হাইলা-কামলা থেকে গেরস্ত, সবজি আবাদে দারিদ্র্য জয়- কলাপাড়ায় অভাব মোচনের মডেল শ্রমজীবী মানুষ by মেজবাহউদ্দিন মাননু
ওরা জীবনযুদ্ধে জয়ী। পাল্টে গেছে ওদের সংসার-জীবন। এক সময়ের কামলা-হাইলা শ্রেণীর এই মানুষগুলো এখন পরিণত হয়েছে মধ্যম শ্রেণীর গেরস্ত পরিবারে। আর ভাবতে হয়না সংসারের আর্থিক যোগান নিয়ে। কারণ ওদের জীবনের বিবর্ণ দশা কেটে গেছে চিরতরে। স্ত্রী-সন্তানের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে আর দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়না।
জীবনের ধূসর-বিবর্ণ রং বদলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ওরা ছিল ইস্পাত কঠিন। হার না মানা লড়াইয়ে এসব সবুজ সেনানী শুধু নিজেরাই স্বাবলম্বী হয়নি, সৃষ্টি করেছে অন্যের কর্মসংস্থানও। একসময় এসব মানুষ নিজের কর্মসংস্থানে অন্যের বাড়িতে ঘুরত। কিন্তু আজ তারাই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে চলেছে অন্যের। বলতে গেলে অভাব তাড়ানোর লড়াইয়ে এই মানুষগুলো হয়ে আছে সমাজের জীবন্ত দৃষ্টান্ত। কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সহস্র্রাধিক পরিবার এমন লড়াই করে পাল্টে দিয়েছে নিজের জীবন। পুরো বছর শাক-সবজি কিংবা রবিশস্যসহ উফশী জাতের ধানের আবাদ করে তারা তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। বাড়ির আঙ্গিনা থেকে পুকুর কিংবা এক চিলতে জমি সবকিছুই ১২মাস পরিপূর্ণ থাকছে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজিতে। গ্রীষ্ম, শীত কিংবা বর্ষা কখনই এইসব মানুষকে বসে থাকতে হয় না। যেন একেকজন দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলের বাস্তবায়ন নিয়ে সর্বদা ব্যস্ত থাকছে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের এই চাষীরা এখন সাগরপারের জনপদের অহঙ্কারে পরিণত হয়েছে। পরিণত হয়েছে এরা সবাই এখন উৎপাদক শ্রেণীর মানুষে। এদের সঙ্গে কথা না বললে বোঝার উপায় নেই যে, কিভাবে নিজ উদ্যোগে জীবন কিংবা সংসার থেকে দূর করেছেন অভাব।
কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কের আন্ধারমানিক নদীর ফেরি পার হলেই নীলগঞ্জ ইউনিয়ন। কুয়াকাটা পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়কের প্রায় ১৩ কিমি চলে গেছে এই ইউনিয়নের মাঝখান দিয়ে। যেন ইউনিয়নকে বিভক্ত করেছে মহাসড়কটি। এই সড়কের পূর্ব দিকের গ্রামগুলোয় বসবাস অধিকাংশ সবজি চাষীর। বিশেষ করে কুমিরমারা, এলেমপুর, মজিদপুর, গামুরিতলা, নেয়ামতপুর, ফরিদগঞ্জ, আমিরাবাদ, পাখিমারাসহ আশপাশের গ্রামগুলোয় ঘুরলে চোখ জুড়িয়ে যায় তাদের সফলতা দেখে। দুঃখ যেন এদেরকে ভয় পায়, ওদের কাছ থাকে দূরে। আর অভাব যেন পালিয়ে গেছে ওদের জীবন থেকে। প্রত্যেক কৃষকের বাড়ির উঠোন থেকে পুকুরপাড় কিংবা বাড়ির আশাপাশের এক চিলতে জমি পর্যন্ত সবজির আবাদে পরিপূর্ণ। সবুজের আচ্ছাদন রয়েছে এলাকাজুড়ে। সফল এই মানুষগুলোর বক্তব্য, সংলগ্ন পাখিমারার দীর্ঘ খালটিতে ১২ মাস মিঠাপানি সংগৃহীত করে রাখার সুযোগ থাকলে তাদের উৎপাদিত শাকসবজি উত্তরাঞ্চলে সরবরাহ করতে পারত। কথা হয় এলেমপুর গ্রামের সফল চাষী আলী আহম্মদের সঙ্গে। প্রায় তিন বছর আগে নিজের বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে কুয়াকাটাগামী মহাসড়কের পাশে ছলিমপুর গ্রামে এক ব্যক্তির চার বিঘা জমি ১০ বছরের চুক্তিতে বন্ধক রেখেছেন। প্রতিবছর যে পরিমাণ ধান হতো ওই পরিমাণ মূল্য ১২-১৪ হাজার টাকা দিতে হয় জমির মালিককে। প্রথম বছরে এই মানুষটি জমির চারদিকে এবং ভিতরে লম্বালম্বী লেক করেছেন। তার চারদিকে উঁচু করে মাটি ভরাট করেছেন, যাতে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হয়। এছাড়া সংলগ্ন খালে লোনা পানি থাকায় শুকনো মৌসুমে সেচের জন্য প্লটের ভিতরের লেকে মিঠা পানি সংগ্রহ রাখেন। প্রথম বছরে জমি তৈরি, লেবার মজুরি, জাল দিয়ে মাচান করা, বীজ-সার-ওষুধ নিয়ে মোট দেড় লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। করলা, মরিচ, বরবটি, পুইশাক, লাউ, ঝিঙের আবাদ করেছেন। প্রায় আড়াই লাখ টাকা বিক্রি করেছেন। পরের বছর খরচ হয় মাত্র ১০ হাজার টাকা। বিক্রি হয় এক লাখ কুড়ি হাজার টাকা। আর এবছর কুড়ি হাজার টাকা খরচ করে এখন পর্যন্ত দেড় লাখ টাকা বিক্রি করেছেন, আরও প্রায় ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে এই সফল কৃষকের আশাবাদ। একসময় আলী আহম্মেদ এ বাড়ি ও বাড়ি বদলা-কামলা দিতেন। আজ আর তাকে অর্থের জন্য ভাবতে হয়না। প্রতিদিন সকালে ভ্যান কিংবা টমটম বোঝাই দিয়ে নিজের উৎপাদিত লাউ, করলা, কাঁচা মরিচ, শসা, কুমড়া, বরবটি বিক্রির জন্য কলাপাড়া পৌর শহরে নিয়ে আসেন। বিক্রি শেষে কড়কড়ে নোট নিয়ে বাড়িতে ফেরেন। স্ত্রী ও সপ্তম শ্রেণী পড়–য়া ছেলেও তার এই কাজে যোগান দেয়। একজন কৃষি শ্রমিক রেখেছেন যোগালে হিসেবে। এই মানুষটির সঙ্গে কথা বললে বোঝা যায় তিনি কতটা সুখে আছেন।
চার সন্তানের জনক সুলতান গাজীর সংসারে এক সময় নুন আনতে পানতা ফুড়াত। প্রায় এক যুগ ধরে এই মানুষটি জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে সফলতার ছোঁয়া পেয়েছেন। তাঁর বাবা আব্দুল আজিজ গাজীর হাত ধরে সবজির আবাদে নেমেছিলেন। আজিজ গাজী গোটা কুমিরমারা গ্রামে সবজি আবাদের রূপকার হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন। প্রায় দুই বছর আগে ইহলোক ছেড়ে গেছেন সবজি চাষের গোড়াপত্তনকারী মানুষটি। কিন্তু গ্রামটির শতকরা ৯০ জন কৃষক সবজি আবাদের মধ্য দিয়ে এখনও তার চেহারা দেখতে পায়। এক সময়ে যশোর-খুলনা অঞ্চল থেকে হাইব্রিড জাতের বিভিন্ন সবজির বীজ এনে এই এলাকায় চাষাবাদ শুরু করেছেন মরহুম আজিজ গাজী।
সুলতান গাজী জানালেন, জীবনে বহু অভাবের দিন পার করেছেন। অন্যের কামলা জোটাতেও পারতেন না। কিন্তু আজ তার গেরস্ত পরিবার। দুই ছেলেকে উচ্চ মাধ্যমিক পার করেছেন। অন্য দুই ছেলেও স্কুলে যায়। স্ত্রীসহ ছয়জনের সংসারে অনাবিল সুখ-শান্তি বিরাজমান। সুলতান গাজী জানালেন, বেড়িবাঁধের বাইরে পাখিমারার পরিত্যক্ত স্লুইসটির আশপাশের জমিতে লাউ, বরবটি, করলা, বেগুন, মরিচের আবাদ করেছেন বরাবরের মতো। তবে এবছর ফলন খুবই ভাল। গড়ে মাসে অন্তত ১২ হাজার টাকা লাভ হয় এই সফল সবজি চাষীর। তিনি জানালেন, এই এলাকায় বেশি জমির দরকার নেই। প্রত্যেক পরিবার দুই থেকে চার বিঘা জমি তিন ফসলের আওতায় আনতে পারলেই সারা বছরের খোরাকি ছাড়াও অনেক লাভ করা সম্ভব। ২০১১ সালে মাত্র দুই একর জমিতে ৯৭ মণ বোরো, ৬৩ মণ আউশ এবং ৭১ মণ আমন ধান পেয়েছেন সুলতান। তার ভাষ্যমতে, ‘নিজের থেইক্যা ইচ্ছা থাকলে অভাব থাহে না।’ এই পরিবারে এখন সুখের হাওয়া বইছে। সবচেয়ে সাফল্যের খবরটি হচ্ছে এসব পরিবারের কেউ কোন সরকারী কিংবা বেসরকারী সংস্থার থেকে একটি টাকাও লোন নেয়নি। যেন সাফল্যের ষোলকলায় পূর্ণ এসব পরিবার। একই অবস্থা মজিদপুরের নেছারুদ্দিন, জাকির মুসুল্লি, এলেমপুরের বায়েজিদ, আব্দুল খালেক, আবুল কালামসহ অধিকাংশের। এভাবে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সহস্রাধিক কৃষক পরিবার সবজি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে এলাকার দারিদ্র্য বিমোচনের কাজ করে সফলতার ছোঁয়া পেয়েছেন। নিজেরা যেমন ভাগ্যের স্থায়ী উন্নয়ন ঘটিয়েছেন, তেমনি করেছেন অন্যের কর্মসংস্থান।
কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কের আন্ধারমানিক নদীর ফেরি পার হলেই নীলগঞ্জ ইউনিয়ন। কুয়াকাটা পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়কের প্রায় ১৩ কিমি চলে গেছে এই ইউনিয়নের মাঝখান দিয়ে। যেন ইউনিয়নকে বিভক্ত করেছে মহাসড়কটি। এই সড়কের পূর্ব দিকের গ্রামগুলোয় বসবাস অধিকাংশ সবজি চাষীর। বিশেষ করে কুমিরমারা, এলেমপুর, মজিদপুর, গামুরিতলা, নেয়ামতপুর, ফরিদগঞ্জ, আমিরাবাদ, পাখিমারাসহ আশপাশের গ্রামগুলোয় ঘুরলে চোখ জুড়িয়ে যায় তাদের সফলতা দেখে। দুঃখ যেন এদেরকে ভয় পায়, ওদের কাছ থাকে দূরে। আর অভাব যেন পালিয়ে গেছে ওদের জীবন থেকে। প্রত্যেক কৃষকের বাড়ির উঠোন থেকে পুকুরপাড় কিংবা বাড়ির আশাপাশের এক চিলতে জমি পর্যন্ত সবজির আবাদে পরিপূর্ণ। সবুজের আচ্ছাদন রয়েছে এলাকাজুড়ে। সফল এই মানুষগুলোর বক্তব্য, সংলগ্ন পাখিমারার দীর্ঘ খালটিতে ১২ মাস মিঠাপানি সংগৃহীত করে রাখার সুযোগ থাকলে তাদের উৎপাদিত শাকসবজি উত্তরাঞ্চলে সরবরাহ করতে পারত। কথা হয় এলেমপুর গ্রামের সফল চাষী আলী আহম্মদের সঙ্গে। প্রায় তিন বছর আগে নিজের বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে কুয়াকাটাগামী মহাসড়কের পাশে ছলিমপুর গ্রামে এক ব্যক্তির চার বিঘা জমি ১০ বছরের চুক্তিতে বন্ধক রেখেছেন। প্রতিবছর যে পরিমাণ ধান হতো ওই পরিমাণ মূল্য ১২-১৪ হাজার টাকা দিতে হয় জমির মালিককে। প্রথম বছরে এই মানুষটি জমির চারদিকে এবং ভিতরে লম্বালম্বী লেক করেছেন। তার চারদিকে উঁচু করে মাটি ভরাট করেছেন, যাতে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হয়। এছাড়া সংলগ্ন খালে লোনা পানি থাকায় শুকনো মৌসুমে সেচের জন্য প্লটের ভিতরের লেকে মিঠা পানি সংগ্রহ রাখেন। প্রথম বছরে জমি তৈরি, লেবার মজুরি, জাল দিয়ে মাচান করা, বীজ-সার-ওষুধ নিয়ে মোট দেড় লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। করলা, মরিচ, বরবটি, পুইশাক, লাউ, ঝিঙের আবাদ করেছেন। প্রায় আড়াই লাখ টাকা বিক্রি করেছেন। পরের বছর খরচ হয় মাত্র ১০ হাজার টাকা। বিক্রি হয় এক লাখ কুড়ি হাজার টাকা। আর এবছর কুড়ি হাজার টাকা খরচ করে এখন পর্যন্ত দেড় লাখ টাকা বিক্রি করেছেন, আরও প্রায় ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে এই সফল কৃষকের আশাবাদ। একসময় আলী আহম্মেদ এ বাড়ি ও বাড়ি বদলা-কামলা দিতেন। আজ আর তাকে অর্থের জন্য ভাবতে হয়না। প্রতিদিন সকালে ভ্যান কিংবা টমটম বোঝাই দিয়ে নিজের উৎপাদিত লাউ, করলা, কাঁচা মরিচ, শসা, কুমড়া, বরবটি বিক্রির জন্য কলাপাড়া পৌর শহরে নিয়ে আসেন। বিক্রি শেষে কড়কড়ে নোট নিয়ে বাড়িতে ফেরেন। স্ত্রী ও সপ্তম শ্রেণী পড়–য়া ছেলেও তার এই কাজে যোগান দেয়। একজন কৃষি শ্রমিক রেখেছেন যোগালে হিসেবে। এই মানুষটির সঙ্গে কথা বললে বোঝা যায় তিনি কতটা সুখে আছেন।
চার সন্তানের জনক সুলতান গাজীর সংসারে এক সময় নুন আনতে পানতা ফুড়াত। প্রায় এক যুগ ধরে এই মানুষটি জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে সফলতার ছোঁয়া পেয়েছেন। তাঁর বাবা আব্দুল আজিজ গাজীর হাত ধরে সবজির আবাদে নেমেছিলেন। আজিজ গাজী গোটা কুমিরমারা গ্রামে সবজি আবাদের রূপকার হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন। প্রায় দুই বছর আগে ইহলোক ছেড়ে গেছেন সবজি চাষের গোড়াপত্তনকারী মানুষটি। কিন্তু গ্রামটির শতকরা ৯০ জন কৃষক সবজি আবাদের মধ্য দিয়ে এখনও তার চেহারা দেখতে পায়। এক সময়ে যশোর-খুলনা অঞ্চল থেকে হাইব্রিড জাতের বিভিন্ন সবজির বীজ এনে এই এলাকায় চাষাবাদ শুরু করেছেন মরহুম আজিজ গাজী।
সুলতান গাজী জানালেন, জীবনে বহু অভাবের দিন পার করেছেন। অন্যের কামলা জোটাতেও পারতেন না। কিন্তু আজ তার গেরস্ত পরিবার। দুই ছেলেকে উচ্চ মাধ্যমিক পার করেছেন। অন্য দুই ছেলেও স্কুলে যায়। স্ত্রীসহ ছয়জনের সংসারে অনাবিল সুখ-শান্তি বিরাজমান। সুলতান গাজী জানালেন, বেড়িবাঁধের বাইরে পাখিমারার পরিত্যক্ত স্লুইসটির আশপাশের জমিতে লাউ, বরবটি, করলা, বেগুন, মরিচের আবাদ করেছেন বরাবরের মতো। তবে এবছর ফলন খুবই ভাল। গড়ে মাসে অন্তত ১২ হাজার টাকা লাভ হয় এই সফল সবজি চাষীর। তিনি জানালেন, এই এলাকায় বেশি জমির দরকার নেই। প্রত্যেক পরিবার দুই থেকে চার বিঘা জমি তিন ফসলের আওতায় আনতে পারলেই সারা বছরের খোরাকি ছাড়াও অনেক লাভ করা সম্ভব। ২০১১ সালে মাত্র দুই একর জমিতে ৯৭ মণ বোরো, ৬৩ মণ আউশ এবং ৭১ মণ আমন ধান পেয়েছেন সুলতান। তার ভাষ্যমতে, ‘নিজের থেইক্যা ইচ্ছা থাকলে অভাব থাহে না।’ এই পরিবারে এখন সুখের হাওয়া বইছে। সবচেয়ে সাফল্যের খবরটি হচ্ছে এসব পরিবারের কেউ কোন সরকারী কিংবা বেসরকারী সংস্থার থেকে একটি টাকাও লোন নেয়নি। যেন সাফল্যের ষোলকলায় পূর্ণ এসব পরিবার। একই অবস্থা মজিদপুরের নেছারুদ্দিন, জাকির মুসুল্লি, এলেমপুরের বায়েজিদ, আব্দুল খালেক, আবুল কালামসহ অধিকাংশের। এভাবে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সহস্রাধিক কৃষক পরিবার সবজি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে এলাকার দারিদ্র্য বিমোচনের কাজ করে সফলতার ছোঁয়া পেয়েছেন। নিজেরা যেমন ভাগ্যের স্থায়ী উন্নয়ন ঘটিয়েছেন, তেমনি করেছেন অন্যের কর্মসংস্থান।
No comments