সতর্কমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই- বিশ্ব খাদ্যমন্দা পরিস্থিতি
আগাম পূর্বাভাস পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্বে খাদ্যসংকটের যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া ও সতর্কতার বিষয়টি তাই খুবই জরুরি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এ বিষয়ে বাংলাদেশের আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনো বিরাজ করছে না।
কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খাদ্যসংকট বা খাদ্যমন্দা দেখা দিলে তার প্রভাবকে উপেক্ষা করা কঠিন। এ কারণেই সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত বিষয়টির প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া।
আমাদের সবারই ২০০৭-০৮ সালের খাদ্যসংকটের কথা মনে আছে। এর প্রভাব বাংলাদেশকেও যথেষ্ট কাবু করেছিল। এবার বিশ্বে খাদ্য উৎপাদনের যে পরিস্থিতির কথা বলা হচ্ছে, তা অনেকটা সেই সময়ের মতো। যুক্তরাষ্ট্রে এবার ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় খরা হয়েছে। যে কারণে গম ও ভুট্টার ভান্ডার হিসেবে পরিচিত এ দেশটিতে খাদ্য উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খরার কারণে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মতো গম উৎপাদনকারী দেশেও উৎপাদন কমেছে। ব্রাজিলের বন্যা কমিয়েছে চিনির উৎপাদন। প্রাকৃতিক কারণে ভোজ্যতেলের উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই কয়েকটি জরুরি খাদ্যপণ্যের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় অন্যান্য ক্ষেত্রেও এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। উদ্বেগজনক হলো, এসব পণ্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দামও বাড়তে শুরু করেছে।
বিশ্বে এই যে খাদ্যমন্দা পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হয়েছে, তার প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে কতটা দূরে রাখা যাবে—সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই সংকটের কারণে বাংলাদেশের বাজারে যে পণ্যগুলোর ওপর প্রভাব পড়বে তা হচ্ছে: আটা, ভোজ্যতেল ও চিনি। যখন আগে থেকেই এটা স্পষ্ট যে এই খাদ্যপণ্যগুলোর সংকট দেখা দেবে, তাই আমাদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে কীভাবে তা পূরণ করা যাবে, সে উদ্যোগ এখনই নিতে হবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি সংস্থার মাধ্যমে চিনি ও ভোজ্যতেল আমদানির পরামর্শও এসেছে। বাংলাদেশের জনগণের প্রধান খাদ্য হচ্ছে চাল। সামনের আমন উৎপাদন যাতে যথাযথভাবে হয়, সেদিকে তাই বাড়তি নজর দিতে হবে।
অভিজ্ঞতা বলছে, দেশে খাদ্যসংকটের পরিস্থিতি না থাকলেও একধরনের ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক খাদ্যসংকট পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে থাকেন। এ ব্যাপারে সরকারকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। সরকারের নিজস্ব খাদ্য মজুদ ও সরবরাহ ব্যবস্থা যেমন উন্নত করতে হবে, তেমনি এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতাও বাড়াতে হবে। এমন প্রস্তুতি থাকতে হবে, যাতে বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে সরকার নিজস্ব মজুদ নিয়ে বাজারে হস্তক্ষেপ করতে পারে। কেউ কোনো খাদ্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে চাইলেও সরকার যেন নিজের মজুদ বাজারে ছেড়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে।
আমরা মনে করি, সরকার যদি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আগাম প্রস্তুতি নেয় ও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার করণীয়গুলো ঠিক করে রাখে, তবে বিশ্ব খাদ্যমন্দার এই প্রভাব থেকে দেশটিকে দূরে রাখা অসম্ভব নয়।
আমাদের সবারই ২০০৭-০৮ সালের খাদ্যসংকটের কথা মনে আছে। এর প্রভাব বাংলাদেশকেও যথেষ্ট কাবু করেছিল। এবার বিশ্বে খাদ্য উৎপাদনের যে পরিস্থিতির কথা বলা হচ্ছে, তা অনেকটা সেই সময়ের মতো। যুক্তরাষ্ট্রে এবার ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় খরা হয়েছে। যে কারণে গম ও ভুট্টার ভান্ডার হিসেবে পরিচিত এ দেশটিতে খাদ্য উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খরার কারণে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মতো গম উৎপাদনকারী দেশেও উৎপাদন কমেছে। ব্রাজিলের বন্যা কমিয়েছে চিনির উৎপাদন। প্রাকৃতিক কারণে ভোজ্যতেলের উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই কয়েকটি জরুরি খাদ্যপণ্যের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় অন্যান্য ক্ষেত্রেও এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। উদ্বেগজনক হলো, এসব পণ্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দামও বাড়তে শুরু করেছে।
বিশ্বে এই যে খাদ্যমন্দা পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হয়েছে, তার প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে কতটা দূরে রাখা যাবে—সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই সংকটের কারণে বাংলাদেশের বাজারে যে পণ্যগুলোর ওপর প্রভাব পড়বে তা হচ্ছে: আটা, ভোজ্যতেল ও চিনি। যখন আগে থেকেই এটা স্পষ্ট যে এই খাদ্যপণ্যগুলোর সংকট দেখা দেবে, তাই আমাদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে কীভাবে তা পূরণ করা যাবে, সে উদ্যোগ এখনই নিতে হবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি সংস্থার মাধ্যমে চিনি ও ভোজ্যতেল আমদানির পরামর্শও এসেছে। বাংলাদেশের জনগণের প্রধান খাদ্য হচ্ছে চাল। সামনের আমন উৎপাদন যাতে যথাযথভাবে হয়, সেদিকে তাই বাড়তি নজর দিতে হবে।
অভিজ্ঞতা বলছে, দেশে খাদ্যসংকটের পরিস্থিতি না থাকলেও একধরনের ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক খাদ্যসংকট পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে থাকেন। এ ব্যাপারে সরকারকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। সরকারের নিজস্ব খাদ্য মজুদ ও সরবরাহ ব্যবস্থা যেমন উন্নত করতে হবে, তেমনি এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতাও বাড়াতে হবে। এমন প্রস্তুতি থাকতে হবে, যাতে বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে সরকার নিজস্ব মজুদ নিয়ে বাজারে হস্তক্ষেপ করতে পারে। কেউ কোনো খাদ্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে চাইলেও সরকার যেন নিজের মজুদ বাজারে ছেড়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে।
আমরা মনে করি, সরকার যদি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আগাম প্রস্তুতি নেয় ও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার করণীয়গুলো ঠিক করে রাখে, তবে বিশ্ব খাদ্যমন্দার এই প্রভাব থেকে দেশটিকে দূরে রাখা অসম্ভব নয়।
No comments