দলীয়করণ পুরস্কৃত হলে চিকিৎসাসেবা কীভাবে চলবে?-নিয়োগ-সন্ত্রাসে এবার স্বাচিপ!
ক্ষমতাসীন দল ও তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত সংগঠনগুলোর কাজ কি অযোগ্য দলীয় কর্মীদের চাকরিসহ সুযোগ-সুবিধার বন্দোবস্ত করে দেওয়া? প্রশাসন কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের যোগ্যতা ও নিষ্ঠা নয়, সেই অবৈধ বন্দোবস্ত বাস্তবায়ন করাই কি হবে তাঁদের পদাধিকারের প্রধান শর্ত? সরকারি কর্মচারী নিয়োগ মানেই কি অযোগ্য দলীয়
কর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগদান? নিয়োগ নিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার উক্তি, পাবনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কর্মীদের অগ্রহণযোগ্য আচরণের পর এখন স্বাচিপ ও ছাত্রলীগের হাতে হেনস্তা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত। স্বাচিপ-ছাত্রলীগের রোষের কারণ, তাদের পছন্দমাফিক প্রার্থীরা চাকরির পরীক্ষায় কেন অযোগ্য ঘোষিত হলেন?
সরকারি পদে নিয়োগের বেলায় যোগ্যতা যাচাইয়ের পরীক্ষা থাকে, তাতে অধিকতর যোগ্য ব্যক্তিরাই পদের সংখ্যার ভিত্তিতে নিযুক্ত হন। চিকিৎসা কর্মকর্তা পদে নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছে এবং তাতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই মৌখিক পরীক্ষার ডাক পাবেন এবং চূড়ান্ত বিচারে অধিকতর যোগ্য ব্যক্তিরাই নিযুক্ত হবেন। এটাই নিয়ম এবং এটাই হওয়া উচিত। এ ধরনের নিয়োগ নিয়ে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী সংগঠনগুলো স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার দাবি তুলতে পারে এবং অনিয়ম হলে তার প্রতিবাদও করতে পারে। কিন্তু গতকাল রোববারের প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে দেখা যাচ্ছে, স্বাচিপ-ছাত্রলীগের কর্মীরা বিএসএমএমইউর উপাচার্যের ওপর চড়াও হলেন অনিয়মের প্রতিবাদের জন্য নয়, অনিয়মকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
চিকিৎসা কর্মকর্তা পেশায় ও দক্ষতায় চিকিৎসক। অন্য ক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতি নিশ্চয়ই ক্ষতিকর, কিন্তু চিকিৎসাক্ষেত্রে একজন অযোগ্য ব্যক্তিকে নিযুক্ত করার ফল মারাত্মক। চিকিৎসক অযোগ্য হলে কেবল কুচিকিৎসাই হয় না, তাতে রোগীদের জীবন বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। মানসন্মত নয় এমন একজন চিকিৎসক নিয়োগ পাওয়া মানে পেশাগত দায়িত্বের পুরোটা সময়ই তাঁর মাধ্যমে মানসন্মত চিকিৎসা না পাওয়া। এতে খুব স্বাভাবিকভাবেই রোগীদের মানসন্মত চিকিৎসা না পাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হবে। বিভিন্ন সময়ে অপচিকিৎসার ঘটনাগুলো আমাদের সে শিক্ষাই দেয়।
স্বাচিপ-ছাত্রলীগ বা ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিরা কেন যোগ্যতার চেয়ে তদবিরের ওপর নির্ভরশীল হলেন এবং সংগঠনগুলোর নেতারা কীভাবে দল করাকেই প্রধান যোগ্যতা হিসেবে প্রকাশ্যে দাবি করা শুরু করলেন, তার উত্তর দল ও সরকারের নীতিনির্ধারকদেরই খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু দলের কাছে দেশ ও জাতির স্বার্থ এভাবে তুচ্ছ হয়ে যেতে পারে না।
সরকারি পদে নিয়োগের বেলায় যোগ্যতা যাচাইয়ের পরীক্ষা থাকে, তাতে অধিকতর যোগ্য ব্যক্তিরাই পদের সংখ্যার ভিত্তিতে নিযুক্ত হন। চিকিৎসা কর্মকর্তা পদে নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছে এবং তাতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই মৌখিক পরীক্ষার ডাক পাবেন এবং চূড়ান্ত বিচারে অধিকতর যোগ্য ব্যক্তিরাই নিযুক্ত হবেন। এটাই নিয়ম এবং এটাই হওয়া উচিত। এ ধরনের নিয়োগ নিয়ে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী সংগঠনগুলো স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার দাবি তুলতে পারে এবং অনিয়ম হলে তার প্রতিবাদও করতে পারে। কিন্তু গতকাল রোববারের প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে দেখা যাচ্ছে, স্বাচিপ-ছাত্রলীগের কর্মীরা বিএসএমএমইউর উপাচার্যের ওপর চড়াও হলেন অনিয়মের প্রতিবাদের জন্য নয়, অনিয়মকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
চিকিৎসা কর্মকর্তা পেশায় ও দক্ষতায় চিকিৎসক। অন্য ক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতি নিশ্চয়ই ক্ষতিকর, কিন্তু চিকিৎসাক্ষেত্রে একজন অযোগ্য ব্যক্তিকে নিযুক্ত করার ফল মারাত্মক। চিকিৎসক অযোগ্য হলে কেবল কুচিকিৎসাই হয় না, তাতে রোগীদের জীবন বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। মানসন্মত নয় এমন একজন চিকিৎসক নিয়োগ পাওয়া মানে পেশাগত দায়িত্বের পুরোটা সময়ই তাঁর মাধ্যমে মানসন্মত চিকিৎসা না পাওয়া। এতে খুব স্বাভাবিকভাবেই রোগীদের মানসন্মত চিকিৎসা না পাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হবে। বিভিন্ন সময়ে অপচিকিৎসার ঘটনাগুলো আমাদের সে শিক্ষাই দেয়।
স্বাচিপ-ছাত্রলীগ বা ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিরা কেন যোগ্যতার চেয়ে তদবিরের ওপর নির্ভরশীল হলেন এবং সংগঠনগুলোর নেতারা কীভাবে দল করাকেই প্রধান যোগ্যতা হিসেবে প্রকাশ্যে দাবি করা শুরু করলেন, তার উত্তর দল ও সরকারের নীতিনির্ধারকদেরই খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু দলের কাছে দেশ ও জাতির স্বার্থ এভাবে তুচ্ছ হয়ে যেতে পারে না।
No comments