স্মরণ-শহীদ হেলেন: তিনি নেই, ঘাতকেরা আছে by আবু শরীফ
‘পুরনো প্রতিজ্ঞাটিকে নতুন করে ঝালাই করছি। সর্বহারার মুক্তি আন্দোলনের এই পটভূমিকায় সক্রিয় অংশ নিতেই হবে। প্রয়োজনে প্রত্যক্ষ বিপ্লব করতে হবে।’ স্বাধীনতার প্রাক্কালে নিজের ডায়েরিতে এই প্রত্যয় যিনি লিখে রেখেছিলেন, তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী লুৎফুন নাহার হেলেন।
তাঁর জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর, মাগুরায়। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
তাঁর বাবা ফজলুল হক, মা সফুরা খাতুনসহ পরিবারের সদস্যরা সবাই রাজনৈতিকভাবে প্রগতিশীল চিন্তাধারার মানুষ ছিলেন। তাঁর বাবা রাজনৈতিক জীবনে মাগুরার ন্যাপ ও কৃষক সমিতির গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ছিলেন।
ছাত্রজীবনেই হেলেন প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় নেত্রী ছিলেন। স্কুলজীবন থেকেই ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন ও স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি ফেস্টুন হাতে মিছিলের প্রথম সারিতে স্ল্লোগান দিতেন। মাগুরা কলেজে অধ্যয়নকালে ছাত্র সংসদের মহিলা শাখার সম্পাদিকা নির্বাচিত হন এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের মাগুরা মহকুমা শাখার সহ-সভানেত্রীর ভূমিকায় থেকে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বে দেন। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সরকার যখন বেতারে রবীন্দ্রসংগীত প্রচার নিষিদ্ধ করে, তখন হেলেন তাঁর ডায়েরিতে লিখেছিলেন, ‘বাঙালির ঐতিহ্যকে ভূলুণ্ঠিত করার জন্য আবার সরকারি মহল তৎপর হয়ে উঠেছে। এদের এ ধরনের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয় একুশে ফেব্রুয়ারির ঘটনাপঞ্জিকে। আজ এরা রবীন্দ্রসঙ্গীত বাদ দিচ্ছে, কাল এরা বলবে রবীন্দ্রসঙ্গীতই মুসলিম ‘ঐতিহ্যের’ অনুকূলে (?) নয়।’
স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পর হেলেন মাগুরা গার্লস হাইস্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। সে সময়ে দেশজুড়ে যে সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়, তার ঢেউ মাগুরাতেও এসে লাগে। ১৯৬৮-৬৯ সালে গণ-অভ্যুত্থানে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
হেলেনের সংগ্রামী জীবনের ধারাকে প্রগতিশীল রাজনৈতিক ধারায় বিকশিত করার ক্ষেত্রে তাঁর বড় ভাই মো. মাহফুজুল হক নিরো এবং তাঁর স্বামী আলী কদরের অনুপ্রেরণা ছিল সবচেয়ে বেশি। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত হেলেন কখনো মাগুরা শহরে বাবার বাড়িতে, আবার কখনো স্বামীর গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। মাগুরা শহরে তাঁর কাজ ছিল, শহরে রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনীর ভূমিকা ও তাদের কর্মসূচির সংবাদ জেনে তা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পাঠানো।
তাঁদের পুরো পরিবার যখন মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে, তখন হেলেন ও পরিবারের অন্য সদস্যরা স্বাধীনতাবিরোধীদের (রাজাকার, আলবদর) মূল লক্ষ্যস্থলে পরিণত হন। ইতিমধ্যে মুক্তিবাহিনী মাগুরার অন্তর্গত মহম্মদপুর থানা সদরে অবস্থিত রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ এবং বহুসংখ্যক রাজাকারকে হত্যা করে। তারা থানা আক্রমণ ও দখল করে তাদের যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র কেড়ে নিতে সক্ষম হয়। মহম্মদপুর থানা দখলের পর এলাকাটি মুক্ত হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের বাহিনীর উপযুক্ত ট্রেনিংয়ের জন্য মহম্মদপুরের দক্ষিণাঞ্চলে একটি ঘাঁটি তৈরি করেন।
ধীরে ধীরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজের চাপ বাড়ায় হেলেন মাগুরা শহর ছেড়ে মহম্মদপুর এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার জন্য চলে আসেন। তিনি সেখানে ভূমিহীন গরিব কৃষক পরিবারের মেয়েদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত করা, মুক্তিযোদ্ধাদের রাজনৈতিক ও সামরিক বইপত্র রক্ষার ব্যবস্থা করা এবং মুক্তিবাহিনী কর্মীদের খাওয়া-দাওয়ার দেখাশোনা এবং অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-যত্নে সাহায্য ও সহযোগিতা করার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন।
তাঁর মৃত্যুর ঘটনা ছিল করুণ ও মর্মান্তিক। অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে মহম্মদপুর থানার এক গ্রামে অবস্থানকালে রাজাকার ও ঘাতক দালালদের গুপ্তচরের সহায়তায় শিশুপুত্র দিলীরসহ রাজাকারের হাতে ধরা পড়লে তাঁকে সরাসরি মাগুরা শহরে পাকিস্তানি বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোপর্দ করা হয়। হেলেনের এই দুঃসংবাদে তাঁর বৃদ্ধ বাবা ও কতিপয় আত্মীয়স্বজন দুগ্ধপোষ্য শিশুর মা হেলেনের মুক্তির জন্য শত অনুরোধ করা সত্ত্বেও মাগুরার জামায়াতপন্থী ঘাতক দালালেরা তাঁর মুক্তির ব্যাপারে বাধা সৃষ্টি করে। এ ছাড়া তারা পাকিস্তানি বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানায় যে হেলেন মাগুরার বামপন্থী নেতা মাহফুজুর হকের বোন এবং মহম্মদপুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের বাহিনী, প্রধান বামপন্থী নেতা আলী কদরের স্ত্রী। সুতরাং তাঁর মুক্তির প্রশ্নই ওঠে না। তাই চরম সাম্প্রদায়িক বাংলার স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক-দালালদের ইচ্ছাই কার্যকর হয়। হেলেনের মৃত্যু হয় ১৯৭১ সালের ৫ অক্টোবর রাতের বেলায়। ওই রাতেই তারা হেলেনের শিশুপুত্রকে তার মায়ের কোল থেকে বিচ্ছিন্ন করে অন্যত্র (নানাবাড়িতে) পাঠিয়ে দিয়ে তাকে নির্মম শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে। অতঃপর নরপিশাচেরা হেলেনের মৃতদেহের দুই হাত জিপের সঙ্গে বেঁধে টেনে নিয়ে নবগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়। তাঁর মৃতদেহ আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
যাঁদের রক্ত ও আত্মত্যাগ একাত্তরের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ সফল করেছিল, তাঁদের একজন শহীদ লুৎফুন নাহার হেলেন। স্থানীয় রাজাকার বাহিনীর যে সদস্যরা তাঁকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল, তারা অচেনা কেউ নয়। সেই ঘাতক দলের একজন কয়েক বছর আগে মারা যান, মাগুরার জনগণ তাঁর প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে বলেছিল, ‘এই মাটি ঘাতকের জন্য নয়।’ কিন্তু অন্য ঘাতকেরা এখনো বেঁচে আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সরকার বিশেষ আদালত গঠন করেছে। বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধাপরাধের ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু বিশেষ আদালত শহীদ হেলেনের ঘাতকদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারবে কি?
তাঁর বাবা ফজলুল হক, মা সফুরা খাতুনসহ পরিবারের সদস্যরা সবাই রাজনৈতিকভাবে প্রগতিশীল চিন্তাধারার মানুষ ছিলেন। তাঁর বাবা রাজনৈতিক জীবনে মাগুরার ন্যাপ ও কৃষক সমিতির গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ছিলেন।
ছাত্রজীবনেই হেলেন প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় নেত্রী ছিলেন। স্কুলজীবন থেকেই ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন ও স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি ফেস্টুন হাতে মিছিলের প্রথম সারিতে স্ল্লোগান দিতেন। মাগুরা কলেজে অধ্যয়নকালে ছাত্র সংসদের মহিলা শাখার সম্পাদিকা নির্বাচিত হন এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের মাগুরা মহকুমা শাখার সহ-সভানেত্রীর ভূমিকায় থেকে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বে দেন। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সরকার যখন বেতারে রবীন্দ্রসংগীত প্রচার নিষিদ্ধ করে, তখন হেলেন তাঁর ডায়েরিতে লিখেছিলেন, ‘বাঙালির ঐতিহ্যকে ভূলুণ্ঠিত করার জন্য আবার সরকারি মহল তৎপর হয়ে উঠেছে। এদের এ ধরনের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয় একুশে ফেব্রুয়ারির ঘটনাপঞ্জিকে। আজ এরা রবীন্দ্রসঙ্গীত বাদ দিচ্ছে, কাল এরা বলবে রবীন্দ্রসঙ্গীতই মুসলিম ‘ঐতিহ্যের’ অনুকূলে (?) নয়।’
স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পর হেলেন মাগুরা গার্লস হাইস্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। সে সময়ে দেশজুড়ে যে সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়, তার ঢেউ মাগুরাতেও এসে লাগে। ১৯৬৮-৬৯ সালে গণ-অভ্যুত্থানে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
হেলেনের সংগ্রামী জীবনের ধারাকে প্রগতিশীল রাজনৈতিক ধারায় বিকশিত করার ক্ষেত্রে তাঁর বড় ভাই মো. মাহফুজুল হক নিরো এবং তাঁর স্বামী আলী কদরের অনুপ্রেরণা ছিল সবচেয়ে বেশি। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত হেলেন কখনো মাগুরা শহরে বাবার বাড়িতে, আবার কখনো স্বামীর গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। মাগুরা শহরে তাঁর কাজ ছিল, শহরে রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনীর ভূমিকা ও তাদের কর্মসূচির সংবাদ জেনে তা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পাঠানো।
তাঁদের পুরো পরিবার যখন মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে, তখন হেলেন ও পরিবারের অন্য সদস্যরা স্বাধীনতাবিরোধীদের (রাজাকার, আলবদর) মূল লক্ষ্যস্থলে পরিণত হন। ইতিমধ্যে মুক্তিবাহিনী মাগুরার অন্তর্গত মহম্মদপুর থানা সদরে অবস্থিত রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ এবং বহুসংখ্যক রাজাকারকে হত্যা করে। তারা থানা আক্রমণ ও দখল করে তাদের যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র কেড়ে নিতে সক্ষম হয়। মহম্মদপুর থানা দখলের পর এলাকাটি মুক্ত হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের বাহিনীর উপযুক্ত ট্রেনিংয়ের জন্য মহম্মদপুরের দক্ষিণাঞ্চলে একটি ঘাঁটি তৈরি করেন।
ধীরে ধীরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজের চাপ বাড়ায় হেলেন মাগুরা শহর ছেড়ে মহম্মদপুর এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার জন্য চলে আসেন। তিনি সেখানে ভূমিহীন গরিব কৃষক পরিবারের মেয়েদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত করা, মুক্তিযোদ্ধাদের রাজনৈতিক ও সামরিক বইপত্র রক্ষার ব্যবস্থা করা এবং মুক্তিবাহিনী কর্মীদের খাওয়া-দাওয়ার দেখাশোনা এবং অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-যত্নে সাহায্য ও সহযোগিতা করার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন।
তাঁর মৃত্যুর ঘটনা ছিল করুণ ও মর্মান্তিক। অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে মহম্মদপুর থানার এক গ্রামে অবস্থানকালে রাজাকার ও ঘাতক দালালদের গুপ্তচরের সহায়তায় শিশুপুত্র দিলীরসহ রাজাকারের হাতে ধরা পড়লে তাঁকে সরাসরি মাগুরা শহরে পাকিস্তানি বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোপর্দ করা হয়। হেলেনের এই দুঃসংবাদে তাঁর বৃদ্ধ বাবা ও কতিপয় আত্মীয়স্বজন দুগ্ধপোষ্য শিশুর মা হেলেনের মুক্তির জন্য শত অনুরোধ করা সত্ত্বেও মাগুরার জামায়াতপন্থী ঘাতক দালালেরা তাঁর মুক্তির ব্যাপারে বাধা সৃষ্টি করে। এ ছাড়া তারা পাকিস্তানি বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানায় যে হেলেন মাগুরার বামপন্থী নেতা মাহফুজুর হকের বোন এবং মহম্মদপুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের বাহিনী, প্রধান বামপন্থী নেতা আলী কদরের স্ত্রী। সুতরাং তাঁর মুক্তির প্রশ্নই ওঠে না। তাই চরম সাম্প্রদায়িক বাংলার স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক-দালালদের ইচ্ছাই কার্যকর হয়। হেলেনের মৃত্যু হয় ১৯৭১ সালের ৫ অক্টোবর রাতের বেলায়। ওই রাতেই তারা হেলেনের শিশুপুত্রকে তার মায়ের কোল থেকে বিচ্ছিন্ন করে অন্যত্র (নানাবাড়িতে) পাঠিয়ে দিয়ে তাকে নির্মম শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে। অতঃপর নরপিশাচেরা হেলেনের মৃতদেহের দুই হাত জিপের সঙ্গে বেঁধে টেনে নিয়ে নবগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়। তাঁর মৃতদেহ আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
যাঁদের রক্ত ও আত্মত্যাগ একাত্তরের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ সফল করেছিল, তাঁদের একজন শহীদ লুৎফুন নাহার হেলেন। স্থানীয় রাজাকার বাহিনীর যে সদস্যরা তাঁকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল, তারা অচেনা কেউ নয়। সেই ঘাতক দলের একজন কয়েক বছর আগে মারা যান, মাগুরার জনগণ তাঁর প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে বলেছিল, ‘এই মাটি ঘাতকের জন্য নয়।’ কিন্তু অন্য ঘাতকেরা এখনো বেঁচে আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সরকার বিশেষ আদালত গঠন করেছে। বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধাপরাধের ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু বিশেষ আদালত শহীদ হেলেনের ঘাতকদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারবে কি?
No comments