প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবিতে যৌন ধর্মঘট
হরতাল, অবরোধ, বিক্ষোভ, জ্বালাও, পোড়াও বা অনশন নয়, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে ব্যতিক্রমী এক কর্মসূচি শুরু করেছেন টোগোর নারীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ স্বামীদের সঙ্গে বিছানায় যাবেন না তাঁরা। এ আন্দোলনের নাম দেওয়া হয়েছে সেক্স ধর্মঘট।
মূলত প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পুরুষ সঙ্গীদের উদ্যোগী করতেই এই পদক্ষেপ।
বাবা গনাসিংবে ইয়াদেমার মৃত্যুর পর ২০০৫ সালে ক্ষমতায় আসেন টোগোর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফাউর গনাসিংবে। ইয়াদেমা পশ্চিম আফ্রিকার ছোট এই দেশটি শাসন করেছেন ৩৮ বছর। আগামী অক্টোবরে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচন পদ্ধতিতে সংস্কার আনেন গনাসিংবে। বিরোধীদের অভিযোগ, মূলত তার পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পথ সুগম করতেই এই সংস্কার আনা হয়েছে। এর প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন বিরোধীরা। তাঁরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করলেও চলতি মাসের শুরুর দিকে দুটি আন্দোলন পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গ্রেপ্তার করে শতাধিক ব্যক্তিকে।
গত শনিবার রাজধানী লোমেতে কয়েক হাজার নারী বিক্ষোভ করেন। এতে নেতৃত্ব দেন অধিকার রক্ষা আন্দোলন 'লেটস সেইভ তোগো'র নারী শাখার প্রধান ইসাবেলে আমেগানভি। আইনজীবী আমেগানভি জানান, সেক্স ধর্মঘটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুরুষদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। ২০০৩ সালে লাইবেরিয়ায় শান্তির পক্ষে প্রচারণায় এ ধরনের এক আন্দোলন হয়েছিল। ওই আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়েই এবার টোগোর নারীরাও একই পদক্ষেপ নিলেন। গতকাল থেকে এই সেক্স ধর্মঘট শুরু করেছেন তাঁরা।
আমেগানভি বলেন, 'টোগোর নারীরা কী চায় তা বুঝতে পুরুষদের বাধ্য করতে আমাদের বহু পথ জানা আছে। তাঁরা যদি আমাদের আহ্বান না শোনেন, তবে আমরা আরো কঠিন পদক্ষেপ নেব যা হবে সেক্স ধর্মঘটের চেয়েও শক্তিশালী।' সূত্র : টেলিগ্রাফ।
বাবা গনাসিংবে ইয়াদেমার মৃত্যুর পর ২০০৫ সালে ক্ষমতায় আসেন টোগোর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফাউর গনাসিংবে। ইয়াদেমা পশ্চিম আফ্রিকার ছোট এই দেশটি শাসন করেছেন ৩৮ বছর। আগামী অক্টোবরে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচন পদ্ধতিতে সংস্কার আনেন গনাসিংবে। বিরোধীদের অভিযোগ, মূলত তার পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পথ সুগম করতেই এই সংস্কার আনা হয়েছে। এর প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন বিরোধীরা। তাঁরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করলেও চলতি মাসের শুরুর দিকে দুটি আন্দোলন পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গ্রেপ্তার করে শতাধিক ব্যক্তিকে।
গত শনিবার রাজধানী লোমেতে কয়েক হাজার নারী বিক্ষোভ করেন। এতে নেতৃত্ব দেন অধিকার রক্ষা আন্দোলন 'লেটস সেইভ তোগো'র নারী শাখার প্রধান ইসাবেলে আমেগানভি। আইনজীবী আমেগানভি জানান, সেক্স ধর্মঘটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুরুষদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। ২০০৩ সালে লাইবেরিয়ায় শান্তির পক্ষে প্রচারণায় এ ধরনের এক আন্দোলন হয়েছিল। ওই আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়েই এবার টোগোর নারীরাও একই পদক্ষেপ নিলেন। গতকাল থেকে এই সেক্স ধর্মঘট শুরু করেছেন তাঁরা।
আমেগানভি বলেন, 'টোগোর নারীরা কী চায় তা বুঝতে পুরুষদের বাধ্য করতে আমাদের বহু পথ জানা আছে। তাঁরা যদি আমাদের আহ্বান না শোনেন, তবে আমরা আরো কঠিন পদক্ষেপ নেব যা হবে সেক্স ধর্মঘটের চেয়েও শক্তিশালী।' সূত্র : টেলিগ্রাফ।
No comments