যৌনপল্লীতে বাড়িওয়ালীর নির্যাতনঃ বিচার করবে কে! by শাহেদ আলী ইরশাদ
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে ৩ যৌনকর্মী সালমি বাড়িওয়ালীর অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিচারের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নির্যাতিতরা বিষয়টি পুলিশকে জানালেও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না বলে বাংলানিউজকে অভিযোগ করেছেন তারা।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা চত্বরে কথা হয়, যৌনকর্মী লাবণী, আশা ও সাথীর সঙ্গে। তারা কিছুদিন অন্যের বাড়িতে যৌনবৃত্তি করার পর আড়াই বছর, ৩ বছর ও ৬ মাস আগে সালমির বাড়িতে আসেন।
আসার পর থেকেই সালমি তাদের প্রত্যেককে খাওয়া-দাওয়া ও পোশাক-পরিচ্ছেদ দিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকায় আয় করে নিচ্ছেন। কোনো দিন আয় কম হলে সালমি তাদের বেদম মারপিট করেন।
এ সময় যৌনকর্মীদের শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
সর্বশেষ ১৫/১৬ দিন আগে সালমি তাদের ডেকে ঈদের পরে আরও বেশি টাকা আয় করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। না দিলে মারধর ও নির্যাতনের মাত্রা বাড়ানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
মারধরের হাত থেকে রক্ষা পেতে লাবণী, আশা ও সাথী অন্যের বাড়ি চলে যেতে চাইলে প্রত্যেকের কাছে ৬০ হাজার করে টাকা দাবি করেন সালমি।
দীর্ঘদিন আয়ের সব টাকা নেওয়ার পরও অন্য বাড়িতে গেলে ৬০ হাজার করে টাকা কেন দিতে হবে জানতে চাইলেই সালমি তাদের ওপর মারপিট শুরু করেন।
দাবি করা টাকা না দিয়ে তারা অন্যের বাড়িতে চলে যেতে পারেন সন্দেহে সালমি দেড়শ টাকার সাদা স্ট্যাম্পে সই রাখেন। এ সময় পুলিশ দিয়ে কিছু করা যাবে না বলে ভয়ও দেখান সালমি।
৩ যৌনকর্মী আরও বলেন, “সালমীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ঈদের ৩ দিন আগে পালিয়ে বিভিন্ন স্থানে থেকে সোমবার আমরা গোয়ালন্দ থানায় আসি। সালমির নির্যাতনের বিরুদ্ধে মামলা দিতে চাইলে পুলিশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে প্রত্যেকের কাছ থেকে সালমির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়।
এবিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার বাংলানিউজকে জানান, ওই যৌনকর্মীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। আপস মীমাংসা করার জন্য এএসআই তপন কুমার দাসকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, এএসআই তপন সালমির বাড়িতে গিয়ে কোনো সমাধান দিতে না পারায় সালমি আবারও তাদের নানা রকম ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সালমির অত্যাচারে পল্লীর সব যৌনকর্মীই অতিষ্ঠ ছিল। তার গড়া বাহিনীর ভয়ে কেউ কোনো বিষয়ে কখনো প্রতিবাদ করার সাহস পাননি।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর সালমি দীর্ঘদিন বাড়িঘর ছেড়ে আত্মগোপনে ছিলেন।
বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষের দিকে আসায় সম্প্রতি সালমি যৌনপল্লীতে এসে আবারও তার রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছেন বলে যৌনপল্লীর একাধিক সূত্র বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।
আসার পর থেকেই সালমি তাদের প্রত্যেককে খাওয়া-দাওয়া ও পোশাক-পরিচ্ছেদ দিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকায় আয় করে নিচ্ছেন। কোনো দিন আয় কম হলে সালমি তাদের বেদম মারপিট করেন।
এ সময় যৌনকর্মীদের শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
সর্বশেষ ১৫/১৬ দিন আগে সালমি তাদের ডেকে ঈদের পরে আরও বেশি টাকা আয় করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। না দিলে মারধর ও নির্যাতনের মাত্রা বাড়ানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
মারধরের হাত থেকে রক্ষা পেতে লাবণী, আশা ও সাথী অন্যের বাড়ি চলে যেতে চাইলে প্রত্যেকের কাছে ৬০ হাজার করে টাকা দাবি করেন সালমি।
দীর্ঘদিন আয়ের সব টাকা নেওয়ার পরও অন্য বাড়িতে গেলে ৬০ হাজার করে টাকা কেন দিতে হবে জানতে চাইলেই সালমি তাদের ওপর মারপিট শুরু করেন।
দাবি করা টাকা না দিয়ে তারা অন্যের বাড়িতে চলে যেতে পারেন সন্দেহে সালমি দেড়শ টাকার সাদা স্ট্যাম্পে সই রাখেন। এ সময় পুলিশ দিয়ে কিছু করা যাবে না বলে ভয়ও দেখান সালমি।
৩ যৌনকর্মী আরও বলেন, “সালমীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ঈদের ৩ দিন আগে পালিয়ে বিভিন্ন স্থানে থেকে সোমবার আমরা গোয়ালন্দ থানায় আসি। সালমির নির্যাতনের বিরুদ্ধে মামলা দিতে চাইলে পুলিশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে প্রত্যেকের কাছ থেকে সালমির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়।
এবিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার বাংলানিউজকে জানান, ওই যৌনকর্মীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। আপস মীমাংসা করার জন্য এএসআই তপন কুমার দাসকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, এএসআই তপন সালমির বাড়িতে গিয়ে কোনো সমাধান দিতে না পারায় সালমি আবারও তাদের নানা রকম ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সালমির অত্যাচারে পল্লীর সব যৌনকর্মীই অতিষ্ঠ ছিল। তার গড়া বাহিনীর ভয়ে কেউ কোনো বিষয়ে কখনো প্রতিবাদ করার সাহস পাননি।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর সালমি দীর্ঘদিন বাড়িঘর ছেড়ে আত্মগোপনে ছিলেন।
বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষের দিকে আসায় সম্প্রতি সালমি যৌনপল্লীতে এসে আবারও তার রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছেন বলে যৌনপল্লীর একাধিক সূত্র বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।
No comments