শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করতে দেওয়া যাবে না-অবৈধ গাইডবই, নোটবই
শিক্ষালাভের জন্য উপযুক্ত পাঠ্যবই ও শ্রেণীকক্ষে নিয়মিত পাঠদানই যথেষ্ট। চিরকাল এ নিয়মই চলে আসছে। মাত্র কয়েক দশক আগেও নোটবই বা গাইডবইয়ের অস্তিত্ব ছিল না। কিন্তু কালক্রমে আমাদের স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষা একশ্রেণীর ব্যবসায়ীর কবজায় চলে গেছে।
তাঁরা কোচিং সেন্টার খুলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার নামে কিছু প্রশ্নোত্তর শিখিয়েই মেধা সৃষ্টির দাবি করছেন। আর তাঁদের রমরমা ব্যবসার করুণ শিকারে পরিণত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তারা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বিচ্যুত হয়ে নোট-গাইডনির্ভর শিক্ষার সীমিত গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় আশার আলো দেখা দিয়েছে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা বসে নেই। তাঁরা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বই নকল করে তাঁদের নিজেদের গাইড ও নোটবইয়ের ভেতর ঢুকিয়ে বিক্রি করছেন। শিক্ষার্থীরা প্রলুব্ধ হয়ে সেগুলো কিনছে। অন্যদিকে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এনসিটিবির প্রকাশিত এক লাখ ৬৬ হাজার কপি বাংলা বই ও ২০ হাজার কপি সৃজনশীল পদ্ধতির অনুশীলন গ্রন্থের অধিকাংশই অবিক্রীত রয়ে গেছে। নকল বইয়ে অনেক ভুল রয়েছে। শিক্ষার্থীরা সেই ভুল শিখতেই বাধ্য হচ্ছে।
শিক্ষা নিয়ে এ ধরনের অনৈতিক ব্যবসা অমার্জনীয় অপরাধ। এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। প্রথম আলোয় এ বিষয়ে সংবাদ বেরোনোর পর এনসিটিবির পক্ষ থেকে অভিযান শুরু করা হয়েছে। তাদের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাবাজারে গিয়ে দেখে, অবৈধ প্রকাশকেরা দোকান বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন। কিছু নকল বই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।
এটা উদ্বেগজনক যে বিভিন্ন প্রকাশক বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে চলেন। তাঁরা মনে করেন, পত্রিকায় খবর বেরোলে এনসিটিবি শুধু নিজেরা আলোচনা করে বা খুব বেশি হলে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেই দায়িত্ব শেষ করবে। এটা যে ভুল ধারণা, তা প্রমাণ করার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতি নমনীয় মনোভাব দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। এই অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এনসিটিবির একশ্রেণীর অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে। তাঁরাই পাঠ্যবইয়ের পাণ্ডুলিপি অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠিয়ে দেন। তাই এ ব্যাপারে তদন্ত হওয়া দরকার। অসাধু চক্রটি চিহ্নিত ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় আশার আলো দেখা দিয়েছে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা বসে নেই। তাঁরা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বই নকল করে তাঁদের নিজেদের গাইড ও নোটবইয়ের ভেতর ঢুকিয়ে বিক্রি করছেন। শিক্ষার্থীরা প্রলুব্ধ হয়ে সেগুলো কিনছে। অন্যদিকে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এনসিটিবির প্রকাশিত এক লাখ ৬৬ হাজার কপি বাংলা বই ও ২০ হাজার কপি সৃজনশীল পদ্ধতির অনুশীলন গ্রন্থের অধিকাংশই অবিক্রীত রয়ে গেছে। নকল বইয়ে অনেক ভুল রয়েছে। শিক্ষার্থীরা সেই ভুল শিখতেই বাধ্য হচ্ছে।
শিক্ষা নিয়ে এ ধরনের অনৈতিক ব্যবসা অমার্জনীয় অপরাধ। এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। প্রথম আলোয় এ বিষয়ে সংবাদ বেরোনোর পর এনসিটিবির পক্ষ থেকে অভিযান শুরু করা হয়েছে। তাদের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাবাজারে গিয়ে দেখে, অবৈধ প্রকাশকেরা দোকান বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন। কিছু নকল বই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।
এটা উদ্বেগজনক যে বিভিন্ন প্রকাশক বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে চলেন। তাঁরা মনে করেন, পত্রিকায় খবর বেরোলে এনসিটিবি শুধু নিজেরা আলোচনা করে বা খুব বেশি হলে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেই দায়িত্ব শেষ করবে। এটা যে ভুল ধারণা, তা প্রমাণ করার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতি নমনীয় মনোভাব দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। এই অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এনসিটিবির একশ্রেণীর অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে। তাঁরাই পাঠ্যবইয়ের পাণ্ডুলিপি অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠিয়ে দেন। তাই এ ব্যাপারে তদন্ত হওয়া দরকার। অসাধু চক্রটি চিহ্নিত ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
No comments