স্বাধীনতা এবং বর্তমান প্রজন্ম
আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতার চার দশক পূর্তি। ১৯৭১ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দীর্ঘ পরিক্রমায় নানা ঘাতপ্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে বাংলাদেশ। এই দীর্ঘ সময়ে আমাদের অর্জনের তালিকাও কম নয়। নোবেল শান্তি পুরস্কার, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, পাটের জিন, আবিষ্কার, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, এভারেস্ট বিজয়সহ অসংখ্য অর্জন আমাদের আগামীর পথ চলার প্রেরণা।
সামাজিক সূচকেও প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহ থেকে আমরা বেশ এগিয়ে। বেড়েছে নারী শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান। স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি, শিশু মৃত্যুর হার কমানোসহ অন্যান্য বিষয়েও যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। বিশ্বশান্তি রক্ষায় আমাদের সেনাবাহিনীর অবদানের পাশাপাশি পোশাক শিল্পেও আমরা অন্যান্য রাষ্ট্র থেকে এগিয়ে। প্রবাসীদের আয়ের সুবাদে চলতি বছরেই আমাদের রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ১১ বিলিয়ন ডলারে। স্বাধীনতার চার দশক পূর্তিতে বর্তমান প্রজন্ম স্বাধীনতা নিয়ে কি ভাবছে ? মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কতটুকু ধারণা করে তারা ? কিংবা বলা যায় দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তাদের কি ভাবনা ?
এসব প্রশ্ন সামনে রেখেই আমাদের কথা হয় বাংলাদেশের তৃতীয় প্রজন্মের বেশ কিছু তরুণ-তরুণীর সঙ্গে। যারা অত্যন্ত আন্তরিকভাবে ব্যক্ত করেছেন তাদের মতামত।
রাজনীতিতে অনীহা : তৃতীয় প্রজন্মের বেশিরভাগ তরুণ-তরুণী রাজনীতি অপছন্দ করেন। ফেসবুক প্রোফাইলে বেশিভাগ তরুণ-তরুণীর তথ্য কনিকা দেখলেই বিষয়টি উপলব্ধি করা যায়। পলিটিক্যাল ভিউ কিংবা রাজনৈতিক দর্শনে তারা প্রত্যেকেই স্টেনাস লেখে ঐধঃব চড়ষরঃরপং কিংবা ঘড়ঃ রহঃবৎবংঃবফ. এ বিষয়ে তরুণ-তরুণীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলমান সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাদের এই মনোভাবের জন্য দায়ী। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বন্ধ থাকা সংসদ নির্বাচনও ভবিষ্যত নেতৃত্ব সৃষ্টিতে বাধাগ্রস্ত করছে। অথচ অবাক করার বিষয়, আমাদের গৌরবোজ্বল সকল রাজনৈতিক অর্জনের মূলে ছিল তৎকালীন ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
ইতিহাস নিয়ে বিভ্রান্তি : স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য কোন দলিল এখনও উপস্থাপন করতে পারিনি। দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির উর্ধে উঠে গ্রহণযোগ্য ইতিহাস তৈরি করিনি। ইতিহাস নিয়ে আজ পর্যন্ত যে বিভ্রান্তি কিংবা ধূম্রজাল তা ভবিষ্যত প্রজন্মকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে মনে করেন তরুণ প্রজন্ম। তারা প্রজন্মকেই বিশ্বাস করে গ্রহণযোগ্য একটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, একাত্তরে চেতনা ধারণ এবং লালন করতে তাদের সাহায্য করবে। তাই আগামী প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে চায় সঙ্কীর্ণহীন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। যেখানে স্থান পাবে প্রতিটি বীরত্বগাথা ঘটনা, মূল্যয়ন এবং তাৎপর্য।
প্রজন্ম ও প্রযুক্তি : প্রযুক্তির এই বিশ্বে স্বাধীনতা অক্ষুন্ন এবং সমুন্নত রাখতে আমাদের অবশ্যই প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবন এবং উন্নতি প্রয়োজন। উন্নত বিশ্ব বর্তমানে পঞ্চম প্রজন্মের জ্িঙ্গ বিমান তৈরি করছে। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে হ্যাকারদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তৈরি করছে রিমোট চালিত বিমান। এছাড়া পরমাণু প্রযুক্তি এখন প্রায় সকল রাষ্ট্রের নাগালে। এমতবস্থায় স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা কিংবা টক শো বাদ দিয়ে আমরা যদি সামরিকভাবে প্রযুক্তির বিকাশ না ঘটাই তবে পুনরায় নব্য সাম্রাজ্যবাদীদের পুতুলে পরিণত হব । তাই স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখতে চাই প্রযুক্তিক বিকাশ। যার দায়িত্ব বর্তায় বর্তমান সময়ের তরুণ-তরুণীর কাঁধে। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে চাই নতুন প্রযুক্তি, নতুন উদ্ভাবন। গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের। কিন্তু স্বাধীনতার দীর্ঘ ঘাত পেরিয়েও সেই স্বপ্ন আজও অধরা। তাই শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার যে আদর্শ নিয়ে দেশ স্বাধীন হয় তা যেন ভবিষ্যত প্রজন্ম লালন করে এই প্রত্যাশা।
ডি প্রজন্ম প্রতিবেদক
এসব প্রশ্ন সামনে রেখেই আমাদের কথা হয় বাংলাদেশের তৃতীয় প্রজন্মের বেশ কিছু তরুণ-তরুণীর সঙ্গে। যারা অত্যন্ত আন্তরিকভাবে ব্যক্ত করেছেন তাদের মতামত।
রাজনীতিতে অনীহা : তৃতীয় প্রজন্মের বেশিরভাগ তরুণ-তরুণী রাজনীতি অপছন্দ করেন। ফেসবুক প্রোফাইলে বেশিভাগ তরুণ-তরুণীর তথ্য কনিকা দেখলেই বিষয়টি উপলব্ধি করা যায়। পলিটিক্যাল ভিউ কিংবা রাজনৈতিক দর্শনে তারা প্রত্যেকেই স্টেনাস লেখে ঐধঃব চড়ষরঃরপং কিংবা ঘড়ঃ রহঃবৎবংঃবফ. এ বিষয়ে তরুণ-তরুণীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলমান সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাদের এই মনোভাবের জন্য দায়ী। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বন্ধ থাকা সংসদ নির্বাচনও ভবিষ্যত নেতৃত্ব সৃষ্টিতে বাধাগ্রস্ত করছে। অথচ অবাক করার বিষয়, আমাদের গৌরবোজ্বল সকল রাজনৈতিক অর্জনের মূলে ছিল তৎকালীন ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
ইতিহাস নিয়ে বিভ্রান্তি : স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য কোন দলিল এখনও উপস্থাপন করতে পারিনি। দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির উর্ধে উঠে গ্রহণযোগ্য ইতিহাস তৈরি করিনি। ইতিহাস নিয়ে আজ পর্যন্ত যে বিভ্রান্তি কিংবা ধূম্রজাল তা ভবিষ্যত প্রজন্মকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে মনে করেন তরুণ প্রজন্ম। তারা প্রজন্মকেই বিশ্বাস করে গ্রহণযোগ্য একটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, একাত্তরে চেতনা ধারণ এবং লালন করতে তাদের সাহায্য করবে। তাই আগামী প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে চায় সঙ্কীর্ণহীন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। যেখানে স্থান পাবে প্রতিটি বীরত্বগাথা ঘটনা, মূল্যয়ন এবং তাৎপর্য।
প্রজন্ম ও প্রযুক্তি : প্রযুক্তির এই বিশ্বে স্বাধীনতা অক্ষুন্ন এবং সমুন্নত রাখতে আমাদের অবশ্যই প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবন এবং উন্নতি প্রয়োজন। উন্নত বিশ্ব বর্তমানে পঞ্চম প্রজন্মের জ্িঙ্গ বিমান তৈরি করছে। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে হ্যাকারদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তৈরি করছে রিমোট চালিত বিমান। এছাড়া পরমাণু প্রযুক্তি এখন প্রায় সকল রাষ্ট্রের নাগালে। এমতবস্থায় স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা কিংবা টক শো বাদ দিয়ে আমরা যদি সামরিকভাবে প্রযুক্তির বিকাশ না ঘটাই তবে পুনরায় নব্য সাম্রাজ্যবাদীদের পুতুলে পরিণত হব । তাই স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখতে চাই প্রযুক্তিক বিকাশ। যার দায়িত্ব বর্তায় বর্তমান সময়ের তরুণ-তরুণীর কাঁধে। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে চাই নতুন প্রযুক্তি, নতুন উদ্ভাবন। গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের। কিন্তু স্বাধীনতার দীর্ঘ ঘাত পেরিয়েও সেই স্বপ্ন আজও অধরা। তাই শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার যে আদর্শ নিয়ে দেশ স্বাধীন হয় তা যেন ভবিষ্যত প্রজন্ম লালন করে এই প্রত্যাশা।
ডি প্রজন্ম প্রতিবেদক
No comments