্বের। বিশ্বের দরবারে 'তলাবিহীন ঝুড়ি' হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠা বাংলাদেশকে সেই অপবাদ মুছতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। এ দেশে গণতন্ত্র বারবার নির্বাসিত হয়েছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা যেখানে অনিশ্চিত, সেই বাংলাদেশও এখন প্রবৃদ্ধির হারে যেকোনো দেশকে অবাক করে দিতে পারে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রহী। এ দেশের পোশাকশিল্প বিশ্ববাজারে একটি বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে। দেশের দক্ষ ও অদক্ষ জনশক্তি সচল রেখেছে রেমিট্যান্সের চাকা। অনেক দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেও এ দেশের রপ্তানি বাড়ছে। বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। প্রাইসওয়াটার হাউস কুপারসের প্রধান অর্থনীতিবিদ জন হকসওয়ার্থ আগামী চার দশকের মধ্যে যে কয়টি দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী ও দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা দেখছেন, তার তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। ইমার্জিং বা উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে 'ব্রিকস' শব্দটি যিনি ব্যবহার করেছিলেন, সেই জিম ও'নিল এখন 'নেঙ্ট-১১' নামে যে দেশগুলোকে সম্ভাবনাময় অর্থনীতির দেশ হিসেবে তালিকায় রেখেছেন, সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। জন হকসওয়ার্থের মতো অর্থনীতিবিদও মনে করেন, এসব দেশ সামষ্টিক অর্থনীতির নীতি, মুদ্রাস্ফীতি, বাজেট ঘাটতি উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়নের পাশাপাশি পশ্চিমা প্রযুক্তি আমদানি ও উন্নয়নের মাধ্যমে দ্রুত উন্নতি লাভ করবে। এসব দেশের তরুণ জনশক্তিই হবে আগামী দিনের অর্থনীতির চালিকাশক্তি।
এ কথা ঠিক যে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অনেক দেশেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছে। বৈদেশিক সাহায্যনির্ভর হলেও অবকাঠামো গড়ে উঠছে। বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে, গ্যাস-বিদ্যুতের নিশ্চয়তা দেওয়া গেলে ভবিষ্যতে এখানে বিনিয়োগ বাড়বে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। আমরা মনে করি, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে একমত হতে হবে। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার মিশন সার্থক করতে 'ভিশন' নির্দিষ্ট করতে হবে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন যে ইঙ্গিত দিয়েছে, সেই লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।
চার দশক আগে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ভেতর দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেওয়া বাংলাদেশকে এক সময় মনে করা হতো বিদেশি সাহায্যমুখী এমন একটি দেশ, যেখানে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। আর সে কারণেই বিনিয়োগ কিংবা সাহায্য- কোনোটিতেই আস্থা ছিল না পশ্চিমা বিশ্বের। বিশ্বের দরবারে 'তলাবিহীন ঝুড়ি' হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠা বাংলাদেশকে সেই অপবাদ মুছতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। এ দেশে গণতন্ত্র বারবার নির্বাসিত হয়েছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা যেখানে অনিশ্চিত, সেই বাংলাদেশও এখন প্রবৃদ্ধির হারে যেকোনো দেশকে অবাক করে দিতে পারে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রহী। এ দেশের পোশাকশিল্প বিশ্ববাজারে একটি বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে। দেশের দক্ষ ও অদক্ষ জনশক্তি সচল রেখেছে রেমিট্যান্সের চাকা। অনেক দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেও এ দেশের রপ্তানি বাড়ছে। বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। প্রাইসওয়াটার হাউস কুপারসের প্রধান অর্থনীতিবিদ জন হকসওয়ার্থ আগামী চার দশকের মধ্যে যে কয়টি দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী ও দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা দেখছেন, তার তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। ইমার্জিং বা উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে 'ব্রিকস' শব্দটি যিনি ব্যবহার করেছিলেন, সেই জিম ও'নিল এখন 'নেঙ্ট-১১' নামে যে দেশগুলোকে সম্ভাবনাময় অর্থনীতির দেশ হিসেবে তালিকায় রেখেছেন, সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। জন হকসওয়ার্থের মতো অর্থনীতিবিদও মনে করেন, এসব দেশ সামষ্টিক অর্থনীতির নীতি, মুদ্রাস্ফীতি, বাজেট ঘাটতি উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়নের পাশাপাশি পশ্চিমা প্রযুক্তি আমদানি ও উন্নয়নের মাধ্যমে দ্রুত উন্নতি লাভ করবে। এসব দেশের তরুণ জনশক্তিই হবে আগামী দিনের অর্থনীতির চালিকাশক্তি।
এ কথা ঠিক যে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অনেক দেশেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছে। বৈদেশিক সাহায্যনির্ভর হলেও অবকাঠামো গড়ে উঠছে। বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে, গ্যাস-বিদ্যুতের নিশ্চয়তা দেওয়া গেলে ভবিষ্যতে এখানে বিনিয়োগ বাড়বে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। আমরা মনে করি, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে একমত হতে হবে। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার মিশন সার্থক করতে 'ভিশন' নির্দিষ্ট করতে হবে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন যে ইঙ্গিত দিয়েছে, সেই লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।
No comments