ইডেনের ইজ্জত ভূলুণ্ঠিতঃ এ কোন ছাত্রলীগ!
দেশের অন্যতম মহিলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজধানীর ইডেন কলেজের দীর্ঘদিনের সুনাম ধূলিসাত্ হয়েছে কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কোন্দলে। গুটিকয়েক প্রভাবশালী ছাত্রীর জন্য ক্ষুণ্ন হয়েছে পুরো কলেজটির ভাবমূর্তি। একাধিক ছাত্রলীগ নেত্রীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ করার পরও ক্যাম্পাসে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিবদমান দু’পক্ষই অনৈতিক-উচ্ছৃঙ্খল কার্যকলাপের জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসব খবর ছাপা হওয়ায় শিক্ষক, অভিভাবক এবং ছাত্রীসমাজ চরম উদ্বেগ পোহাচ্ছেন। এর মধ্যে আতঙ্ক, উদ্বেগ, শঙ্কা, হতাশা নিয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাচ্ছেন শত শত ছাত্রী। হল ছেড়ে দিচ্ছেন অনেকেই। এমনকি অন্য কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য অনেক অভিভাবক কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতিপত্র চেয়েছেন। অনুমতিপত্র না পেলে মেয়েকে আর পড়াবেন না বলেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কোনো কোনো অভিভাবক। এরপর আর বলার অপেক্ষা রাখে না, উদ্বেগের কারণ কতটা ভয়াবহ।
ভর্তিবাণিজ্য, ছাত্রীদের অনৈতিক কাজে ব্যবহার এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইডেনে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে হাতাহাতি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে ১২ মার্চ। তার জের ধরে পরদিন চার ছাত্রলীগ নেত্রীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। এদিকে বহিষ্কৃতরা অভিযোগ করেছেন, ঘটনার মূল হোতা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার না করে অন্যায়ভাবে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ১৩ মার্চ থেকে সাধারণ ছাত্রীরা হল ত্যাগ করতে শুরু করেন। উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগে লোক দেখানো বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তাতে ভেতরের ক্লেদ পরিষ্কার হয়নি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ভর্তিবাণিজ্য ও অন্যান্য খাতের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে গরমিল হওয়ার পরই বেরিয়ে এসেছে থলের বেড়াল। এসব বাণিজ্যের লেনদেনের সঙ্গে অনেক রাঘব বোয়ালও যে যুক্ত রয়েছেন, তা নিয়েও মুখ খুলেছে কোন্দলরত দুই গ্রুপ। কাজেই কেলেঙ্কারির চাপাপড়া ধোঁয়া আগুন হয়ে বেড়িয়ে এসেছে এবং তার উত্তাপ ক্যাম্পাস থেকে ছড়িয়ে পড়েছে অন্যত্র। অভিযোগ আছে, এই ন্যক্কারজনক পরিস্থিতির নেপথ্যে থাকা সরকারের একাধিক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং ছাত্রলীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী আতঙ্কে রয়েছেন। এ অবস্থায় এ কথা বলার ঢের অবকাশ রয়েছে যে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনোক্রমেই এসব অনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত নন। যারা নানা উপায়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সংগঠনের মাথামুণ্ডু হিসেবে বহাল রয়েছেন, তারাই বাইরের নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে এসব কুকাণ্ড করছেন। পাশাপাশি যারা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ভর্তি হয়েছেন বা হলে উঠেছেন, তাদেরকেই বাধ্য করা হচ্ছে অনৈতিক কাজে। একটি অনৈতিক পদক্ষেপ যে আরও অনেকগুলো অনৈতিকতার দরজা খুলে দেয় এটা তারই একটি নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ছাত্রলীগ চূড়ান্ত বেসামাল হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে ছাত্রলীগকে সামলানোর কথা বলেন। কিন্তু কার্যত তাতে কোনো ফলোদয় হয়নি। বরং আরও বেসামাল হয়ে ওঠে ছাত্রলীগ। ক্যাম্পাসে প্রতিপক্ষের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ, ভর্তিবাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি সবই করতে থাকে প্রকাশ্যে। বিভিন্ন মহল থেকে এমনকি সরকারদলীয় একাধিক নেতাও ছাত্রলীগের বেপরোয়া কীর্তিকলাপ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কিন্তু ছাত্রলীগ কাউকে তোয়াক্কা করেনি। সেই বিস্ময়ের ঘোর না কাটতেই ইডেন কলেজের মুখে কালিমা লেপন করে দিল ছাত্রলীগ নেত্রীরা। নৈতিক অধঃপতনের শেষ সোপানটিও অতিক্রম করল তারা। বিষয়টি এতটাই স্পর্শকাতর যে, এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতেও ঘৃণা হয়। একটি রক্ষণশীল সমাজে শিক্ষাঙ্গনের মতো জায়গায় এ ঘটনা কেবলই লজ্জার। এসব ঘটনা যদি সত্য হয়, তাহলে বলতেই হবে, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষাঙ্গনের অবস্থা এখন নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে নিমজ্জিত। এ অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। এ নিয়ে আর পরীক্ষা-নিরীক্ষারও তেমন প্রয়োজন নেই। বিস্তর দৃষ্টান্ত এর মধ্যেই স্থাপন করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। নিজেদের ঐতিহ্যের দিকে পিঠ ফিরিয়ে দাঁড়িয়েছে তারা। যারা এক সময় ছাত্রলীগ করে এখন নেতৃত্বের আসনে আছেন, এসব দেখেশুনে কি তারা বিচলিত বোধ করছেন না? ইডেনের ঘটনার পর আর কোনো নৈতিক অধঃপতন যাতে না হয় সে জন্য তারা কি সজাগ হবেন? আমরা সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে এ প্রশ্নের সদুত্তর দাবি করছি।
ভর্তিবাণিজ্য, ছাত্রীদের অনৈতিক কাজে ব্যবহার এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইডেনে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে হাতাহাতি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে ১২ মার্চ। তার জের ধরে পরদিন চার ছাত্রলীগ নেত্রীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। এদিকে বহিষ্কৃতরা অভিযোগ করেছেন, ঘটনার মূল হোতা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার না করে অন্যায়ভাবে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ১৩ মার্চ থেকে সাধারণ ছাত্রীরা হল ত্যাগ করতে শুরু করেন। উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগে লোক দেখানো বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তাতে ভেতরের ক্লেদ পরিষ্কার হয়নি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ভর্তিবাণিজ্য ও অন্যান্য খাতের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে গরমিল হওয়ার পরই বেরিয়ে এসেছে থলের বেড়াল। এসব বাণিজ্যের লেনদেনের সঙ্গে অনেক রাঘব বোয়ালও যে যুক্ত রয়েছেন, তা নিয়েও মুখ খুলেছে কোন্দলরত দুই গ্রুপ। কাজেই কেলেঙ্কারির চাপাপড়া ধোঁয়া আগুন হয়ে বেড়িয়ে এসেছে এবং তার উত্তাপ ক্যাম্পাস থেকে ছড়িয়ে পড়েছে অন্যত্র। অভিযোগ আছে, এই ন্যক্কারজনক পরিস্থিতির নেপথ্যে থাকা সরকারের একাধিক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং ছাত্রলীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী আতঙ্কে রয়েছেন। এ অবস্থায় এ কথা বলার ঢের অবকাশ রয়েছে যে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনোক্রমেই এসব অনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত নন। যারা নানা উপায়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সংগঠনের মাথামুণ্ডু হিসেবে বহাল রয়েছেন, তারাই বাইরের নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে এসব কুকাণ্ড করছেন। পাশাপাশি যারা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ভর্তি হয়েছেন বা হলে উঠেছেন, তাদেরকেই বাধ্য করা হচ্ছে অনৈতিক কাজে। একটি অনৈতিক পদক্ষেপ যে আরও অনেকগুলো অনৈতিকতার দরজা খুলে দেয় এটা তারই একটি নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ছাত্রলীগ চূড়ান্ত বেসামাল হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে ছাত্রলীগকে সামলানোর কথা বলেন। কিন্তু কার্যত তাতে কোনো ফলোদয় হয়নি। বরং আরও বেসামাল হয়ে ওঠে ছাত্রলীগ। ক্যাম্পাসে প্রতিপক্ষের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ, ভর্তিবাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি সবই করতে থাকে প্রকাশ্যে। বিভিন্ন মহল থেকে এমনকি সরকারদলীয় একাধিক নেতাও ছাত্রলীগের বেপরোয়া কীর্তিকলাপ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কিন্তু ছাত্রলীগ কাউকে তোয়াক্কা করেনি। সেই বিস্ময়ের ঘোর না কাটতেই ইডেন কলেজের মুখে কালিমা লেপন করে দিল ছাত্রলীগ নেত্রীরা। নৈতিক অধঃপতনের শেষ সোপানটিও অতিক্রম করল তারা। বিষয়টি এতটাই স্পর্শকাতর যে, এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতেও ঘৃণা হয়। একটি রক্ষণশীল সমাজে শিক্ষাঙ্গনের মতো জায়গায় এ ঘটনা কেবলই লজ্জার। এসব ঘটনা যদি সত্য হয়, তাহলে বলতেই হবে, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষাঙ্গনের অবস্থা এখন নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে নিমজ্জিত। এ অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। এ নিয়ে আর পরীক্ষা-নিরীক্ষারও তেমন প্রয়োজন নেই। বিস্তর দৃষ্টান্ত এর মধ্যেই স্থাপন করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। নিজেদের ঐতিহ্যের দিকে পিঠ ফিরিয়ে দাঁড়িয়েছে তারা। যারা এক সময় ছাত্রলীগ করে এখন নেতৃত্বের আসনে আছেন, এসব দেখেশুনে কি তারা বিচলিত বোধ করছেন না? ইডেনের ঘটনার পর আর কোনো নৈতিক অধঃপতন যাতে না হয় সে জন্য তারা কি সজাগ হবেন? আমরা সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে এ প্রশ্নের সদুত্তর দাবি করছি।
No comments