মস্তিষ্কের ডান দিকটাকে শক্তিশালী করে আরও সৃষ্টিশীল হয়ে উঠুন
আপনি হয়ত কোন কোন লোককে দেখে থাকবেন যে তারা বাম হাত দিয়ে প্রধান প্রধান কাজগুলো করছেন অথবা বাম পা দিয়ে ফুটবলে কিক মারছেন। কিন্তু কেন তারা সেটা করছেন? আসলে মানুষের মস্তিষ্ক ২টি ভাগে বিভক্ত। ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইংল্যান্ডের নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক এবং অস্ট্রেলিয়ার নিউরোসায়েন্স ও এ্যানিমেল
বিহেভিয়ার গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা লেসলি জে. রজারসের মতে মানুষের মষ্কিষ্কের বাম দিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ, বাক্য তৈরি করা এবং যৌক্তিক অনুমান তৈরি করার কাজে ব্যবহার হয়। আর মস্তিষ্কের ডান দিকটি খুবই সৃষ্টিশীল দিক হিসেবে বিবেচিত হয় এবং ছবি দেখার, সৃষ্টিশীল চিন্তা করার ও তীব্র আবেগ প্রকাশ করার জন্য ব্যবহার হয়।
ছোটবেলা থেকেই একটি সত্য আমাদের মনে প্রতিষ্ঠিত হয়, বেশিরভাগ মানুষের মস্তিষ্কের বাম দিকটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। কিন্তু অনেকভাবেই মস্তিষ্কের ডান দিকটিকে খাটিয়ে আরও সৃষ্টিশীল হওয়া যায়।
* ফটোগ্রাফিক মেমোরির চর্চা করুন : প্রতিদিন আপনার চারদিকটা কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করুন। এরপর আপনার চোখ বন্ধ করুন এবং একটি ছোট রেকর্ডার সঙ্গে রাখুন, আপনি যা যা দেখেছেন তা রেকর্ড করুন। যখন আপনি মনে মনে আপনার চারদিকটা পুনর্নির্মাণ করবেন তখন ছোটখাটো বিষয়গুলোও সেখানে রাখবেন। যখন আপনার রেকর্ড করা শেষ হয়ে যাবে, আপনার চোখ খুলুন, যা রেকর্ড করেছেন তা শুনুন এবং আপনি কতটা ঠিক বলেছেন তা যাচাই করুন। নিয়মিত এটি চর্চা করুন তাহলে এক সময় গভীর মনোযোগ ছাড়াই আপনি প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় বলতে পারবেন।
* আপনার শরীরের যে হাত অথবা পা অপ্রধান (হড়হ- ফড়সরহধহঃ) সেগুলোর মাধ্যমে কাজ করুন : যদি আপনি ডানহাতি হন, তবে বা হাতে লেখার অভ্যাস করুন। অথবা আপনি যদি স্বাভাবিকভাবে আপনার ডান পায়ে ফুটবলে কিক মারেন, এরপর থেকে বাম পায়ে কিক মারার চেষ্টা করুন। এর পেছনে কারণ হচ্ছে মস্তিষ্কের বাম দিক শরীরের ডান দিককে নিয়ন্ত্রণ করে এবং মস্তিষ্কের ডানদিক শরীরের বাম দিককে নিয়ন্ত্রণ করে। এই কারণেই কারও মস্তিষ্কের বাম দিকে যখন স্ট্রোক হয় তখন আমরা তাদের শরীরের ডান দিকটাকে অবশ অবস্থায় দেখতে পাই।
* হাসি হচ্ছে সবচেয়ে ভাল ওষুধ : এখন পর্যন্ত এটা প্রমাণিত যে, হাসি শরীরের ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোকে ম্যাসাজ করে, হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে এবং শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। খোশমেজাজে থাকলে মস্তিষ্কে এনডরফিন হরমোন নিঃসরণ হয় যা শরীরের জন্য খুবই দরকার। শিশুরা সব সময়ই খুব হাসিখুশি ও আনন্দে থাকতে ভালবাসে।
* ছবি আঁকা : মস্কিষ্কের ডান দিকটাকে দ্রুত কার্যকর করার উপায় হচ্ছে ছবি আঁকা। কেন? কারণ এটি এমন একটি কাজ যা বিশেষ করে ডান মস্তিষ্কেই হয়ে থাকে (যেখানে বেশিরভাগ কাজ করার জন্য উভয় মস্তিষ্কের প্রয়োজন হয়)। আপনাকে পিকাসো হতে হবে না। এমনকি আপনি যদি খাতায় নিয়মিত কিছু হিজিবিজিও আঁকেন তাও সহায়তা করবে।
* গান : গান শুনুন এবং গাওয়ার চেষ্টা করুন।
* খেলাধুলা : টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন অথবা অন্য যে কোন খেলা ডান মস্তিষ্ককে কার্যকর করে তোলার জন্য দারুণ পদ্ধতি।
* নিজেকে নিয়ে গল্প তৈরি করা এবং লেখা : বাচ্চারা মস্তিষ্কের ডান দিক চর্চার এই খেলাটা খুবই উপভোগ করবে। নিজেকে নিয়ে একটি কাল্পনিক গল্প তৈরি করতে হবে এবং সেটা লিখে ফেলতে হবে। কোন কিছু না ভেবেই হঠাৎ করেই গল্প লিখতে শুরু করে দিন এবং শেষ পর্যন্ত এটিকে একটি গল্পে রূপ দিন। আপনার কল্পনাকে ব্যবহার করে আপনার ভেতর থেকে কি বেরিয়ে এসেছে তা দেখে আপনি নিজেই চমকে উঠবেন।
* বেড়ানো : নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে যান।
* শিকড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করুন : আপনি ছোটবেলায় যে বাড়িতে বা যেখানে বড় হয়েছেন সেখানে ঘুরতে যান। পুরনো স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে বা স্কুলে আপনার যে শিক্ষককে পছন্দ হতো তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
* পড়ুন পড়ুন আর শুধু পড়ুন : হতে পারে পত্রিকা, ম্যাগাজিন, কমিকসের বই, সায়েন্স ফিকশন বা রহস্য উপন্যাস, যাই হোক পড়ুন।
* লক্ষ্য করুন : একটি জায়গা খুঁজে বের করে বসে পড়ুন। ভাল করে চারপাশটা লক্ষ্য করুন, দেখুন, গন্ধগুলোকে চিনবার চেষ্টা করুন, শব্দগুলোকে শুনুন।
* সব কিছু লিখে ফেলুন : নতুন অভিজ্ঞতার কথা যেমনÑনতুন কোন জায়গা ঘুরতে গেলে, পুরনো কোন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গেলে ঘটনাগুলো লিখে ফেলুন। আপনার অভিজ্ঞতাটি নিয়ে একটি গল্প তৈরি করে ফেলুন এবং অন্যদের সঙ্গে সেটি শেয়ার করুন।
* নাচুন : কোন নাচের ক্লাসে ভর্তি হোন অথবা বাসাতেই নাচার চেষ্টা করুন। আপনি যদি মনে করে থাকেন যে আপনার কোন নাচের তাল নেই, এটা আসলে ঠিক কথা নয়। নাচ হচ্ছে এমন একটি সৃষ্টিশীল কাজ যা যে কেউ করতে পারে। ব্যালেট অথবা সালসা যে কোন একটি নাচের ক্লাসে ভর্তি হয়ে যান অথবা বাসায় সপ্তাহে ২ দিন ১৫ মিনিট করে নাচুন, যা আপনার ডান দিকের মস্তিষ্ককে বিকাশ করবে।
* মেডিটেশন : নিয়মিত মেডিটেশন বা ধ্যান চর্চা করুন।
সুজন মনজুর
ঠিকানা-বাড়ি ৫৮০/এ, ফ্ল্যাট ২, রোড ১৭, খিলগাঁও, তিলপাপাড়া, ঢাকা-১২১৯
টেলিফোন-০১৮১৭১০১১৬৩
লেখার সূত্র : ইন্টারনেট
ছোটবেলা থেকেই একটি সত্য আমাদের মনে প্রতিষ্ঠিত হয়, বেশিরভাগ মানুষের মস্তিষ্কের বাম দিকটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। কিন্তু অনেকভাবেই মস্তিষ্কের ডান দিকটিকে খাটিয়ে আরও সৃষ্টিশীল হওয়া যায়।
* ফটোগ্রাফিক মেমোরির চর্চা করুন : প্রতিদিন আপনার চারদিকটা কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করুন। এরপর আপনার চোখ বন্ধ করুন এবং একটি ছোট রেকর্ডার সঙ্গে রাখুন, আপনি যা যা দেখেছেন তা রেকর্ড করুন। যখন আপনি মনে মনে আপনার চারদিকটা পুনর্নির্মাণ করবেন তখন ছোটখাটো বিষয়গুলোও সেখানে রাখবেন। যখন আপনার রেকর্ড করা শেষ হয়ে যাবে, আপনার চোখ খুলুন, যা রেকর্ড করেছেন তা শুনুন এবং আপনি কতটা ঠিক বলেছেন তা যাচাই করুন। নিয়মিত এটি চর্চা করুন তাহলে এক সময় গভীর মনোযোগ ছাড়াই আপনি প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় বলতে পারবেন।
* আপনার শরীরের যে হাত অথবা পা অপ্রধান (হড়হ- ফড়সরহধহঃ) সেগুলোর মাধ্যমে কাজ করুন : যদি আপনি ডানহাতি হন, তবে বা হাতে লেখার অভ্যাস করুন। অথবা আপনি যদি স্বাভাবিকভাবে আপনার ডান পায়ে ফুটবলে কিক মারেন, এরপর থেকে বাম পায়ে কিক মারার চেষ্টা করুন। এর পেছনে কারণ হচ্ছে মস্তিষ্কের বাম দিক শরীরের ডান দিককে নিয়ন্ত্রণ করে এবং মস্তিষ্কের ডানদিক শরীরের বাম দিককে নিয়ন্ত্রণ করে। এই কারণেই কারও মস্তিষ্কের বাম দিকে যখন স্ট্রোক হয় তখন আমরা তাদের শরীরের ডান দিকটাকে অবশ অবস্থায় দেখতে পাই।
* হাসি হচ্ছে সবচেয়ে ভাল ওষুধ : এখন পর্যন্ত এটা প্রমাণিত যে, হাসি শরীরের ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোকে ম্যাসাজ করে, হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে এবং শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। খোশমেজাজে থাকলে মস্তিষ্কে এনডরফিন হরমোন নিঃসরণ হয় যা শরীরের জন্য খুবই দরকার। শিশুরা সব সময়ই খুব হাসিখুশি ও আনন্দে থাকতে ভালবাসে।
* ছবি আঁকা : মস্কিষ্কের ডান দিকটাকে দ্রুত কার্যকর করার উপায় হচ্ছে ছবি আঁকা। কেন? কারণ এটি এমন একটি কাজ যা বিশেষ করে ডান মস্তিষ্কেই হয়ে থাকে (যেখানে বেশিরভাগ কাজ করার জন্য উভয় মস্তিষ্কের প্রয়োজন হয়)। আপনাকে পিকাসো হতে হবে না। এমনকি আপনি যদি খাতায় নিয়মিত কিছু হিজিবিজিও আঁকেন তাও সহায়তা করবে।
* গান : গান শুনুন এবং গাওয়ার চেষ্টা করুন।
* খেলাধুলা : টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন অথবা অন্য যে কোন খেলা ডান মস্তিষ্ককে কার্যকর করে তোলার জন্য দারুণ পদ্ধতি।
* নিজেকে নিয়ে গল্প তৈরি করা এবং লেখা : বাচ্চারা মস্তিষ্কের ডান দিক চর্চার এই খেলাটা খুবই উপভোগ করবে। নিজেকে নিয়ে একটি কাল্পনিক গল্প তৈরি করতে হবে এবং সেটা লিখে ফেলতে হবে। কোন কিছু না ভেবেই হঠাৎ করেই গল্প লিখতে শুরু করে দিন এবং শেষ পর্যন্ত এটিকে একটি গল্পে রূপ দিন। আপনার কল্পনাকে ব্যবহার করে আপনার ভেতর থেকে কি বেরিয়ে এসেছে তা দেখে আপনি নিজেই চমকে উঠবেন।
* বেড়ানো : নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে যান।
* শিকড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করুন : আপনি ছোটবেলায় যে বাড়িতে বা যেখানে বড় হয়েছেন সেখানে ঘুরতে যান। পুরনো স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে বা স্কুলে আপনার যে শিক্ষককে পছন্দ হতো তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
* পড়ুন পড়ুন আর শুধু পড়ুন : হতে পারে পত্রিকা, ম্যাগাজিন, কমিকসের বই, সায়েন্স ফিকশন বা রহস্য উপন্যাস, যাই হোক পড়ুন।
* লক্ষ্য করুন : একটি জায়গা খুঁজে বের করে বসে পড়ুন। ভাল করে চারপাশটা লক্ষ্য করুন, দেখুন, গন্ধগুলোকে চিনবার চেষ্টা করুন, শব্দগুলোকে শুনুন।
* সব কিছু লিখে ফেলুন : নতুন অভিজ্ঞতার কথা যেমনÑনতুন কোন জায়গা ঘুরতে গেলে, পুরনো কোন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গেলে ঘটনাগুলো লিখে ফেলুন। আপনার অভিজ্ঞতাটি নিয়ে একটি গল্প তৈরি করে ফেলুন এবং অন্যদের সঙ্গে সেটি শেয়ার করুন।
* নাচুন : কোন নাচের ক্লাসে ভর্তি হোন অথবা বাসাতেই নাচার চেষ্টা করুন। আপনি যদি মনে করে থাকেন যে আপনার কোন নাচের তাল নেই, এটা আসলে ঠিক কথা নয়। নাচ হচ্ছে এমন একটি সৃষ্টিশীল কাজ যা যে কেউ করতে পারে। ব্যালেট অথবা সালসা যে কোন একটি নাচের ক্লাসে ভর্তি হয়ে যান অথবা বাসায় সপ্তাহে ২ দিন ১৫ মিনিট করে নাচুন, যা আপনার ডান দিকের মস্তিষ্ককে বিকাশ করবে।
* মেডিটেশন : নিয়মিত মেডিটেশন বা ধ্যান চর্চা করুন।
সুজন মনজুর
ঠিকানা-বাড়ি ৫৮০/এ, ফ্ল্যাট ২, রোড ১৭, খিলগাঁও, তিলপাপাড়া, ঢাকা-১২১৯
টেলিফোন-০১৮১৭১০১১৬৩
লেখার সূত্র : ইন্টারনেট
No comments