যুদ্ধাপরাধের সুষ্ঠু বিচারের নিশ্চয়তা-সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্মের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে সমসাময়িক বিশ্বের একটি অন্যতম কর্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। একসময় মনে করা হতো, শুধু যুদ্ধ ও আঞ্চলিক সংঘাতই বুঝি শান্তির শত্রু।
এটা এখনো সত্য, কিন্তু শান্তির পথে আরও অনেক বাধা এখন বড় হয়ে উঠছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে জলবায়ু বিপর্যয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য বাস্তব হুমকি হয়ে উঠেছে। তা ছাড়া গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষা, দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাস প্রভৃতি বিষয়ও শান্তিপূর্ণ বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একালের আরেকটি বড় সমস্যা সন্ত্রাসবাদ। জাতিসংঘ এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশ এই উদ্যোগে সক্রিয় সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভূমিকা তুলে ধরেছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেছেন। তিনি বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে বিশ্বে বাংলা ভাষাভাষী প্রায় ৩০ কোটি মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ গত বছর এই মর্মে জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর আগে ইউনেসকোর স্বীকৃতির ভিত্তিতে একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। এরই আলোকে বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে গ্রহণ করা যায়।
বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ সেনা প্রেরণকারী দেশ। গত ২২ বছরে বাংলাদেশ ২৪টি দেশে ৩২টি মিশনে ৯৭ হাজার সেনা পাঠিয়েছে। এসব শান্তি মিশনে ৯২ জন বীর সেনাসদস্য প্রাণ দিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংঘাত নিরসন ও শান্তি রক্ষায় জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের এই অবদান প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে তুলে ধরে বিশ্বের দরবারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর করলেন।
তবে একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বিশ্ববাসীকে অবহিত করার বিষয়টি ছিল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মতো গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতসংক্রান্ত রোম ঘোষণার সঙ্গে সম্পূর্ণ সংগতিপূর্ণ বলে তিনি তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন।
যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। সুবিদিত যে, এই বিচার উদ্যোগের বিরুদ্ধে দেশে ও বিদেশে নানা বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালানো হয়। বিচার আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এটা দৃঢ়ভাবে তুলে ধরার প্রয়োজন ছিল যে এই বিচার প্রকৃত অর্থেই আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। কাউকে হয়রানির কোনো সুযোগ এখানে নেই। প্রধানমন্ত্রী সে কথাটাই জাতিসংঘের সদস্যদের অবহিত করেছেন।
দেশবাসী চায়, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার এমনভাবে সুসম্পন্ন হোক, যেন দেশে বা বিদেশে এই বিচারের আইনগত গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ না থাকে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেছেন। তিনি বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে বিশ্বে বাংলা ভাষাভাষী প্রায় ৩০ কোটি মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ গত বছর এই মর্মে জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর আগে ইউনেসকোর স্বীকৃতির ভিত্তিতে একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। এরই আলোকে বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে গ্রহণ করা যায়।
বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ সেনা প্রেরণকারী দেশ। গত ২২ বছরে বাংলাদেশ ২৪টি দেশে ৩২টি মিশনে ৯৭ হাজার সেনা পাঠিয়েছে। এসব শান্তি মিশনে ৯২ জন বীর সেনাসদস্য প্রাণ দিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংঘাত নিরসন ও শান্তি রক্ষায় জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের এই অবদান প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে তুলে ধরে বিশ্বের দরবারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর করলেন।
তবে একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বিশ্ববাসীকে অবহিত করার বিষয়টি ছিল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মতো গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতসংক্রান্ত রোম ঘোষণার সঙ্গে সম্পূর্ণ সংগতিপূর্ণ বলে তিনি তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন।
যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। সুবিদিত যে, এই বিচার উদ্যোগের বিরুদ্ধে দেশে ও বিদেশে নানা বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালানো হয়। বিচার আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এটা দৃঢ়ভাবে তুলে ধরার প্রয়োজন ছিল যে এই বিচার প্রকৃত অর্থেই আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। কাউকে হয়রানির কোনো সুযোগ এখানে নেই। প্রধানমন্ত্রী সে কথাটাই জাতিসংঘের সদস্যদের অবহিত করেছেন।
দেশবাসী চায়, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার এমনভাবে সুসম্পন্ন হোক, যেন দেশে বা বিদেশে এই বিচারের আইনগত গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ না থাকে।
No comments