শিক্ষা ও গবেষণা by একরামুল হক শামীম
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও গবেষণার মান নিয়ে আমরা অনেক ধরনের কথাই বলে থাকি। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে গবেষণার মান দিন দিন কমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষক ও ছাত্ররাজনীতির খারাপ চর্চার বেড়াজালে পড়ে শিক্ষার মানও কমছে।
স্বাভাবিকভাবেই পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে যে র্যাঙ্কিং করা হয় সেখানে স্থান হয় না দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর। গুরুত্বপূর্ণ র্যাঙ্কিংগুলোতে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেরা পাঁচশ'র মধ্যে থাকতে পারে না। এর বড় কারণ গবেষণার অভাব। সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং নির্ধারণের ক্ষেত্রে যে কয়েকটি বিষয়কে মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হয় তার একটি গবেষণার মান। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মানের সঙ্গে পাবলিকেশনের সম্পর্ক রয়েছে। গবেষণার মান ভালো না হলে মানসম্মত পাবলিকেশন বের করা কঠিন। এসব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ের ওঠানামা হয়।
আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও গবেষণার বর্তমান মান কেমন তার উত্তর কিছুটা হলেও জানা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকের বরাতে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া রিভারসাইটের গবেষক গ্গ্নেন হিক্স সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছিলেন একটি কর্মশালা পরিচালনা করতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ আয়োজিত জিনোমিক্স বিষয়ে এ কর্মশালায় বক্তব্য রেখেছেন তিনি। সেই কর্মশালার সূত্রে দুই সপ্তাহ সময় বাংলাদেশে কাটিয়েছেন গ্গ্নেন হিক্স। এ সময় বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। কাছ থেকে সম্ভাবনা ও সমস্যাগুলোও দেখেছেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কয়েকটি ক্লাস নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গিয়ে তার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার নিজস্ব জার্নাল 'ইউসিআর টুডে'কে। সেখানে তিনি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মানের কথা উল্লেখ করেছেন। বলেছেন শিক্ষা পদ্ধতির কথা। গবেষণার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া রিভারসাইটের গবেষক গ্গ্নেন হিক্স। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গবেষণাগারগুলো তিনি দেখেছেন সেখানে মানসম্মত অনেক গবেষণা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বায়োটেকনোলজির ওপর করা গবেষণাগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহও অনেক। তারা আগ্রহ নিয়ে নতুন নতুন বিষয় শিখতে চায়। তবে গ্গ্নেন হিক্স কিছু সীমাবদ্ধতার দিকেও দৃষ্টি দিয়েছেন। তার মতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বড় বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও অত্যাধুনিক গবেষণার জন্য তেমন ভালো অবকাঠামো এখানে নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও মেধা থাকা সত্ত্বেও এখানে অনেক নতুন বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। গ্গ্নেন হিক্সের এই পর্যবেক্ষণ বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও সত্য। এখানে গবেষণাগারের অবকাঠামো ততটা উন্নত নয়। ফলে শিক্ষার্থীরা গবেষণার ক্ষেত্রে তাদের মেধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারেন না। এর পেছনে দায়ী গবেষণা খাতে কম বরাদ্দ। ২০১১-১২ অর্থবছরের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের মাত্র ২ শতাংশ গবেষণা খাতে বরাদ্দ
রাখা হয়েছে!
শিক্ষা প্রদান পদ্ধতি বিষয়েও গ্গ্নেন হিক্স কিছু পর্যবেক্ষণের কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেখানে মিথস্ক্রিয়ামূলক শিক্ষা পদ্ধতির দিকে জোর দিচ্ছে সেখানে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পদ্ধতি ঠিক মিথস্ক্রিয়ামূলক নয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকের উত্থাপিত বিষয় নিয়ে নিয়মিত আপত্তি, প্রশ্ন ও যুক্তিতর্ক হয়, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে সেটা খুব কম হয়, এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজিত ক্ষমতাক্রম কাজ করে। শিক্ষার্থীদের মিথস্ক্রিয়ামূলক শিক্ষা পদ্ধতিতে আগ্রহী করে তুললে শিক্ষার মান বাড়বে। গবেষক গ্গ্নেন হিক্স বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যে পর্যবেক্ষণগুলোর কথা জানিয়েছেন তা মোটামুটি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই প্রযোজ্য। শিক্ষা ও গবেষণার মান সম্পর্কে কেবল নেতিবাচক মন্তব্য না করে সমস্যাগুলোর সমাধান জরুরি।
আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও গবেষণার বর্তমান মান কেমন তার উত্তর কিছুটা হলেও জানা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকের বরাতে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া রিভারসাইটের গবেষক গ্গ্নেন হিক্স সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছিলেন একটি কর্মশালা পরিচালনা করতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ আয়োজিত জিনোমিক্স বিষয়ে এ কর্মশালায় বক্তব্য রেখেছেন তিনি। সেই কর্মশালার সূত্রে দুই সপ্তাহ সময় বাংলাদেশে কাটিয়েছেন গ্গ্নেন হিক্স। এ সময় বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। কাছ থেকে সম্ভাবনা ও সমস্যাগুলোও দেখেছেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কয়েকটি ক্লাস নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গিয়ে তার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার নিজস্ব জার্নাল 'ইউসিআর টুডে'কে। সেখানে তিনি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মানের কথা উল্লেখ করেছেন। বলেছেন শিক্ষা পদ্ধতির কথা। গবেষণার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া রিভারসাইটের গবেষক গ্গ্নেন হিক্স। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গবেষণাগারগুলো তিনি দেখেছেন সেখানে মানসম্মত অনেক গবেষণা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বায়োটেকনোলজির ওপর করা গবেষণাগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহও অনেক। তারা আগ্রহ নিয়ে নতুন নতুন বিষয় শিখতে চায়। তবে গ্গ্নেন হিক্স কিছু সীমাবদ্ধতার দিকেও দৃষ্টি দিয়েছেন। তার মতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বড় বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও অত্যাধুনিক গবেষণার জন্য তেমন ভালো অবকাঠামো এখানে নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও মেধা থাকা সত্ত্বেও এখানে অনেক নতুন বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। গ্গ্নেন হিক্সের এই পর্যবেক্ষণ বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও সত্য। এখানে গবেষণাগারের অবকাঠামো ততটা উন্নত নয়। ফলে শিক্ষার্থীরা গবেষণার ক্ষেত্রে তাদের মেধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারেন না। এর পেছনে দায়ী গবেষণা খাতে কম বরাদ্দ। ২০১১-১২ অর্থবছরের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের মাত্র ২ শতাংশ গবেষণা খাতে বরাদ্দ
রাখা হয়েছে!
শিক্ষা প্রদান পদ্ধতি বিষয়েও গ্গ্নেন হিক্স কিছু পর্যবেক্ষণের কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেখানে মিথস্ক্রিয়ামূলক শিক্ষা পদ্ধতির দিকে জোর দিচ্ছে সেখানে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পদ্ধতি ঠিক মিথস্ক্রিয়ামূলক নয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকের উত্থাপিত বিষয় নিয়ে নিয়মিত আপত্তি, প্রশ্ন ও যুক্তিতর্ক হয়, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে সেটা খুব কম হয়, এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজিত ক্ষমতাক্রম কাজ করে। শিক্ষার্থীদের মিথস্ক্রিয়ামূলক শিক্ষা পদ্ধতিতে আগ্রহী করে তুললে শিক্ষার মান বাড়বে। গবেষক গ্গ্নেন হিক্স বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যে পর্যবেক্ষণগুলোর কথা জানিয়েছেন তা মোটামুটি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই প্রযোজ্য। শিক্ষা ও গবেষণার মান সম্পর্কে কেবল নেতিবাচক মন্তব্য না করে সমস্যাগুলোর সমাধান জরুরি।
No comments