ডিসিসি ও ওয়াসার তবে কাজ কী?-এলাকাবাসীর নর্দমা পরিষ্কার
সমানে বর্ষা আসছে। আরামবাগ ও ফকিরাপুলের বাসিন্দারা আর কত দিন অপেক্ষা করবেন! নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে নেমে পড়েছেন নর্দমা পরিষ্কারে। যাঁদের কাজ তাঁরা যদি না করেন, তবে এ ছাড়া আর উপায় কী! এলাকাবাসী নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন, তা খুবই প্রশংসনীয়।
কিন্তু একই সঙ্গে এই প্রশ্নটিও খুবই জরুরি যে ‘কর্তৃপক্ষ’ বলে যে একটি ব্যাপার আছে, তারা তবে আছে কেন?
নর্দমা পরিষ্কার না করায় আরামবাগ-ফকিরাপুল এলাকার বাসিন্দাদের সমান্য বৃষ্টিতেই পোহাতে হয়ে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ আর বছরজুড়েই রাস্তায় উঠে আসে বাড়িঘরের প্রতিদিনের তরল বর্জ্য। বছরের পর বছর এভাবেই চলছে। গত দুই বছরে এ নিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিল অফিস, ঢাকা সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসাসহ সবখানেই ধরনা দিয়েছেন এলাকাবাসী। ফলাফল আক্ষরিক অর্থেই শূন্য। নর্দমা পরিষ্কারের উদ্যোগ না নিয়ে আর কী-ই বা করার ছিল এলাকাবাসীর! ডিসিসি ও ঢাকা ওয়াসার মতো প্রতিষ্ঠানের অকার্যকর দশার একটি জবাব দিয়েছেন আরামবাগ-ফকিরাপুলবাসী। সভ্য দুনিয়ায় এ ধরনের ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠান দুটির বিব্রত ও লজ্জিত হওয়ার কথা। আমাদের দেশে তেমন কিছু আশা করা কঠিন। দেখা যাচ্ছে, এলাকাবাসী নিজেরা টাকা জোগাড় করে নর্দমা থেকে যে ময়লা তুলেছেন, সেটাও দ্রুততার সঙ্গে সরিয়ে নিতে পারছে না ডিসিসি। এলাকার কিছু উদ্যোগী ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে এখনো লেগে আছেন, আমরা তাঁদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
ঢাকাবাসীর কাছ থেকে পৌর কর নেয় ডিসিসি আর পানি ও পয়োনিষ্কাশন বাবদ বিল নেয় ঢাকা ওয়াসা। এর বিনিময়ে নর্দমা পরিষ্কারের মতো প্রাথমিক সেবাও কী আশা করতে পারেন না নগরবাসী? বছরের পর বছর ধরনা দিয়েও তাদের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাবে না! ওয়াসার ড্রেনেজ বিভাগের এক কর্মকর্তা, যিনি আবার নাম প্রকাশ করতে চান না, নর্দমা পরিষ্কার করতে না পারার কারণ হিসেবে সময়মতো তহবিল না পাওয়ার কথা বলেছেন। আমাদের প্রশ্ন, ‘সময়মতো’ বিষয়টি আসলে কী? দুই বছরেও একটি নর্দমা পরিষ্কার করার মতো ‘তহবিল’ জোগাড় করা গেল না!
এই যখন নাগরিক সেবার দশা, তখন ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সম্ভবত আরামবাগ-ফকিরাপুলবাসীর পথই বেছে নিতে হবে!
নর্দমা পরিষ্কার না করায় আরামবাগ-ফকিরাপুল এলাকার বাসিন্দাদের সমান্য বৃষ্টিতেই পোহাতে হয়ে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ আর বছরজুড়েই রাস্তায় উঠে আসে বাড়িঘরের প্রতিদিনের তরল বর্জ্য। বছরের পর বছর এভাবেই চলছে। গত দুই বছরে এ নিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিল অফিস, ঢাকা সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসাসহ সবখানেই ধরনা দিয়েছেন এলাকাবাসী। ফলাফল আক্ষরিক অর্থেই শূন্য। নর্দমা পরিষ্কারের উদ্যোগ না নিয়ে আর কী-ই বা করার ছিল এলাকাবাসীর! ডিসিসি ও ঢাকা ওয়াসার মতো প্রতিষ্ঠানের অকার্যকর দশার একটি জবাব দিয়েছেন আরামবাগ-ফকিরাপুলবাসী। সভ্য দুনিয়ায় এ ধরনের ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠান দুটির বিব্রত ও লজ্জিত হওয়ার কথা। আমাদের দেশে তেমন কিছু আশা করা কঠিন। দেখা যাচ্ছে, এলাকাবাসী নিজেরা টাকা জোগাড় করে নর্দমা থেকে যে ময়লা তুলেছেন, সেটাও দ্রুততার সঙ্গে সরিয়ে নিতে পারছে না ডিসিসি। এলাকার কিছু উদ্যোগী ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে এখনো লেগে আছেন, আমরা তাঁদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
ঢাকাবাসীর কাছ থেকে পৌর কর নেয় ডিসিসি আর পানি ও পয়োনিষ্কাশন বাবদ বিল নেয় ঢাকা ওয়াসা। এর বিনিময়ে নর্দমা পরিষ্কারের মতো প্রাথমিক সেবাও কী আশা করতে পারেন না নগরবাসী? বছরের পর বছর ধরনা দিয়েও তাদের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাবে না! ওয়াসার ড্রেনেজ বিভাগের এক কর্মকর্তা, যিনি আবার নাম প্রকাশ করতে চান না, নর্দমা পরিষ্কার করতে না পারার কারণ হিসেবে সময়মতো তহবিল না পাওয়ার কথা বলেছেন। আমাদের প্রশ্ন, ‘সময়মতো’ বিষয়টি আসলে কী? দুই বছরেও একটি নর্দমা পরিষ্কার করার মতো ‘তহবিল’ জোগাড় করা গেল না!
এই যখন নাগরিক সেবার দশা, তখন ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সম্ভবত আরামবাগ-ফকিরাপুলবাসীর পথই বেছে নিতে হবে!
No comments