এক বছরে কী করেছে অধিদপ্তর?-জাতীয় জনসংখ্যানীতি
জনসংখ্যানীতির আলোকেই কোন সময়ের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি কোন পর্যায়ে ধরে রাখতে হবে, তা ঠিক হওয়ার কথা। কিন্তু পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে খসড়ানীতিটি চূড়ান্ত করার কথা বলে ফেলে রেখেছে। জোট সরকারের করা ২০০৪ সালের জনসংখ্যানীতিটি যুগোপযোগী করাই ছিল তাদের দায়িত্ব।
সেই নীতিতে ২০১০ সাল ছিল ২০৬০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা স্থিতিশীল করার পূর্বশর্ত সৃষ্টির বছর। সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে এক বছর দেরি হওয়া মানে জনসংখ্যা স্থিতিশীল করার মেয়াদ আরও ১০ বছর পিছিয়ে যাওয়া, অর্থাৎ এক বছর দেরির ফলে নতুন টার্গেট হয়ে দাঁড়াল ২০৭০ সাল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসংখ্যাকে সম্পদ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। কথাটি সত্য। বিশ্বের ধনী কয়েকটি দেশে জন্মহার কমে যাওয়ায় জনসম্পদের ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বেলায় জনসম্পদের প্রাচুর্য সুবিধার বদলে অসুবিধাই তৈরি করছে বেশি। আমাদের মতো ছোট ও দুর্বল অর্থনীতির একটি দেশ কতসংখ্যক মানুষের দায়িত্ব নিতে পারে, তার একটা সীমা ঠিক হওয়া দরকার। অল্প সুযোগের সঙ্গে অধিক জনসংখ্যার টানাটানি শেষ পর্যন্ত দারিদ্র্য, সন্ত্রাস, নৈরাজ্যসহ নানা রকম বিপর্যয় নিয়ে আসে। মানুষের আধিক্যে মানুষ মানুষকে মর্যাদা দিতে ভুলে যায়। এ ছাড়া জলবায়ু বিপর্যয়ের হুমকির কারণেও দেশের সীমিত জমি ও সম্পদের ওপর তীব্র চাপ অসহনীয় মাত্রায় চলে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। দেশের একাংশ যদি সমুদ্রে তলিয়ে যায় এবং বাকি কিছু অংশ যদি লবণাক্ততাসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পতিত হয়, তখন বিপুল দুর্গত মানুষের পরিণতি কী হবে, তা কল্পনা করা কঠিন নয়। এ জন্যই সার্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জনসংখ্যানীতি প্রণয়ন ও তাকে কর্মসূচিতে পরিণত করা জরুরি।
এই জরুরি কাজটিই গত এক বছরেও সম্পন্ন না হওয়ার ব্যাখ্যা তাই স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকেই দিতে হবে। সবাইকে বুঝতে হবে, বাংলাদেশ জনসংখ্যা নামের একটি মেয়াদিবোমার ওপর বসে আছে। এবং এই বোমার বিস্ফোরণের ধাক্কা কমিয়ে আনার সময়ও দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। জনসংখ্যা কমানোয় কঠোর জন্মনিয়ন্ত্রণ ছাড়া কোনো উপায় নেই।
জনসংখ্যানীতি আর জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি অবিচ্ছেদ্য। একটি পূর্ণাঙ্গ না হলে অন্যটিতে সফল হওয়া যাবে না। এ বিবেচনা থেকেই বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে দ্রুত জনসংখ্যানীতি পূর্ণাঙ্গ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসংখ্যাকে সম্পদ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। কথাটি সত্য। বিশ্বের ধনী কয়েকটি দেশে জন্মহার কমে যাওয়ায় জনসম্পদের ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বেলায় জনসম্পদের প্রাচুর্য সুবিধার বদলে অসুবিধাই তৈরি করছে বেশি। আমাদের মতো ছোট ও দুর্বল অর্থনীতির একটি দেশ কতসংখ্যক মানুষের দায়িত্ব নিতে পারে, তার একটা সীমা ঠিক হওয়া দরকার। অল্প সুযোগের সঙ্গে অধিক জনসংখ্যার টানাটানি শেষ পর্যন্ত দারিদ্র্য, সন্ত্রাস, নৈরাজ্যসহ নানা রকম বিপর্যয় নিয়ে আসে। মানুষের আধিক্যে মানুষ মানুষকে মর্যাদা দিতে ভুলে যায়। এ ছাড়া জলবায়ু বিপর্যয়ের হুমকির কারণেও দেশের সীমিত জমি ও সম্পদের ওপর তীব্র চাপ অসহনীয় মাত্রায় চলে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। দেশের একাংশ যদি সমুদ্রে তলিয়ে যায় এবং বাকি কিছু অংশ যদি লবণাক্ততাসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পতিত হয়, তখন বিপুল দুর্গত মানুষের পরিণতি কী হবে, তা কল্পনা করা কঠিন নয়। এ জন্যই সার্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জনসংখ্যানীতি প্রণয়ন ও তাকে কর্মসূচিতে পরিণত করা জরুরি।
এই জরুরি কাজটিই গত এক বছরেও সম্পন্ন না হওয়ার ব্যাখ্যা তাই স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকেই দিতে হবে। সবাইকে বুঝতে হবে, বাংলাদেশ জনসংখ্যা নামের একটি মেয়াদিবোমার ওপর বসে আছে। এবং এই বোমার বিস্ফোরণের ধাক্কা কমিয়ে আনার সময়ও দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। জনসংখ্যা কমানোয় কঠোর জন্মনিয়ন্ত্রণ ছাড়া কোনো উপায় নেই।
জনসংখ্যানীতি আর জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি অবিচ্ছেদ্য। একটি পূর্ণাঙ্গ না হলে অন্যটিতে সফল হওয়া যাবে না। এ বিবেচনা থেকেই বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে দ্রুত জনসংখ্যানীতি পূর্ণাঙ্গ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়।
No comments