ঢাকা-ব্যাংকক যৌথ ঘোষণা-সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচিত হোক
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার বাংলাদেশ সফর শেষে গত শনিবার ৩১ দফা যৌথ ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ককে আরো এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।
পাশাপাশি কৃষি, অর্থনীতি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, কানেকটিভিটি, সাংস্কৃতিক বিনিময়, নিরাপত্তা, কারিগরি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়াতেও উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।
থাইল্যান্ড বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী দেশগুলোর অন্যতম। ঐতিহাসিক ও সংস্কৃতিগতভাবে উভয় দেশের মধ্যে রয়েছে ঘনিষ্ঠ ঐতিহ্যিক সম্পর্ক। আসিয়ান, বিমসটেকসহ আঞ্চলিক সহযোগিতার বেশ কিছু উদ্যোগেও দুটি দেশ সক্রিয়ভাবে জড়িত। কাজেই অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে কার্যকর ও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সম্পর্ক আরো জোরদার হলে দুটি দেশই উপকৃত হবে। তাই কূটনৈতিক সম্পর্কের চার দশক পূর্তি উপলক্ষে থাই প্রধানমন্ত্রীর সফরের মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক আরো জোরদার করার যে উদ্যোগ গ্রহণের সংকল্প ও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে, আমরা তাতে খুবই আনন্দিত। আমরা চাই, আশাবাদ দ্রুত বাস্তবায়িত হোক।
চিকিৎসার ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের অবস্থান আমাদের তুলনায় যথেষ্ট উন্নত। থাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আসা ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশও উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদানে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে। বাংলাদেশের নাগরিকরা প্রতিবছর চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ায় যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়, তা থেকেও দেশ অনেকটা রক্ষা পাবে। অন্যদিকে ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই বিশ্ববাজারে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। থাই ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশি ওষুধের ব্যাপারেও যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছেন। বর্তমানে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে বেশ বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। শুল্ক ছাড়ের মাধ্যমে এই ঘাটতি কমিয়ে আনার ব্যাপারেও থাই প্রধানমন্ত্রী নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন। কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ খাতে থাই সহযোগিতা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। কর্মী নিয়োগ ও কর্মসংস্থানপ্রক্রিয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির ওপর উভয় দেশই গুরুত্ব আরোপ করেছে। অতীশ দীপঙ্করের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এই দিকটিতে থাই পর্যটকদের গভীর আগ্রহ রয়েছে। সম্ভাবনা ও সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চূড়ান্ত করে কার্যকর উদ্যোগ নিতে আগামী বছরের প্রথম দিকেই যৌথ বাণিজ্যিক কমিটি বৈঠকে মিলিত হতে সম্মত হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়ন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ব্যাপারেও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আমরা আশা করি, অভিন্ন ঐতিহ্যের অধিকারী দেশ দুটির মধ্যে অদূর-ভবিষ্যতে সম্পর্ক আরো নিবিড় হবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দেশ দুটি একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে যাবে। আগামী বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরের মধ্য দিয়ে সেই অগ্রযাত্রা আরো বাস্তব রূপ নেবে- এমনটাই আমাদের বিশ্বাস।
থাইল্যান্ড বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী দেশগুলোর অন্যতম। ঐতিহাসিক ও সংস্কৃতিগতভাবে উভয় দেশের মধ্যে রয়েছে ঘনিষ্ঠ ঐতিহ্যিক সম্পর্ক। আসিয়ান, বিমসটেকসহ আঞ্চলিক সহযোগিতার বেশ কিছু উদ্যোগেও দুটি দেশ সক্রিয়ভাবে জড়িত। কাজেই অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে কার্যকর ও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সম্পর্ক আরো জোরদার হলে দুটি দেশই উপকৃত হবে। তাই কূটনৈতিক সম্পর্কের চার দশক পূর্তি উপলক্ষে থাই প্রধানমন্ত্রীর সফরের মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক আরো জোরদার করার যে উদ্যোগ গ্রহণের সংকল্প ও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে, আমরা তাতে খুবই আনন্দিত। আমরা চাই, আশাবাদ দ্রুত বাস্তবায়িত হোক।
চিকিৎসার ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের অবস্থান আমাদের তুলনায় যথেষ্ট উন্নত। থাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আসা ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশও উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদানে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে। বাংলাদেশের নাগরিকরা প্রতিবছর চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ায় যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়, তা থেকেও দেশ অনেকটা রক্ষা পাবে। অন্যদিকে ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই বিশ্ববাজারে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। থাই ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশি ওষুধের ব্যাপারেও যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছেন। বর্তমানে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে বেশ বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। শুল্ক ছাড়ের মাধ্যমে এই ঘাটতি কমিয়ে আনার ব্যাপারেও থাই প্রধানমন্ত্রী নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন। কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ খাতে থাই সহযোগিতা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। কর্মী নিয়োগ ও কর্মসংস্থানপ্রক্রিয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির ওপর উভয় দেশই গুরুত্ব আরোপ করেছে। অতীশ দীপঙ্করের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এই দিকটিতে থাই পর্যটকদের গভীর আগ্রহ রয়েছে। সম্ভাবনা ও সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চূড়ান্ত করে কার্যকর উদ্যোগ নিতে আগামী বছরের প্রথম দিকেই যৌথ বাণিজ্যিক কমিটি বৈঠকে মিলিত হতে সম্মত হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়ন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ব্যাপারেও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আমরা আশা করি, অভিন্ন ঐতিহ্যের অধিকারী দেশ দুটির মধ্যে অদূর-ভবিষ্যতে সম্পর্ক আরো নিবিড় হবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দেশ দুটি একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে যাবে। আগামী বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরের মধ্য দিয়ে সেই অগ্রযাত্রা আরো বাস্তব রূপ নেবে- এমনটাই আমাদের বিশ্বাস।
No comments