শিশুমনের অভিযোগ ও চাওয়াগুলো মোটেই উপেক্ষার নয়-শিশুদের প্রতীকী সংসদের সুপারিশ
শিশুদের ভালোমন্দ সাধারণত বড়রাই ঠিক করেন। তবে শিশুরাও তাদের পছন্দ-অপছন্দ আর সমস্যাগুলো ভালোভাবে বুঝতে ও চিহ্নিত করতে পারে, তা জানা গেল শিশুদের প্রতীকী সংসদের অধিবেশনে অংশ নেওয়া শিশুদের কথায়।
তারা শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকদের মুঠোফোন ব্যবহার বন্ধসহ এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছে, যার দিকে শিক্ষক-অভিভাবকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর আমলে নেওয়া দরকার। শিশুদের প্রতীকী সংসদ অধিবেশন প্রমাণ করল, শিশুদের বুদ্ধি ও বিবেচনা কোনো অংশেই কম দায়িত্বশীল নয়। তাদের সংবেদনশীল মনে অনেক কথার জন্ম হয়, যা নিয়মিতভাবে বড়দের ‘কানে’ পৌঁছানো প্রয়োজন।
বিদ্যালয়গামী শিশুদের দিনের বড় একটা অংশকেই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ও শ্রেণীকক্ষে কাটাতে হয়। শিক্ষা গ্রহণকালে বছরের পর বছর তারা শ্রেণীকক্ষের পরিবেশে শেখে এবং বড় হয়। বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথের অনেক কিছুও তাদের অনুভূতিশীলতায় দাগ কাটে। সব মিলিয়ে শিশুদের সুষ্ঠু ও সুন্দর বিকাশের স্বার্থে বিদ্যালয়ের পরিবেশ, শিক্ষকদের আচরণ প্রভৃতি বিষয়কে হেলাফেলা করার সুযোগ কম। সেভ দ্য চিলড্রেন অস্ট্রেলিয়া আয়োজিত শিশু সংসদের প্রতীকী অধিবেশনে শিশুরা সেই দাবিটাই তুলেছে। তবে ইতিবাচক ব্যাপার যে সেই অধিবেশনের সপ্তম বৈঠকের বিষয় ছিল ‘শিক্ষা ও সুশাসন’ এবং তাতে যোগ দেন শিক্ষামন্ত্রী স্বয়ং। শিশুরা সেখানে শিক্ষাকে সংবিধানের মৌলিক অধিকার হিসেবে নির্দিষ্ট করার পাশাপাশি শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকদের মুঠোফোন ব্যবহার ও স্কুলের সামনে সিডি-ভিসিডি বিক্রি বন্ধ এবং বিশুদ্ধ পানি ও ছেলেমেয়েদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা করার দাবি করে। নিশ্চয়ই শিশুদের এসব দাবির পেছনে কষ্ট পাওয়ার, ভালো না লাগার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিশেষত, অসৎ উদ্দেশ্যে কিছু কিছু শিক্ষকের মুঠোফোনে শিশুদের ছবি তোলাসহ কিছু আপত্তিকর আচরণ বিষয়ে আরও সজাগ হওয়া দরকার। অভিভাবকসহ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে দায়িত্ব রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী তাদের এসব অভিযোগের যথাযথ বিহিত করার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি বিদ্যালয় পর্যায়ে মাসিক ভিত্তিতে শিশুদের মনের কথা শোনার রীতিও চালু করা যেতে পারে। শিশুদের মানসিক, সাংস্কৃতিক, শারীরিক বিকাশ ও নিরাপত্তার বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা প্রশাসন ও শিক্ষকসমাজের মধ্যে গভীরভাবে চিন্তাভাবনার যে তাগিদ শিশুরা জানিয়েছে, তাতে পূর্ণভাবে সাড়া দেওয়া সবার কর্তব্য।
বিদ্যালয়গামী শিশুদের দিনের বড় একটা অংশকেই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ও শ্রেণীকক্ষে কাটাতে হয়। শিক্ষা গ্রহণকালে বছরের পর বছর তারা শ্রেণীকক্ষের পরিবেশে শেখে এবং বড় হয়। বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথের অনেক কিছুও তাদের অনুভূতিশীলতায় দাগ কাটে। সব মিলিয়ে শিশুদের সুষ্ঠু ও সুন্দর বিকাশের স্বার্থে বিদ্যালয়ের পরিবেশ, শিক্ষকদের আচরণ প্রভৃতি বিষয়কে হেলাফেলা করার সুযোগ কম। সেভ দ্য চিলড্রেন অস্ট্রেলিয়া আয়োজিত শিশু সংসদের প্রতীকী অধিবেশনে শিশুরা সেই দাবিটাই তুলেছে। তবে ইতিবাচক ব্যাপার যে সেই অধিবেশনের সপ্তম বৈঠকের বিষয় ছিল ‘শিক্ষা ও সুশাসন’ এবং তাতে যোগ দেন শিক্ষামন্ত্রী স্বয়ং। শিশুরা সেখানে শিক্ষাকে সংবিধানের মৌলিক অধিকার হিসেবে নির্দিষ্ট করার পাশাপাশি শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকদের মুঠোফোন ব্যবহার ও স্কুলের সামনে সিডি-ভিসিডি বিক্রি বন্ধ এবং বিশুদ্ধ পানি ও ছেলেমেয়েদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা করার দাবি করে। নিশ্চয়ই শিশুদের এসব দাবির পেছনে কষ্ট পাওয়ার, ভালো না লাগার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিশেষত, অসৎ উদ্দেশ্যে কিছু কিছু শিক্ষকের মুঠোফোনে শিশুদের ছবি তোলাসহ কিছু আপত্তিকর আচরণ বিষয়ে আরও সজাগ হওয়া দরকার। অভিভাবকসহ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে দায়িত্ব রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী তাদের এসব অভিযোগের যথাযথ বিহিত করার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি বিদ্যালয় পর্যায়ে মাসিক ভিত্তিতে শিশুদের মনের কথা শোনার রীতিও চালু করা যেতে পারে। শিশুদের মানসিক, সাংস্কৃতিক, শারীরিক বিকাশ ও নিরাপত্তার বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা প্রশাসন ও শিক্ষকসমাজের মধ্যে গভীরভাবে চিন্তাভাবনার যে তাগিদ শিশুরা জানিয়েছে, তাতে পূর্ণভাবে সাড়া দেওয়া সবার কর্তব্য।
No comments