চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের ১৭টি স্থানে সওজের ‘বিপৎসংকেত’ by ইব্রাহিম খলিল
চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের ১৭ স্থানে ১৭টি বিপৎসংকেত দেওয়া হয়েছে। এসব স্থান যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ওই সব স্থানে বিপৎসংকেত হিসেবে লাল নিশান উড়িয়ে দিয়েছে।
সওজ সূত্র জানায়, সড়কের হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট, রাউজান উপজেলার কালুমরার টেক, ধরের টেক, গশ্চিনায়াহাট, বদুপাড়া, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বুড়ির দোকান, পোমরা বঙ্গবন্ধু উচ্চবিদ্যালয়, গোচরা বাজার, ইছাখালী জেলেপাড়া, মরিয়মনগর চৌমুহনী, কাটাখালী, কাপ্তাই উপজেলার বারঘোনিয়া, বড়ইছড়ি, শীলছড়ি, চিৎমরম, ব্যাঙছড়ি এলাকায় ১৭টি স্থানকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সওজ। এর মধ্যে অধিকাংশ স্থানেই সড়কের পাড়ের মাটি সরে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকটি স্থান দেবে গেছে।
সওজের রাঙ্গুনিয়া কার্যালয়ের প্রকৌশলী আবুল কাসেম জানান, উঁচু পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া বৃষ্টির পানির তোড়ে এসব স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়; কয়েক বছর ধরে এ অবস্থা চলে আসছে। কিন্তু যথাসময়ে সংস্কার না করায় স্থানগুলো এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তবে দুর্ঘটনা এড়াতে এসব স্থানে বিপৎসংকেত হিসেবে লাল কাপড়ের নিশান বেঁধে বাঁশের খুঁটি পুঁতে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ২০০৪ সালে সড়কটির কাপ্তাই জেটিঘাট থেকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট পর্যন্ত প্রায় ৪৯ কিলোমিটার অংশ মেরামত করা হলেও সড়কের পাড় সংরক্ষণে কোনো কাজ করা হয়নি। ফলে প্রতিবছর বৃষ্টির পানির তোড়ে সড়কের কিনার থেকে মাটি সরে তলায় গর্তের সৃষ্টি হয়। অনেক স্থানে সড়ক দেবে গছে; যা ধসে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
গত শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ইছাখালী জেলেপাড়া এলাকায় সড়কের ঢালে বড় ধরনের গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গর্তের ওপর সড়ক অক্ষত থাকায় এবং গর্তটি লতাপাতায় ঢাকা থাকায় বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই যে এখানে এমন মরণফাঁদ তৈরি হয়েছে। রাউজান উপজেলার ধরেরটেক এলাকায় সৃষ্ট গর্ত ৮-১০ ইঞ্চি দেবে গেছে। সড়কের আরও ছয়টি স্থানে এভাবে দেবে গেছে। বাকি ১১টি স্থানে সড়কের ওপরের অংশ অক্ষত থাকলেও তলায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে; যেখানে লাল কাপড়ের নিশান উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওই সড়কের বাসচালক আবদুল মুবিন জানান, গর্ত হওয়া স্থানগুলোতে চাকা আটকে যানবাহন প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব এলাকায় স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে।
কাপ্তাই বাসমালিক সমিতির সভাপতি এম মুর্শেদ কাদেরি বলেন, ‘সড়কে সৃষ্ট গর্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো মেরামত করার জন্য সওজ বিভাগে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। অথচ তারা এসব স্থানে লাল কাপড়ের নিশান উড়িয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে।’
সওজ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়ুয়া বলেন, ‘সড়কটিতে প্রায় ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান রয়েছে। এসব স্থানে মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো মেরামত করা সম্ভব হবে।’
সওজের রাঙ্গুনিয়া কার্যালয়ের প্রকৌশলী আবুল কাসেম জানান, উঁচু পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া বৃষ্টির পানির তোড়ে এসব স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়; কয়েক বছর ধরে এ অবস্থা চলে আসছে। কিন্তু যথাসময়ে সংস্কার না করায় স্থানগুলো এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তবে দুর্ঘটনা এড়াতে এসব স্থানে বিপৎসংকেত হিসেবে লাল কাপড়ের নিশান বেঁধে বাঁশের খুঁটি পুঁতে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ২০০৪ সালে সড়কটির কাপ্তাই জেটিঘাট থেকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট পর্যন্ত প্রায় ৪৯ কিলোমিটার অংশ মেরামত করা হলেও সড়কের পাড় সংরক্ষণে কোনো কাজ করা হয়নি। ফলে প্রতিবছর বৃষ্টির পানির তোড়ে সড়কের কিনার থেকে মাটি সরে তলায় গর্তের সৃষ্টি হয়। অনেক স্থানে সড়ক দেবে গছে; যা ধসে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
গত শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ইছাখালী জেলেপাড়া এলাকায় সড়কের ঢালে বড় ধরনের গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গর্তের ওপর সড়ক অক্ষত থাকায় এবং গর্তটি লতাপাতায় ঢাকা থাকায় বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই যে এখানে এমন মরণফাঁদ তৈরি হয়েছে। রাউজান উপজেলার ধরেরটেক এলাকায় সৃষ্ট গর্ত ৮-১০ ইঞ্চি দেবে গেছে। সড়কের আরও ছয়টি স্থানে এভাবে দেবে গেছে। বাকি ১১টি স্থানে সড়কের ওপরের অংশ অক্ষত থাকলেও তলায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে; যেখানে লাল কাপড়ের নিশান উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওই সড়কের বাসচালক আবদুল মুবিন জানান, গর্ত হওয়া স্থানগুলোতে চাকা আটকে যানবাহন প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব এলাকায় স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে।
কাপ্তাই বাসমালিক সমিতির সভাপতি এম মুর্শেদ কাদেরি বলেন, ‘সড়কে সৃষ্ট গর্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো মেরামত করার জন্য সওজ বিভাগে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। অথচ তারা এসব স্থানে লাল কাপড়ের নিশান উড়িয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে।’
সওজ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়ুয়া বলেন, ‘সড়কটিতে প্রায় ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান রয়েছে। এসব স্থানে মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো মেরামত করা সম্ভব হবে।’
No comments