প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া গোয়েন্দা রিপোর্ট নিউইয়র্কে আমরাও পাই ॥ নাসের
বর্ণমালা নিউজ, নিউইয়র্ক ॥ প্রতি সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে গোয়েন্দা সংস্থা যে রিপোর্ট দেয় তা আমরাও পাইÑ নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে এই দাবি করেছেন প্রয়াত বিএনপি নেতা সাইফুর রহমানের পুত্র মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি সভাপতি নাসের রহমান।
নাসের রহমান আরও বলেন, আমরা কলা খাই না, আমাদের লোকও আছে গোয়েন্দা সংস্থায়। যুক্তরাষ্ট্র মৌলভীবাজার জেলা সমিতির একটি গ্রুপ আয়োজিত তাঁর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাসের রহমান বলেন, ‘দেশ চালাচ্ছেন চারজনÑ এঁরা হলেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা, তাঁর তিন উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, মসিউর রহমান ও সাবেক জেনারেল তারেক সিদ্দিকী। আর এর সঙ্গে রয়েছে ভারতীয় হাইকমিশনও। আর ফাইন্যান্স মাল মুহিত- হি ইজ মিকি মাউস জোক, সে তার এনবিআর চেয়ারম্যান বদলাতে পারে না।’ নাসের রহমান আরও বলেন, অথচ বিএনপি সরকারের আমলে বলা হতো দেশ চালাতেন সাইফুর রহমান। কথাটা অনেকটাই সত্য ছিল। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নির্দেশ দিতেন আর সব কিছু করতেন সাইফুর রহমান।
সর্বজনীন গণসংবর্ধনা হিসাবে প্রচার করা হলেও নাসের রহমানের বক্তব্যে সংবর্ধনার মেজাজ পাল্টে দিয়ে একে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কর্মী সম্মেলনে পরিণত করে। সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে নাসের রহমান তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, সংস্কারবাদী মান্নাদের বাদ দিয়ে ইউনিয়ন ও থানা লেভেল থেকে লোক নিয়ে মন্ত্রী বানিয়ে দেশ চালানো যায় না।
এম নাসের রহমান বর্তমান সরকারকে মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স সমর্থিত সরকার উল্লেখ করে বলেন, তারা ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভোটের মাধ্যমে নয়, মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের সহযোগিতায়। তাদের ক্ষমতায় আনতে ভারতীয় ইন্টেলিজেন্সও কাজ করেছে। নাসের রহমান আরও বলেন, চেহারা এক রকম হওয়ায় ভারতীয়রা আমাদের মধ্যে মিশে গিয়ে যেভাবে কাজ করে সেভাবে করতে পারে না পাকিস্তানী ও চীনারা। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেছে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দুই দুইটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাই প্রডাক্ট প্রধানমন্ত্রী হয়ে এখন কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান না? তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের কথা বলছেন এবং বিএনপিকে সেই সরকারে যোগ দেয়ার জন্য বলছেন। কিন্তু বিএনপি সাগু খায় না যে সরকারের টোপ গিলবে। তিনি বলেন, ’৯৬ সালে আমরাও অন্তর্বর্তী সরকারের কথা বলেছিলাম। আওয়ামী লীগ রাজি হয়নি।
No comments