স্ট্রোকের চিকিৎসায় জমাট রক্ত অপসারণের জাল
স্ট্রোকের চিকিৎসায় ভবিষ্যতে জমাটবদ্ধ রক্তের চাক (ক্লট) অপসারণের জন্য ছোট জাল ব্যবহূত হতে পারে। দুটি গবেষণার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা এমনই আভাস দিয়েছেন।রক্ত জমাট বেঁধে গেলে ধমনি দিয়ে রক্ত চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। এতে করে মস্তিষ্কের কোনো কোনো অংশে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যাহত হয়।
এর ফলে পক্ষাঘাত ও বাকশক্তি হারানোর লক্ষণ সৃষ্টি হয়।
বিখ্যাত চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট-এ প্রকাশিত দুটি গবেষণায় বলা হয়েছে, এ ধরনের পরিস্থিতিতে রক্তের জমাটবদ্ধ চাক অপসারণে জাল ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। এ চিকিৎসা পদ্ধতিকে খুবই সম্ভাবনাময় বলে অভিহিত করেছে স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন।
রক্ত জমাট বেঁধে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের ধমনি বন্ধ হয়ে গেলে ওই ধমনি পুনরায় সচল করতে বর্তমানে বিভিন্ন পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়। কোনো ক্ষেত্রে জমাট বাঁধা রক্তের চাক ভেঙে ফেলতে ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু সেটা করা লাগে স্ট্রোক করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। আবার অনেক রোগীর ক্ষেত্রে এ ওষুধ ব্যবহারের অসুবিধাও আছে। এ ছাড়া কুঁচকি দিয়ে একটি টিউব মস্তিষ্ক পর্যন্ত ঢোকানো হয়। এরপর ওই টিউবের মধ্য দিয়ে একটি তারের কুণ্ডলী ঢুকিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে জমাটবদ্ধ রক্তের চাক বের করে আনা হয়। তবে এ পদ্ধতিও বেশ দুরূহ।
নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী, কুঁচকি দিয়ে ঢোকানো টিউবের মধ্যে তারের কুণ্ডলীর পরিবর্তে ছোট্ট তারের জাল ঢোকানো হয়। এরপর রক্তের চাক ওই জালে জড়িয়ে যায়। তখন সহজেই রক্তের চাক অপসারণ করা যায়।
১১৩ জন রোগীর ওপর পরীক্ষায় দেখা গেছে, তারের কুণ্ডলীর ক্ষেত্রে যেখানে ৩৩ শতাংশ ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে তারের জাল ব্যবহার করে ৫৮ শতাংশ ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে।
১৭৮ রোগীর ওপর অপর একটি গবেষণায় দেখা দেছে, তারের জাল ব্যবহার করে প্রায় দ্বিগুণ ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে। বিবিসি।
বিখ্যাত চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট-এ প্রকাশিত দুটি গবেষণায় বলা হয়েছে, এ ধরনের পরিস্থিতিতে রক্তের জমাটবদ্ধ চাক অপসারণে জাল ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। এ চিকিৎসা পদ্ধতিকে খুবই সম্ভাবনাময় বলে অভিহিত করেছে স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন।
রক্ত জমাট বেঁধে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের ধমনি বন্ধ হয়ে গেলে ওই ধমনি পুনরায় সচল করতে বর্তমানে বিভিন্ন পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়। কোনো ক্ষেত্রে জমাট বাঁধা রক্তের চাক ভেঙে ফেলতে ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু সেটা করা লাগে স্ট্রোক করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। আবার অনেক রোগীর ক্ষেত্রে এ ওষুধ ব্যবহারের অসুবিধাও আছে। এ ছাড়া কুঁচকি দিয়ে একটি টিউব মস্তিষ্ক পর্যন্ত ঢোকানো হয়। এরপর ওই টিউবের মধ্য দিয়ে একটি তারের কুণ্ডলী ঢুকিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে জমাটবদ্ধ রক্তের চাক বের করে আনা হয়। তবে এ পদ্ধতিও বেশ দুরূহ।
নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী, কুঁচকি দিয়ে ঢোকানো টিউবের মধ্যে তারের কুণ্ডলীর পরিবর্তে ছোট্ট তারের জাল ঢোকানো হয়। এরপর রক্তের চাক ওই জালে জড়িয়ে যায়। তখন সহজেই রক্তের চাক অপসারণ করা যায়।
১১৩ জন রোগীর ওপর পরীক্ষায় দেখা গেছে, তারের কুণ্ডলীর ক্ষেত্রে যেখানে ৩৩ শতাংশ ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে তারের জাল ব্যবহার করে ৫৮ শতাংশ ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে।
১৭৮ রোগীর ওপর অপর একটি গবেষণায় দেখা দেছে, তারের জাল ব্যবহার করে প্রায় দ্বিগুণ ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে। বিবিসি।
No comments