এ দৃষ্টিভঙ্গি অগ্রহণযোগ্য-সংবাদমাধ্যমের ওপর দোষ চাপানো
প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম পাবনার ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে অতিরঞ্জনের যে অভিযোগ তুলেছেন, তা সঠিক নয়। সেখানে প্রশাসনের আক্রান্ত ব্যক্তিরা সুধী সমাবেশে নিজেদের অসহায় অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন, এবং তাঁদের কেউ কেউ কান্নায় রুদ্ধকণ্ঠ হয়েছিলেন।
সংবাদপত্রে ছবি ছাপা হয়েছে, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে চলমান চিত্র প্রচারিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের বরাত দিয়ে উপদেষ্টা বলেছেন, কর্মকর্তাদের কান্নার কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের ছবিগুলো তো মিথ্যা নয়; অতিরঞ্জিতও নয়।
দুঃখজনকভাবে ক্ষমতাসীনদের মধ্যে এমন প্রবণতা লক্ষ করা যায়: তাঁদের জন্য বিব্রতকর কোনো ঘটনার বস্তুনিষ্ঠ বিবরণ জনসমক্ষে প্রকাশিত ও প্রচারিত হলে তাঁরা বিব্রত না হয়ে বরং আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন; সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার বা অতিরঞ্জনের অভিযোগ তোলেন। আমরা দেখেছি, বিগত চারদলীয় জোটের শাসনামলে জঙ্গি বাংলা ভাই ও তাঁর জেএমবি সম্পর্কে প্রথম আলো যখন ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করছিল, তখন তৎকালীন সরকারের মন্ত্রীরা বলেছিলেন, বাংলা ভাই, জেএমবি এসবের অস্তিত্ব নেই, ‘মিডিয়ার সৃষ্টি’। কিন্তু অচিরেই প্রমাণিত হয়েছিল, বাংলা ভাই, জেএমবি ও তাদের সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা—কোনো কিছুই সংবাদমাধ্যমের বানোয়াট বিষয় ছিল না।
সংবাদমাধ্যম নিজেদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করছে। ১৭ সেপ্টেম্বর পাবনায় দুটি পরীক্ষাকেন্দ্রে হামলার ঘটনা বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের কল্যাণেই জনসাধারণ জানতে পেরেছে। তার পর থেকে জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাবনা থেকে প্রত্যাহার পর্যন্ত সব ঘটনাই জনসাধারণকে অবহিত করেছে সংবাদমাধ্যম। রাষ্ট্রীয় বেতার-টিভি এ বিষয়ে কী দায়িত্ব পালন করেছে, তা জনসাধারণ দেখেছে। এখন যদি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে এসব খবর প্রকাশ করার ফলে প্রশাসন ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে, তাহলে সংবাদমাধ্যমের কী করার থাকতে পারে? সন্ত্রাস বা অপরাধের সংবাদ প্রকাশ করলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় না বরং এসব যারা ঘটায়, তাদের কারণেই ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়ে থাকে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ধাওয়া ও লাঞ্ছিত করা থেকে শুরু করে সুধী সমাবেশ ডেকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আবেগঘন দৃশ্যায়ন, এগুলোও সংবাদমাধ্যম তথা সাংবাদিকেরা ঘটাননি। তাই সংবাদমাধ্যমের ওপর দোষ না চাপিয়ে সরকারের উচিত হবে ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
দুঃখজনকভাবে ক্ষমতাসীনদের মধ্যে এমন প্রবণতা লক্ষ করা যায়: তাঁদের জন্য বিব্রতকর কোনো ঘটনার বস্তুনিষ্ঠ বিবরণ জনসমক্ষে প্রকাশিত ও প্রচারিত হলে তাঁরা বিব্রত না হয়ে বরং আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন; সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার বা অতিরঞ্জনের অভিযোগ তোলেন। আমরা দেখেছি, বিগত চারদলীয় জোটের শাসনামলে জঙ্গি বাংলা ভাই ও তাঁর জেএমবি সম্পর্কে প্রথম আলো যখন ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করছিল, তখন তৎকালীন সরকারের মন্ত্রীরা বলেছিলেন, বাংলা ভাই, জেএমবি এসবের অস্তিত্ব নেই, ‘মিডিয়ার সৃষ্টি’। কিন্তু অচিরেই প্রমাণিত হয়েছিল, বাংলা ভাই, জেএমবি ও তাদের সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা—কোনো কিছুই সংবাদমাধ্যমের বানোয়াট বিষয় ছিল না।
সংবাদমাধ্যম নিজেদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করছে। ১৭ সেপ্টেম্বর পাবনায় দুটি পরীক্ষাকেন্দ্রে হামলার ঘটনা বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের কল্যাণেই জনসাধারণ জানতে পেরেছে। তার পর থেকে জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাবনা থেকে প্রত্যাহার পর্যন্ত সব ঘটনাই জনসাধারণকে অবহিত করেছে সংবাদমাধ্যম। রাষ্ট্রীয় বেতার-টিভি এ বিষয়ে কী দায়িত্ব পালন করেছে, তা জনসাধারণ দেখেছে। এখন যদি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে এসব খবর প্রকাশ করার ফলে প্রশাসন ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে, তাহলে সংবাদমাধ্যমের কী করার থাকতে পারে? সন্ত্রাস বা অপরাধের সংবাদ প্রকাশ করলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় না বরং এসব যারা ঘটায়, তাদের কারণেই ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়ে থাকে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ধাওয়া ও লাঞ্ছিত করা থেকে শুরু করে সুধী সমাবেশ ডেকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আবেগঘন দৃশ্যায়ন, এগুলোও সংবাদমাধ্যম তথা সাংবাদিকেরা ঘটাননি। তাই সংবাদমাধ্যমের ওপর দোষ না চাপিয়ে সরকারের উচিত হবে ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
No comments