জার্মানির ঐক্য-শান্তি ও অগ্রগতির মাইলফলক by সরাফ আহমেদ
‘জার্মান জাতির ঐক্য নিয়ে ইউরোপীয় প্রতিবেশী বা বিশ্বের ভয় পাওয়ার বা সংশয়ের কিছু নেই, বরং এই ঐক্য ইউরোপীয় ঐক্য বা বিশ্ব রাজনীতিতে উত্তেজনা কমাবে।’ ২০ বছর আগে এ কথা বলেছিলেন সেই সময়কার জার্মান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ভন ভাইজকার।
তাঁর বক্তব্যের সারমর্ম অনেকটাই জার্মানির জনগণ এবং রাজনীতিকদের ধারায় প্রতিভাত হচ্ছে।
যুদ্ধোত্তর দ্বিতীয় প্রজন্মের রাজনীতিক এবং সমাজের ৬২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি সম্প্রতি প্রকাশিত ‘জার্মান নিয়ে আমাদের ভাবনা’ (মাইনে ইডে ফুর ডয়েচল্যান্ড) বইটিতে দেশ নিয়ে তাঁদের ভাবনার কথা বলেছেন। এতে প্রতিধ্বনিত হয়েছে ভবিষ্যতে জার্মানির সমাজব্যবস্থা আর রাজনীতি।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুইডো ভেস্টারভোল লিখেছেন, ‘আমাদের রাজনীতির ও পররাষ্ট্রনীতির ফল হিসেবে বিশ্বে যুদ্ধোত্তর বিশ্বজুড়ে জার্মানির এখনকার মতো গ্রহণযোগ্যতা, আগে আর কোনো সময়ই ছিল না।’
বিরোধী পরিবেশবাদী সবুজ দলের সভাপতি তুর্কি বংশোদ্ভূত কেম ডডেমির লিখেছেন, জার্মানিতে অভিবাসীদের জার্মান সমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয় নিয়ে। বলেছেন, ‘কদিন আগে শেষ হয়ে যাওয়া বিশ্বকাপ ফুটবলে, জার্মান ফুটবল দলের দিকে তাকালেই ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়ে যাবে।’ উল্লেখ্য, জার্মান ফুটবল দলে এ মুহূর্তে সাতজন অভিবাসী খেলোয়াড় স্থান করে নিয়েছেন।
কোনো জাতির খোলনলচে সহসাই পাল্টানো অত সহজ নয়, তবে রাজনৈতিক দল বা রাজনীতিকদের গণতন্ত্রের প্রতি, অন্যান্য জাতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, সচেতনতা, দেশ জনগণ এবং বিশ্বকে নিয়ে ভাবনা—একটি দেশ ও জাতির ভাবমূর্তি অবশ্যই পাল্টাতে পারে। আর তার প্রতীক হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ জার্মানি।
২০০৯ সালে যখন বার্লিনে প্রাচীর পতনের ২০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠান হচ্ছিল, তখন সেই ঘটনার অনুঘটক, আরও দুই বিশ্ব রাজনীতিক মিখাইল গর্বাচেভ ও জর্জ বুশ সিনিয়রকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জার্মান জাতির ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রধান স্থপতি সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর হেলমুট কোহল বলেছিলেন, ‘জার্মান জাতির গৌরব করার তেমন কিছুই নেই। তবে বার্লিন প্রাচীরের পতন এবং জার্মান জাতির একত্রীকরণ নিয়ে আমরা সবাই গর্বিত।’
৬৫ বছর আগের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানরা প্রায় সমগ্র ইউরোপ দখল করে নিয়েছিল। প্রায় ছয় কোটি মানুষের মৃত্যু এবং ইউরোপজুড়ে ধ্বংসলীলার চিহ্ন রেখে যুদ্ধে হেরে যায় হিটলারের নাৎসি বাহিনী তথা জার্মানি।
যুদ্ধে জার্মান জাতির পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে ১৯৪৫ সালে জার্মানি দুটি অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ব্যবস্থায় বিভক্ত হয়ে যায়। সমাজতান্ত্রিক আর পুঁজিবাদী ধারায় পরিচালিত হতে থাকে দুই দেশ, পূর্ব আর পশ্চিম জার্মানি।
আশির দশকের শেষে, পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে অধিকতর গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে সেই আন্দোলনের ঢেউ লাগে সাবেক পূর্ব জার্মানিতে। ১৯৮৯ সালের ৮ নভেম্বর পদত্যাগ করেন পূর্ব জার্মানির কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা। ভেঙে পড়ে পূর্ব জার্মানির সরকার। আর ৯ নভেম্বর ভেঙে যায় ২৮ বছর আগে বার্লিনকে বিভক্ত করে রাখা বার্লিন প্রাচীর। ২৮ বছর আগে গড়া যে প্রাচীর গোটা জার্মান জাতিকেই মানসিকভাবে দ্বিখণ্ডিত করে রেখেছিল, প্রাচীর ভাঙার পর আনন্দে বাঁধভাঙা হাজার হাজার পূর্ব আর পশ্চিম বার্লিনবাসী একে অপরকে আলিঙ্গন করেছিল। সেই সময় থেকেই জার্মানরা আবার বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল, তারা আবার এক হবে। পরের ঘটনাগুলো ঘটে দ্রুত। পূর্ব জার্মানির চ্যান্সেলর এরিখ হোনিকারের পদত্যাগের পর ক্ষমতায় আসেন এরিক ক্রেঞ্জ, পরে তাঁকেও সরে দাঁড়াতে হয়।
এরপর গঠিত হয় পূর্ব জার্মানির সংস্কারপন্থীদের নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক ধাঁচের সরকার। যার প্রধান হলেন সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত হনানস মদরোভ। এই সরকারের আওতায় অনুষ্ঠিত সার্বভৌম নির্বাচনে পশ্চিমের মতো পূর্বেও ক্ষমতায় আসেন ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটরা, চ্যান্সেলর হন লোথার ডে মিজিয়ার।
পূর্ব ও পশ্চিমে একই রাজনৈতিক মতাদর্শের সরকার থাকার কারণে ঐক্যবদ্ধ জার্মানি গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু বাদ সাধে যুদ্ধ-পরবর্তী ৪৫ বছর ধরে দুই জার্মানিতে অবস্থানরত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী মিত্রশক্তি (রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স)।
জার্মান দেশ এবং জাতির ওপর মিত্রশক্তির এই নিয়ন্ত্রণ থাকার কারণে পূর্ব আর পশ্চিম জার্মান সরকার মিত্র চার শক্তি, যা দুই প্লাস, চার আলোচনা নামে খ্যাত, পর্যায়ক্রমে আলোচনা চালাতে থাকে।
১৯৯০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মিত্রশক্তি ঐক্যবদ্ধ জার্মানি গঠনে তাদের সম্মতির কথা জানায়। এর পরই মূলত পূর্ব আর পশ্চিম জার্মান সরকার ঐক্য চুক্তির মূল সনদ বা আইনগত বিষয় নিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়ার দলিলপত্র চূড়ান্ত করে।
১৯৯০ সালের ৩ অক্টোবর বার্লিন প্রাচীরের কোল ঘেঁষে বা বার্লিন তোরণের পাশেই ঐতিহাসিক জার্মান সংসদ ভবনের সামনে খোলা মাঠে ঐক্য প্রক্রিয়ার বর্ণাঢ্য আয়োজন সম্পন্ন হয়। সম্পন্ন হয় নতুন করে জার্মান জাতির ভাগ্য গড়ার আকাঙ্ক্ষার।
গত ২০ বছরে ঐক্যবদ্ধ জার্মানিতে পূর্ব আর পশ্চিমের মধ্যে শতভাগ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ভারসাম্য না এলেও বিগত দুই দশকে সাবেক পূর্ব জার্মানির যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং বাসস্থানবিষয়ক খাতগুলোতে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। বেকার সমস্যার হার কমছে, নতুন করে শিল্প-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ পূর্বের নাগরিকদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার এবং জীবনযাত্রার মান আগের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
জার্মানির নতুন প্রজন্মের রাজনীতিকেরা গত ২০ বছরে ঐক্যবদ্ধ জার্মানির রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং সামাজিক ব্যবস্থাকে নতুন চৌহদ্দিতে নিয়ে এসেছেন এবং ইউরোপসহ বিশ্বের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বৃদ্ধি করেছেন—এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
সরাফ আহমেদ: প্রথম আলোর হ্যানোভার (জার্মানি) প্রতিনিধি।
যুদ্ধোত্তর দ্বিতীয় প্রজন্মের রাজনীতিক এবং সমাজের ৬২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি সম্প্রতি প্রকাশিত ‘জার্মান নিয়ে আমাদের ভাবনা’ (মাইনে ইডে ফুর ডয়েচল্যান্ড) বইটিতে দেশ নিয়ে তাঁদের ভাবনার কথা বলেছেন। এতে প্রতিধ্বনিত হয়েছে ভবিষ্যতে জার্মানির সমাজব্যবস্থা আর রাজনীতি।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুইডো ভেস্টারভোল লিখেছেন, ‘আমাদের রাজনীতির ও পররাষ্ট্রনীতির ফল হিসেবে বিশ্বে যুদ্ধোত্তর বিশ্বজুড়ে জার্মানির এখনকার মতো গ্রহণযোগ্যতা, আগে আর কোনো সময়ই ছিল না।’
বিরোধী পরিবেশবাদী সবুজ দলের সভাপতি তুর্কি বংশোদ্ভূত কেম ডডেমির লিখেছেন, জার্মানিতে অভিবাসীদের জার্মান সমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয় নিয়ে। বলেছেন, ‘কদিন আগে শেষ হয়ে যাওয়া বিশ্বকাপ ফুটবলে, জার্মান ফুটবল দলের দিকে তাকালেই ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়ে যাবে।’ উল্লেখ্য, জার্মান ফুটবল দলে এ মুহূর্তে সাতজন অভিবাসী খেলোয়াড় স্থান করে নিয়েছেন।
কোনো জাতির খোলনলচে সহসাই পাল্টানো অত সহজ নয়, তবে রাজনৈতিক দল বা রাজনীতিকদের গণতন্ত্রের প্রতি, অন্যান্য জাতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, সচেতনতা, দেশ জনগণ এবং বিশ্বকে নিয়ে ভাবনা—একটি দেশ ও জাতির ভাবমূর্তি অবশ্যই পাল্টাতে পারে। আর তার প্রতীক হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ জার্মানি।
২০০৯ সালে যখন বার্লিনে প্রাচীর পতনের ২০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠান হচ্ছিল, তখন সেই ঘটনার অনুঘটক, আরও দুই বিশ্ব রাজনীতিক মিখাইল গর্বাচেভ ও জর্জ বুশ সিনিয়রকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জার্মান জাতির ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রধান স্থপতি সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর হেলমুট কোহল বলেছিলেন, ‘জার্মান জাতির গৌরব করার তেমন কিছুই নেই। তবে বার্লিন প্রাচীরের পতন এবং জার্মান জাতির একত্রীকরণ নিয়ে আমরা সবাই গর্বিত।’
৬৫ বছর আগের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানরা প্রায় সমগ্র ইউরোপ দখল করে নিয়েছিল। প্রায় ছয় কোটি মানুষের মৃত্যু এবং ইউরোপজুড়ে ধ্বংসলীলার চিহ্ন রেখে যুদ্ধে হেরে যায় হিটলারের নাৎসি বাহিনী তথা জার্মানি।
যুদ্ধে জার্মান জাতির পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে ১৯৪৫ সালে জার্মানি দুটি অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ব্যবস্থায় বিভক্ত হয়ে যায়। সমাজতান্ত্রিক আর পুঁজিবাদী ধারায় পরিচালিত হতে থাকে দুই দেশ, পূর্ব আর পশ্চিম জার্মানি।
আশির দশকের শেষে, পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে অধিকতর গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে সেই আন্দোলনের ঢেউ লাগে সাবেক পূর্ব জার্মানিতে। ১৯৮৯ সালের ৮ নভেম্বর পদত্যাগ করেন পূর্ব জার্মানির কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা। ভেঙে পড়ে পূর্ব জার্মানির সরকার। আর ৯ নভেম্বর ভেঙে যায় ২৮ বছর আগে বার্লিনকে বিভক্ত করে রাখা বার্লিন প্রাচীর। ২৮ বছর আগে গড়া যে প্রাচীর গোটা জার্মান জাতিকেই মানসিকভাবে দ্বিখণ্ডিত করে রেখেছিল, প্রাচীর ভাঙার পর আনন্দে বাঁধভাঙা হাজার হাজার পূর্ব আর পশ্চিম বার্লিনবাসী একে অপরকে আলিঙ্গন করেছিল। সেই সময় থেকেই জার্মানরা আবার বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল, তারা আবার এক হবে। পরের ঘটনাগুলো ঘটে দ্রুত। পূর্ব জার্মানির চ্যান্সেলর এরিখ হোনিকারের পদত্যাগের পর ক্ষমতায় আসেন এরিক ক্রেঞ্জ, পরে তাঁকেও সরে দাঁড়াতে হয়।
এরপর গঠিত হয় পূর্ব জার্মানির সংস্কারপন্থীদের নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক ধাঁচের সরকার। যার প্রধান হলেন সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত হনানস মদরোভ। এই সরকারের আওতায় অনুষ্ঠিত সার্বভৌম নির্বাচনে পশ্চিমের মতো পূর্বেও ক্ষমতায় আসেন ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটরা, চ্যান্সেলর হন লোথার ডে মিজিয়ার।
পূর্ব ও পশ্চিমে একই রাজনৈতিক মতাদর্শের সরকার থাকার কারণে ঐক্যবদ্ধ জার্মানি গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু বাদ সাধে যুদ্ধ-পরবর্তী ৪৫ বছর ধরে দুই জার্মানিতে অবস্থানরত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী মিত্রশক্তি (রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স)।
জার্মান দেশ এবং জাতির ওপর মিত্রশক্তির এই নিয়ন্ত্রণ থাকার কারণে পূর্ব আর পশ্চিম জার্মান সরকার মিত্র চার শক্তি, যা দুই প্লাস, চার আলোচনা নামে খ্যাত, পর্যায়ক্রমে আলোচনা চালাতে থাকে।
১৯৯০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মিত্রশক্তি ঐক্যবদ্ধ জার্মানি গঠনে তাদের সম্মতির কথা জানায়। এর পরই মূলত পূর্ব আর পশ্চিম জার্মান সরকার ঐক্য চুক্তির মূল সনদ বা আইনগত বিষয় নিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়ার দলিলপত্র চূড়ান্ত করে।
১৯৯০ সালের ৩ অক্টোবর বার্লিন প্রাচীরের কোল ঘেঁষে বা বার্লিন তোরণের পাশেই ঐতিহাসিক জার্মান সংসদ ভবনের সামনে খোলা মাঠে ঐক্য প্রক্রিয়ার বর্ণাঢ্য আয়োজন সম্পন্ন হয়। সম্পন্ন হয় নতুন করে জার্মান জাতির ভাগ্য গড়ার আকাঙ্ক্ষার।
গত ২০ বছরে ঐক্যবদ্ধ জার্মানিতে পূর্ব আর পশ্চিমের মধ্যে শতভাগ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ভারসাম্য না এলেও বিগত দুই দশকে সাবেক পূর্ব জার্মানির যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং বাসস্থানবিষয়ক খাতগুলোতে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। বেকার সমস্যার হার কমছে, নতুন করে শিল্প-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ পূর্বের নাগরিকদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার এবং জীবনযাত্রার মান আগের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
জার্মানির নতুন প্রজন্মের রাজনীতিকেরা গত ২০ বছরে ঐক্যবদ্ধ জার্মানির রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং সামাজিক ব্যবস্থাকে নতুন চৌহদ্দিতে নিয়ে এসেছেন এবং ইউরোপসহ বিশ্বের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বৃদ্ধি করেছেন—এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
সরাফ আহমেদ: প্রথম আলোর হ্যানোভার (জার্মানি) প্রতিনিধি।
No comments