মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা- মাথাব্যথার জন্য কি মাথা কেটে ফেলতে হবে? by সৌরভ শিকদার
আমাদের দেশে সরকারি পর্যায়ে অধিকাংশ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মাথাব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলতে হয়। যুক্তি আর সঠিক সিদ্ধান্ত সেখানে আবেগ অথবা রাজনৈতিক-আমলাতান্ত্রিক প্যাঁচের কাছে পরাজিত হয়। এবার মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েও সেই একই ঘটনা ঘটেছে।
ইতিমধ্যে প্রথম আলোয় এ বিষয়ে প্রতিবেদন-মতামত প্রকাশিত হয়েছে। আরও কিছু বলার জন্যই এ লেখা। প্রথম প্রসঙ্গ হচ্ছে, এত দিন কেন মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে? সোজা জবাব, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল মেধা যাচাইয়ের জন্য যথেষ্ট নয়। দেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হবেন, এটাই আমাদের কাম্য। আর তাই পৃথকভাবে একটি পরীক্ষা নেওয়া, (এবং তা যতদূর সম্ভব) অন্য সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে নিয়ে আসছে। হঠাৎ এ বছর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও মেডিকেল কলেজগুলো মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা না নেওয়ার ঘোষণা দিল কেন? দেখা যাক, তাদের যুক্তি কী? অনেক পরীক্ষার্থী, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়, কোচিং-বাণিজ্য চলে, তা ছাড়া একবার তো পাবলিক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই হয়েছেই—এগুলো তাদের অত্যন্ত খোঁড়া যুক্তি। নিজেদের অক্ষমতা আর ব্যর্থতা ঢাকতেই কেবল এ ধরনের যুক্তি দেওয়া সম্ভব। আমরা বুঝতে পারি না, যাঁরা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন অথবা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকেন, তাঁরা হঠাৎ এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত নেন কী করে? অনেক পরীক্ষার্থী, তাতে কী? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি অনেক পরীক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে না। তা ছাড়া মেডিকেল যেহেতু বিজ্ঞানসংশ্লিষ্ট বিষয়, তাই ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে কমপক্ষে এত নম্বর থাকতে হবে, বলে দিলেই শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যায়।
আর প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়া—এটি কার ব্যর্থতা? যাঁরা প্রশাসনে আছেন, তাঁদের। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের জন্য বড় কোনো শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কখনো? বরং কোচিং সেন্টারের যোগসাজশে একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী উপার্জন করেছেন কোটি কোটি টাকা। কাজেই স্বচ্ছ পরীক্ষাপদ্ধতি ও প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে না পারলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দেন, যারা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে পারবে। তাই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার অজুহাতে ভর্তি পরীক্ষা না নেওয়া কোনো গ্রহণযোগ্য যুক্তি হতে পারে না। এবার আসি কোচিং-বাণিজ্যের প্রসঙ্গে। অনেক বছর ধরেই এ দেশে কোচিং-বাণিজ্য চলে আসছে। কোচিং আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য একটি বড় রকম হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী স্ব-উদ্যোগী হয়ে কোচিং-বাণিজ্য রোধ করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু এখনো সাফল্য আসেনি। কেননা, এর পেছনে এক বিরাট দুষ্টচক্র তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আমাদের অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের কোচিং করার হুজুগে মানসিকতা। কোচিং না করেও যে ভালো ফল করা সম্ভব, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হতে, কোচিং-নির্ভরতা কাটতে হয়তো সময় লাগবে। তাই বলে এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তো ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করেনি। মেডিকেলের ক্ষেত্রে কেন হবে? ‘তা ছাড়া একবার তো পাবলিক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই হয়েছেই’—স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এ বক্তব্য (যা টিভি-সংবাদপত্রে এসেছে) মোটেই যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য নয়। যদি তা-ই হয়, তাহলে সরকার বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আগেই ঘোষণা দিয়ে দিক, আগামী বছর থেকে কোথাও কোনো ভর্তি পরীক্ষা হবে না। উচ্চমাধ্যমিকের মেধা অনুসারে কেউ বুয়েটে, কেউ মেডিকেলে, কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে—এভাবে ক্রমান্বয়ে ভর্তি হবে। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব নয়। বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া ভর্তি করবে না। কেননা, ‘পাবলিক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই’কে চূড়ান্ত মনে করার কোনো কারণ নেই। তার প্রমাণ—উচ্চ নম্বরের সোনার জিপিএ নিয়ে যেমন অনেক বিখ্যাত কলেজের শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে পারেন না, তেমনি অনেক কম নম্বর নিয়েও প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করেন। আর এর প্রধান কারণ হচ্ছে, কোচিং-নোট-গাইড-সাজেশননির্ভর পদ্ধতিতে প্রকৃত অর্জিত জ্ঞান যাচাই সম্ভব নয়। অনেক কম জেনেও একজন শিক্ষার্থী সোনার জিপিএ পেতে পারেন। কাজেই উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে ভর্তির আগে আরও একবার মেধা যাচাই আবশ্যক। যত দিন না আমরা নিশ্চিত করতে পারছি যে কোচিং-নোট-গাইড-সাজেশননির্ভর পদ্ধতিতে থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি।
এ ক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন যে যাঁরা মেডিকেলে ভর্তি হবেন, ভবিষ্যতে তাঁরা এ দেশের জনগণের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবেন (অবশ্য একালেও অনেক চিকিৎসকই এ দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেন না, তা সত্ত্বেও), চিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন নতুন গবেষণা ও সাফল্যের পালক লাগাবেন। তাই সেখানে যদি অযোগ্য, কম ও দুর্বল মেধার শিক্ষার্থী ভর্তি হতে সুযোগ পান, তাহলে এর খেসারত জাতিকে দিতেই হবে একদিন। তাই এ ক্ষেত্রে প্রকৃত মেধা যাচাই বা নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার কোনো বিকল্প দেখি না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এখন ঠিক করতে হবে, কীভাবে বা কার মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ পরীক্ষা নেওয়া যায়। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা যে যুক্তিতে আন্দোলন করছেন, তা-ও গ্রহণযোগ্য নয়। তা ছাড়া এই আন্দোলনের পেছনে যে কোটি টাকার কোচিং-বাণিজ্য আছে, তা-ও ধারণা করা যায়। কেননা, তাঁরা ভর্তির জন্য কোচিং করেছেন কি করেননি, সেটা মুখ্য নয়, মুখ্য হচ্ছে সঠিক মেধা যাচাইয়ের জন্য ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া।
মনে রাখা দরকার, পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় একটি নির্দিষ্ট সিলেবাস-কারিকুলাম অনুসরণ করে। সেখানে যত না মেধা যাচাইয়ের সুযোগ থাকে, তার চেয়ে বেশি থাকে শিক্ষার্থীর অবস্থান বা পজিশন ঠিক করার বিষয়। ফলে শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে খুব সীমিত জ্ঞান নিয়েও ভালো ফল করা সম্ভব। আর সে কারণেই আমরা মনে করি, প্রকৃত মেধাবীদের সুযোগ দিতে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা জরুরি। আমরা জানি, কোচিং-বাণিজ্য বা প্রশ্নপত্র ফাঁস আপনাদের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। তাই বলে মাথাব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলতে হবে?
সৌরভ শিকদার: লেখক ও শিক্ষক, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
jeweel1965@gmail.com
আর প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়া—এটি কার ব্যর্থতা? যাঁরা প্রশাসনে আছেন, তাঁদের। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের জন্য বড় কোনো শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কখনো? বরং কোচিং সেন্টারের যোগসাজশে একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী উপার্জন করেছেন কোটি কোটি টাকা। কাজেই স্বচ্ছ পরীক্ষাপদ্ধতি ও প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে না পারলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দেন, যারা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে পারবে। তাই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার অজুহাতে ভর্তি পরীক্ষা না নেওয়া কোনো গ্রহণযোগ্য যুক্তি হতে পারে না। এবার আসি কোচিং-বাণিজ্যের প্রসঙ্গে। অনেক বছর ধরেই এ দেশে কোচিং-বাণিজ্য চলে আসছে। কোচিং আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য একটি বড় রকম হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী স্ব-উদ্যোগী হয়ে কোচিং-বাণিজ্য রোধ করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু এখনো সাফল্য আসেনি। কেননা, এর পেছনে এক বিরাট দুষ্টচক্র তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আমাদের অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের কোচিং করার হুজুগে মানসিকতা। কোচিং না করেও যে ভালো ফল করা সম্ভব, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হতে, কোচিং-নির্ভরতা কাটতে হয়তো সময় লাগবে। তাই বলে এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তো ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করেনি। মেডিকেলের ক্ষেত্রে কেন হবে? ‘তা ছাড়া একবার তো পাবলিক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই হয়েছেই’—স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এ বক্তব্য (যা টিভি-সংবাদপত্রে এসেছে) মোটেই যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য নয়। যদি তা-ই হয়, তাহলে সরকার বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আগেই ঘোষণা দিয়ে দিক, আগামী বছর থেকে কোথাও কোনো ভর্তি পরীক্ষা হবে না। উচ্চমাধ্যমিকের মেধা অনুসারে কেউ বুয়েটে, কেউ মেডিকেলে, কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে—এভাবে ক্রমান্বয়ে ভর্তি হবে। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব নয়। বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া ভর্তি করবে না। কেননা, ‘পাবলিক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই’কে চূড়ান্ত মনে করার কোনো কারণ নেই। তার প্রমাণ—উচ্চ নম্বরের সোনার জিপিএ নিয়ে যেমন অনেক বিখ্যাত কলেজের শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে পারেন না, তেমনি অনেক কম নম্বর নিয়েও প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করেন। আর এর প্রধান কারণ হচ্ছে, কোচিং-নোট-গাইড-সাজেশননির্ভর পদ্ধতিতে প্রকৃত অর্জিত জ্ঞান যাচাই সম্ভব নয়। অনেক কম জেনেও একজন শিক্ষার্থী সোনার জিপিএ পেতে পারেন। কাজেই উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে ভর্তির আগে আরও একবার মেধা যাচাই আবশ্যক। যত দিন না আমরা নিশ্চিত করতে পারছি যে কোচিং-নোট-গাইড-সাজেশননির্ভর পদ্ধতিতে থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি।
এ ক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন যে যাঁরা মেডিকেলে ভর্তি হবেন, ভবিষ্যতে তাঁরা এ দেশের জনগণের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবেন (অবশ্য একালেও অনেক চিকিৎসকই এ দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেন না, তা সত্ত্বেও), চিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন নতুন গবেষণা ও সাফল্যের পালক লাগাবেন। তাই সেখানে যদি অযোগ্য, কম ও দুর্বল মেধার শিক্ষার্থী ভর্তি হতে সুযোগ পান, তাহলে এর খেসারত জাতিকে দিতেই হবে একদিন। তাই এ ক্ষেত্রে প্রকৃত মেধা যাচাই বা নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার কোনো বিকল্প দেখি না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এখন ঠিক করতে হবে, কীভাবে বা কার মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ পরীক্ষা নেওয়া যায়। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা যে যুক্তিতে আন্দোলন করছেন, তা-ও গ্রহণযোগ্য নয়। তা ছাড়া এই আন্দোলনের পেছনে যে কোটি টাকার কোচিং-বাণিজ্য আছে, তা-ও ধারণা করা যায়। কেননা, তাঁরা ভর্তির জন্য কোচিং করেছেন কি করেননি, সেটা মুখ্য নয়, মুখ্য হচ্ছে সঠিক মেধা যাচাইয়ের জন্য ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া।
মনে রাখা দরকার, পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় একটি নির্দিষ্ট সিলেবাস-কারিকুলাম অনুসরণ করে। সেখানে যত না মেধা যাচাইয়ের সুযোগ থাকে, তার চেয়ে বেশি থাকে শিক্ষার্থীর অবস্থান বা পজিশন ঠিক করার বিষয়। ফলে শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে খুব সীমিত জ্ঞান নিয়েও ভালো ফল করা সম্ভব। আর সে কারণেই আমরা মনে করি, প্রকৃত মেধাবীদের সুযোগ দিতে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা জরুরি। আমরা জানি, কোচিং-বাণিজ্য বা প্রশ্নপত্র ফাঁস আপনাদের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। তাই বলে মাথাব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলতে হবে?
সৌরভ শিকদার: লেখক ও শিক্ষক, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
jeweel1965@gmail.com
No comments