বিরামপুরে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের ধারে মোন্নাপাড়া ঘাটে শাখা যমুনা নদী থেকে একজন প্রভাবশালী শ্যালো যন্ত্র দিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, যন্ত্র দিয়ে বালু তোলায় এবং এই বালু কিনতে আসা ট্রাক্টরের চলাচলের কারণে মোন্নাপাড়া ঘাটের কাছে রাস্তাসহ বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের অধিকাংশ ধসে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, বালু কিনতে আসা ট্রাক্টর যাতায়াতের কারণে ঘাটের নদীতীরবর্তী বাঁধসহ পাকা রাস্তাটি অর্ধেকের বেশি ধসে গেছে। মোন্নাপাড়া ঘাট এলাকায় দুটি শ্যালো যন্ত্র দিয়ে বালু তুলে স্থানীয় আবু বক্করের জমিতে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে বালু বিক্রি করা হচ্ছে।
বালু বিক্রেতা বিরাজ মিয়া (৩০) জানান, বালু তুলছেন সোটাপির গ্রামের বেলাল হোসেন (৩৫)। দুই মাস থেকে সেখানে এভাবে বালু তোলা হচ্ছে। প্রতিদিন ৫০-৬০ ট্রাক্টর বালু তোলা হয়। প্রতি ট্রাক্টর বালু ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। চকবসন্ত গ্রামের আবদুল মান্নান, প্রস্তমপুর গ্রামের নিয়ামত আলী (৪০), সোটাপির গ্রামের আনিছুর রহমান (৪৫) জানান, এলাকার প্রভাবশালী বেলাল হোসেন ঈদগাহ কমিটিকে হাত করে শুকনো মৌসুমেও এ ঘাট থেকে অবৈধভাবে বালু তুলেছেন। এখন নদীতে পানি বাড়ায় শ্যালো যন্ত্র দিয়ে বালু তুলছেন। শ্যালো যন্ত্র দিয়ে বালু তোলায় এবং বালুবাহী ট্রাক্টর চলাচলের কারণে বাঁধসহ রাস্তাটি ধসে যাচ্ছে। বিষয়টি তাঁরা বহুবার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
বালু উত্তোলনকারী বেলাল হোসেন (৩৭) জানান, প্রতিবছরই সোটাপির কাচারি ঈদগাহ কমিটিকে টাকা দিয়ে মোন্নাপাড়া ঘাট থেকে কেউ-না কেউ বালু তোলেন। এবার ঈদগাহ কমিটিকে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে তাদের অনুমতি নিয়েই তিনি বালু তুলছেন। বেলাল হোসেনের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে ঈদগাহ কমিটির সভাপতি পলিপ্রয়াগপুর ইউপির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বেলালকে শুকনো মৌসুমে নদী থেকে বালু তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যন্ত্র দিয়ে বালু তোলার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। তিনি স্বীকার করেন, যন্ত্র দিয়ে বালু তোলায় নদীর তীর, বাঁধ ও রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। যেকোনো সময়ে বাঁধের ধসে যাওয়া অংশ দিয়ে বন্যার পানি ঢুকে বাঁধের পশ্চিম পাশের পাঁচ-সাতটি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। তিনি জানান, বালু তোলা বন্ধ করাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বারবার অনুরোধ করলেও কোনো কাজ হয়নি।
ইউএনও রোখছানা বেগম বলেন, ঈদগাহ কমিটি টাকা নিয়ে বালু তোলার অনুমতি দিয়েছে বলে তিনি জেনেছেন। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীকে ধরতে তিনি কয়েকবার অভিযান চালিয়েছেন। অচিরেই এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ঈদগাহ কমিটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বালু বিক্রেতা বিরাজ মিয়া (৩০) জানান, বালু তুলছেন সোটাপির গ্রামের বেলাল হোসেন (৩৫)। দুই মাস থেকে সেখানে এভাবে বালু তোলা হচ্ছে। প্রতিদিন ৫০-৬০ ট্রাক্টর বালু তোলা হয়। প্রতি ট্রাক্টর বালু ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। চকবসন্ত গ্রামের আবদুল মান্নান, প্রস্তমপুর গ্রামের নিয়ামত আলী (৪০), সোটাপির গ্রামের আনিছুর রহমান (৪৫) জানান, এলাকার প্রভাবশালী বেলাল হোসেন ঈদগাহ কমিটিকে হাত করে শুকনো মৌসুমেও এ ঘাট থেকে অবৈধভাবে বালু তুলেছেন। এখন নদীতে পানি বাড়ায় শ্যালো যন্ত্র দিয়ে বালু তুলছেন। শ্যালো যন্ত্র দিয়ে বালু তোলায় এবং বালুবাহী ট্রাক্টর চলাচলের কারণে বাঁধসহ রাস্তাটি ধসে যাচ্ছে। বিষয়টি তাঁরা বহুবার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
বালু উত্তোলনকারী বেলাল হোসেন (৩৭) জানান, প্রতিবছরই সোটাপির কাচারি ঈদগাহ কমিটিকে টাকা দিয়ে মোন্নাপাড়া ঘাট থেকে কেউ-না কেউ বালু তোলেন। এবার ঈদগাহ কমিটিকে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে তাদের অনুমতি নিয়েই তিনি বালু তুলছেন। বেলাল হোসেনের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে ঈদগাহ কমিটির সভাপতি পলিপ্রয়াগপুর ইউপির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বেলালকে শুকনো মৌসুমে নদী থেকে বালু তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যন্ত্র দিয়ে বালু তোলার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। তিনি স্বীকার করেন, যন্ত্র দিয়ে বালু তোলায় নদীর তীর, বাঁধ ও রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। যেকোনো সময়ে বাঁধের ধসে যাওয়া অংশ দিয়ে বন্যার পানি ঢুকে বাঁধের পশ্চিম পাশের পাঁচ-সাতটি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। তিনি জানান, বালু তোলা বন্ধ করাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বারবার অনুরোধ করলেও কোনো কাজ হয়নি।
ইউএনও রোখছানা বেগম বলেন, ঈদগাহ কমিটি টাকা নিয়ে বালু তোলার অনুমতি দিয়েছে বলে তিনি জেনেছেন। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীকে ধরতে তিনি কয়েকবার অভিযান চালিয়েছেন। অচিরেই এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ঈদগাহ কমিটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments