ব্যাংকের এমডিকে অপহরণ চেষ্টা প্রতিমন্ত্রীরঃ দাপট নয়, দেশের জন্য কিছু করে দেখান
এবার পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন। ভারতের কাছ থেকে পানির হিস্যা আদায়ের মতো জাতীয় স্বার্থে বিশেষ ভূমিকার জন্য নয়, শিরোনামে এসেছেন তিনি অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে। গত শনিবার তিনি আল-আরাফাহ ব্যাংকের এমডিকে ধরে আনার জন্য অন্য কয়েকজনের সঙ্গে নিজের গানম্যানকেও পাঠিয়েছিলেন।
আমার দেশসহ বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, ব্যাংকের আইনানুযায়ী অপসারিত এক অফিসারকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার জন্য প্রতিমন্ত্রী ওই ব্যাংকের এমডিকে টেলিফোন করেছিলেন। কিন্তু প্রতিমন্ত্রীর কণ্ঠে ছিল ধমক ও হুকুমের সুর। তুই-তুকারি তো করেছেনই, এমডিকে তিনি জেএমবি, রাজাকার ও আলবদরও বানিয়ে ছেড়েছেন। এমডি ব্যাংকের আইন ও পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্তের কথা শোনালেও প্রতিমন্ত্রী তেড়ে উঠেছেন। এমডিকে উঠিয়ে আনার হুমকি দিয়েছেন। যেমন কথা তেমন কাজ। প্রতিমন্ত্রী সত্যিই এমডিকে অপহরণ করে নিয়ে আসার জন্য তার গানম্যানসহ লোক পাঠিয়েছিলেন। এমডি অবশ্য বেঁচে গেছেন। কারণ, প্রতিমন্ত্রী সন্ত্রাসী পাঠাচ্ছেন বলে খবর রটে যাওয়ায় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববর্ম তৈরি করেছিলেন। ফলে এমডিকে উঠিয়ে আনতে গিয়ে গানম্যানদেরই উল্টো উত্তম-মধ্যম খাওয়ার অবস্থা হয়েছিল।
খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর প্রতিমন্ত্রী অবশ্য সুর পাল্টে ফেলেছেন। সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, তাকে নিয়ে নাকি রাজনীতি করা হচ্ছে! প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, নিজের এলাকার একজনকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার অনুরোধ জানাতে তিনি আল-আরাফাহ ব্যাংকের এমডিকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু তিনি যে সত্যিই প্রতিমন্ত্রী সে কথা বিশ্বাস না করায় এমডিকে বিশ্বাস করানোর জন্যই তিনি তার ভিজিটিং কার্ডসহ চায়ের দাওয়াত দিতে লোক পাঠিয়েছিলেন! এমডিকে কিছু খারাপ কথা বলার অভিযোগ স্বীকার করে প্রতিমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, তাই বলে আমি তাকে কিডন্যাপ করে ‘বাড়তি বোঝা’ নিতে যাব কেন?
বোঝাটা ‘বাড়তি’ না হলে তিনি কিডন্যাপ করাতেন কিনা—এমন প্রশ্নে না গিয়েও বলা দরকার, ভিজিটিং কার্ড পাঠানো এবং চায়ের দাওয়াত দেয়াই উদ্দেশ্য হলে পাঁচ-পাঁচজন সন্ত্রাসী ধরনের ব্যক্তিকে এবং তাদের সঙ্গে গানম্যানকেও কেন পাঠিয়েছিলেন তিনি? গানম্যান তো দেয়া হয়েছে সব সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে থাকার জন্য, তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য! সে গানম্যানকেই যখন চায়ের দাওয়াত দিতে পাঠানো হয় তখন তার অন্য রকম অর্থ তো করা হতেই পারে!
বলা হচ্ছে, মাহবুবুর রহমান তালুকদারের মতো একজন প্র্রতিমন্ত্রীকে চিনতে না পারায় কোনো মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়নি। প্রতিমন্ত্রী যদি আগে থেকে দেশের স্বার্থে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতেন তাহলে নিশ্চয়ই সবাই তাকে একডাকে চিনত—বিশেষ করে তার এলাকাবাসী ওই এমডি তো বটেই। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী নিজেও কি বলতে পারবেন, কোনোদিন তিনি এক কিউসেক পানি বেশি দেয়ার জন্য ভারতের সঙ্গে দরকষাকষি করেছেন? কিংবা এই যে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে এত আন্দোলন চলছে, কই, প্রতিমন্ত্রী তালুকদারকে তো কখনোই দৃশ্যপটে দেখা যায়নি। তাহলে লোকে তাকে চিনবে কী করে? আর না চিনলেই কি জনে-জনে চেনানোর জন্য তিনি গানম্যানই পাঠাতে থাকবেন?
বলাবাহুল্য, কৈফিয়ত দিলেও গা বাঁচাতে পারেননি প্রতিমন্ত্রী। অপহরণ চেষ্টার মধ্য দিয়ে তিনি বরং নিজেদের দলগত চরিত্রেরই ন্যক্কারজনক প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এটাই অবশ্য স্বাভাবিক। কারণ, তিনি যে সরকারের প্রতিমন্ত্রী সে সরকার এরই মধ্যে প্রশাসনসহ সব ক্ষেত্রে দলীয়করণের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। যোগ্যতা থাকুক না থাকুক, দলের লোকজনকে চাকরিতে ঢোকানোর কর্মকাণ্ডও চলছে পুরোদমে। এমন অবস্থায় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী একাই বা বসে বসে আঙুল চুষবেন কেন? সেদিক থেকে প্রতিমন্ত্রী বিরাট কোনো দোষ করে ফেলেননি! তবে তিনি ভালো করবেন যদি জাতির স্বার্থে ভারতের কাছ থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে কিছু একটা করে দেখাতে পারেন। তাহলে আর আল-আরাফাহ ব্যাংকের এমডির মতো কেউ তাকে না চেনার ধৃষ্টতা দেখাবেন না। প্রতিমন্ত্রীকেও আর গানম্যান দিয়ে যার-তার কাছে ভিজিটিং কার্ড ও চায়ের দাওয়াত পাঠাতে হবে না!
খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর প্রতিমন্ত্রী অবশ্য সুর পাল্টে ফেলেছেন। সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, তাকে নিয়ে নাকি রাজনীতি করা হচ্ছে! প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, নিজের এলাকার একজনকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার অনুরোধ জানাতে তিনি আল-আরাফাহ ব্যাংকের এমডিকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু তিনি যে সত্যিই প্রতিমন্ত্রী সে কথা বিশ্বাস না করায় এমডিকে বিশ্বাস করানোর জন্যই তিনি তার ভিজিটিং কার্ডসহ চায়ের দাওয়াত দিতে লোক পাঠিয়েছিলেন! এমডিকে কিছু খারাপ কথা বলার অভিযোগ স্বীকার করে প্রতিমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, তাই বলে আমি তাকে কিডন্যাপ করে ‘বাড়তি বোঝা’ নিতে যাব কেন?
বোঝাটা ‘বাড়তি’ না হলে তিনি কিডন্যাপ করাতেন কিনা—এমন প্রশ্নে না গিয়েও বলা দরকার, ভিজিটিং কার্ড পাঠানো এবং চায়ের দাওয়াত দেয়াই উদ্দেশ্য হলে পাঁচ-পাঁচজন সন্ত্রাসী ধরনের ব্যক্তিকে এবং তাদের সঙ্গে গানম্যানকেও কেন পাঠিয়েছিলেন তিনি? গানম্যান তো দেয়া হয়েছে সব সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে থাকার জন্য, তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য! সে গানম্যানকেই যখন চায়ের দাওয়াত দিতে পাঠানো হয় তখন তার অন্য রকম অর্থ তো করা হতেই পারে!
বলা হচ্ছে, মাহবুবুর রহমান তালুকদারের মতো একজন প্র্রতিমন্ত্রীকে চিনতে না পারায় কোনো মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়নি। প্রতিমন্ত্রী যদি আগে থেকে দেশের স্বার্থে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতেন তাহলে নিশ্চয়ই সবাই তাকে একডাকে চিনত—বিশেষ করে তার এলাকাবাসী ওই এমডি তো বটেই। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী নিজেও কি বলতে পারবেন, কোনোদিন তিনি এক কিউসেক পানি বেশি দেয়ার জন্য ভারতের সঙ্গে দরকষাকষি করেছেন? কিংবা এই যে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে এত আন্দোলন চলছে, কই, প্রতিমন্ত্রী তালুকদারকে তো কখনোই দৃশ্যপটে দেখা যায়নি। তাহলে লোকে তাকে চিনবে কী করে? আর না চিনলেই কি জনে-জনে চেনানোর জন্য তিনি গানম্যানই পাঠাতে থাকবেন?
বলাবাহুল্য, কৈফিয়ত দিলেও গা বাঁচাতে পারেননি প্রতিমন্ত্রী। অপহরণ চেষ্টার মধ্য দিয়ে তিনি বরং নিজেদের দলগত চরিত্রেরই ন্যক্কারজনক প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এটাই অবশ্য স্বাভাবিক। কারণ, তিনি যে সরকারের প্রতিমন্ত্রী সে সরকার এরই মধ্যে প্রশাসনসহ সব ক্ষেত্রে দলীয়করণের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। যোগ্যতা থাকুক না থাকুক, দলের লোকজনকে চাকরিতে ঢোকানোর কর্মকাণ্ডও চলছে পুরোদমে। এমন অবস্থায় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী একাই বা বসে বসে আঙুল চুষবেন কেন? সেদিক থেকে প্রতিমন্ত্রী বিরাট কোনো দোষ করে ফেলেননি! তবে তিনি ভালো করবেন যদি জাতির স্বার্থে ভারতের কাছ থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে কিছু একটা করে দেখাতে পারেন। তাহলে আর আল-আরাফাহ ব্যাংকের এমডির মতো কেউ তাকে না চেনার ধৃষ্টতা দেখাবেন না। প্রতিমন্ত্রীকেও আর গানম্যান দিয়ে যার-তার কাছে ভিজিটিং কার্ড ও চায়ের দাওয়াত পাঠাতে হবে না!
No comments