ইসলামপন্থীদের দাবি-সংবিধানের পক্ষে রায় দিয়েছে মিসরীয়রা
মিসরে খসড়া সংবিধানের পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ রায় দিয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, দুই দফায় নেওয়া গণভোটে গড়ে ৬৪ শতাংশ মানুষ 'হ্যাঁ' ভোট দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রকাশিত বেসরকারি ফলের ভিত্তিতে ইসলামপন্থীরাও একই দাবি করেছে।
তবে প্রধান বিরোধী জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট (এনএসএফ) জানিয়েছে, এই ফল চ্যালেঞ্জ করবে তারা। দুই দফা ভোটেই 'ব্যাপক কারচুপি' হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। গতকাল রবিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল।
বিতর্কিত এ খসড়া সংবিধানের ওপর গত শনিবার দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত দফা গণভোট নেওয়া হয়। ১৫ ডিসেম্বর প্রথম দফা ভোট হয়েছিল। আজ সোমবার আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশের পর বৈধতা পাবে এ খসড়া সংবিধান। সে অনুযায়ী, আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশটিতে গণপরিষদের (পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ) নির্বাচন হতে হবে। গত জুনে উচ্চ আদালতের রায়ে বিলুপ্ত হয়ে যায় এটি।
এদিকে ভোটের দিন শনিবারই পদত্যাগ করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ মেক্কি। এ নিয়ে গত সাত মাসে প্রেসিডেন্ট মুরসির শীর্ষস্থানীয় ১৭ সহযোগীর সাতজনই পদত্যাগ করলেন।
বেসরকারি ফল অনুযায়ী, প্রথম দফায় সংবিধানের পক্ষে ভোট দিয়েছিল প্রায় ৫৭ ভাগ মানুষ। তবে ভোটার উপস্থিতি ছিল মাত্র ৩২ শতাংশ। শনিবারের ভোটেও উপস্থিতির হার এর কাছাকাছি ছিল বলে জানিয়েছে মুসলিম ব্রাদার হুড। তবে 'হ্যাঁ' ভোট দিয়েছে ৭১ শতাংশেরও বেশি মানুষ। বিরোধী জোটের অন্যতম সদস্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শফিক ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রতিনিধি ইলেয়ানা রস-লেহটিনেনও একে 'মিসরীয় জনগণের পরাজয়' বলে মন্তব্য করেছেন।
নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন গণপরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত উচ্চকক্ষ শূরা কাউন্সিলের (বা সিনেট) হাতে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা ন্যস্ত থাকবে। শনিবার রাতে ২৭০ আসনবিশিষ্ট সিনেটের ৯০ সদস্যের নাম ঘোষণা করেছেন মোহাম্মদ মুরসি। নির্বাচনের মাধ্যমে এর দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য আগেই নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি এক-তৃতীয়াংশের মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের। তবে এনএসএফ জানিয়েছে, তাঁদের মধ্যে যাঁরা মনোনীত হয়েছেন তাঁরা পার্লামেন্টে যোগ দেবেন না। উল্লেখ্য, খসড়া সংবিধানকে 'ইসলামপন্থী' আখ্যা দিয়ে এর বিরোধিতায় তিন সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছে মুরসিবিরোধীরা। দেশবাসীকেও তারা 'না' ভোট দিয়ে প্রস্তাবিত সংবিধানকে প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়েছিল। সূত্র : এএফপি, এপি, রয়টার্স।
বিতর্কিত এ খসড়া সংবিধানের ওপর গত শনিবার দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত দফা গণভোট নেওয়া হয়। ১৫ ডিসেম্বর প্রথম দফা ভোট হয়েছিল। আজ সোমবার আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশের পর বৈধতা পাবে এ খসড়া সংবিধান। সে অনুযায়ী, আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশটিতে গণপরিষদের (পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ) নির্বাচন হতে হবে। গত জুনে উচ্চ আদালতের রায়ে বিলুপ্ত হয়ে যায় এটি।
এদিকে ভোটের দিন শনিবারই পদত্যাগ করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ মেক্কি। এ নিয়ে গত সাত মাসে প্রেসিডেন্ট মুরসির শীর্ষস্থানীয় ১৭ সহযোগীর সাতজনই পদত্যাগ করলেন।
বেসরকারি ফল অনুযায়ী, প্রথম দফায় সংবিধানের পক্ষে ভোট দিয়েছিল প্রায় ৫৭ ভাগ মানুষ। তবে ভোটার উপস্থিতি ছিল মাত্র ৩২ শতাংশ। শনিবারের ভোটেও উপস্থিতির হার এর কাছাকাছি ছিল বলে জানিয়েছে মুসলিম ব্রাদার হুড। তবে 'হ্যাঁ' ভোট দিয়েছে ৭১ শতাংশেরও বেশি মানুষ। বিরোধী জোটের অন্যতম সদস্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শফিক ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রতিনিধি ইলেয়ানা রস-লেহটিনেনও একে 'মিসরীয় জনগণের পরাজয়' বলে মন্তব্য করেছেন।
নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন গণপরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত উচ্চকক্ষ শূরা কাউন্সিলের (বা সিনেট) হাতে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা ন্যস্ত থাকবে। শনিবার রাতে ২৭০ আসনবিশিষ্ট সিনেটের ৯০ সদস্যের নাম ঘোষণা করেছেন মোহাম্মদ মুরসি। নির্বাচনের মাধ্যমে এর দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য আগেই নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি এক-তৃতীয়াংশের মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের। তবে এনএসএফ জানিয়েছে, তাঁদের মধ্যে যাঁরা মনোনীত হয়েছেন তাঁরা পার্লামেন্টে যোগ দেবেন না। উল্লেখ্য, খসড়া সংবিধানকে 'ইসলামপন্থী' আখ্যা দিয়ে এর বিরোধিতায় তিন সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছে মুরসিবিরোধীরা। দেশবাসীকেও তারা 'না' ভোট দিয়ে প্রস্তাবিত সংবিধানকে প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়েছিল। সূত্র : এএফপি, এপি, রয়টার্স।
No comments