প্রতিদিনের খাদ্যে প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট
খাদ্যের ফ্যাট শরীরে সর্বাধিক শক্তি প্রদান করে থাকে, যেমনÑ ১চা চামচ ফ্যাট বা তেল খেলে ৪৫ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। অন্যদিকে ১ চা চামচ মিষ্টিজাতীয় খাবার বা চিনি খেলে ২০ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খেলে (ভাত, রুটি, মাছ, মাংস, তেল, ঘি) তা চর্বিতে রূপান্তরিত হয়ে শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়।
তাই বয়স, ওজন, উচ্চতা ও শরীরের পুষ্টিগত অবস্থা অনুযায়ী প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফ্যাট বা তেলের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে, যা স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের জন্য সহায়ক। শরীরের চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করলে এবং পর্যাপ্ত ব্যায়াম করলে অতিরিক্ত ওজন, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি থেকে নিরাপদে থাকা যায়। অন্যদিকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার ও প্রাণিজ চর্বি গ্রহণ করলে শরীরের সঞ্চিত ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে যায়। কুসংস্কারমুক্ত জীবন ও খাদ্যাভাসের পরিবর্তন অর্থাৎ সঠিক পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার, টাটকা ফলমূল ও শাকসবজি, সামুদ্রিক ও মিঠাপানির মাছ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে সুস্থজীবন ধারণ করা যায়।
খাদ্য ফ্যাটের প্রাণিজ উৎস হলোÑ মাছ ও মাংসের চর্বি, ডিমের কুসুম, মগজ, কলিজা, দুধ, ঘি, মাখন ইত্যাদি। উদ্ভিজ উৎস হলো সব ধরনের ভোজ্য তেল। দেখা যায়, ৫০ গ্রাম ওজনের একটি ডিমের মধ্যে ৩৩ গ্রাম সাদা অংশ ও বাকিটা অর্থাৎ ১৭ গ্রাম হলুদ অংশ। এই ১৭ গ্রাম হলুদ অংশে ৫ গ্রাম ফ্যাট থাকে এবং ২১২ মিলি গ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। অন্যদিকে ১ গ্লাস গরুর দুধে ৮ গ্রাম ফ্যাট থাকে এবং ৩৩ মিলি গ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। রান্নায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের তেল যেমনÑ কর্ণওয়েল, অলিভ ওয়েল, ক্যানোলা, সূর্যমুখী তেল, সয়াবিন ইত্যাদি তেলে কোন কোলেস্টেরল নেই; কিন্তু এসব তেলে খারাপ চর্বি অর্থাৎ সম্পৃক্ত চর্বি বিভিন্ন পরিমাণে থাকে।
No comments