জারদারির মামলাবিষয়ক জটিলতা-তিন সপ্তাহ সময় পেলেন আশরাফ
আইনি মারপ্যাঁচের ঝামেলা সামলানোর জন্য তিন সপ্তাহের সময় পেয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ। প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চালুর জন্য সুইজারল্যান্ডে চিঠি লেখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে প্রধানমন্ত্রীকে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
জারদারির দুর্নীতির মামলা পুনর্জীবিত করা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে গতকাল সোমবার আশরাফ সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দেন। পরে তিন সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করেন আদালত।
প্রেসিডেন্ট জারদারির আর্থিক দুর্নীতিসংক্রান্ত কয়েকটি মামলা চালুর বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রায় আড়াই বছর ধরে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সরকারের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের দ্বন্দ্ব চলছে। পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফ ঘোষিত একটি দায়মুক্তি অধ্যাদেশের কারণে মামলাগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সুইজারল্যান্ডে চিঠি পাঠাতে রাজি না হওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে গত জুনে অযোগ্য ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। রাজা পারভেজ প্রধানমন্ত্রীর পদে আসার পর তাঁকেও একই নির্দেশ দেন আদালত। প্রধানমন্ত্রী এতে সাড়া না দেওয়ায় গতকাল ২৭ আগস্ট তাঁকে আদালতে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। এদিকে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বাঁচাতে গত জুলাই মাসে তড়িঘড়ি করে একটি আইন পাস করে পাকিস্তান পার্লামেন্ট। কিন্তু রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ আগস্ট আইনটিকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট। তবে সরকার এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেছে।
জারদারির দুর্নীতির মামলা চালুসংক্রান্ত শুনানি উপলক্ষে গতকাল প্রায় এক ঘণ্টা আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী আশরাফ। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের রাজনীতিতে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, যেকোনো মূল্যে তা দূর করার অঙ্গীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, 'আমার দৃঢ় বিশ্বাস, প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে মামলা চালুর বিষয়ে কালক্ষেপণ করায় সরকারের কোনো স্বার্থ নেই। এই ইস্যু সমাধানের জন্য আদালতে ইতিবাচক অঙ্গীকার করতে আমি প্রস্তুত। দেশে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা দূর করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে আমি বদ্ধপরিকর।'
সরকারপক্ষের আইনজীবীরা উত্তর জানানোর জন্য চার থেকে ছয় সপ্তাহের সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু বিচারপতি আসিফ সাঈদ খোসার নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ তিন সপ্তাহ সময় মঞ্জুর করেন। সূত্র : এএফপি, ডন।
No comments