সিসিমপুর-না দেখেও বলতে পারে হালুম
টুকটুকি, শিকু ও হালুমকে নিয়ে সিসিমপুরের গল্প। সঙ্গে আছে আরও অনেকেই। সবাই মিলে নানা কাণ্ড ঘটায় এখানে। যা জানতে হলেপড়তে হবে। ‘শিকুর বলতে পারো’ অনুষ্ঠানে উপস্থাপক শিকু ও আজকের অতিথি হালুম প্রস্তুত। হালুমের চোখ বাঁধা। শিকু দর্শকদের উদ্দেশে বলল, ‘হালুমের সামনে একটা করে জিনিস আসবে।
হালুমকে চোখে না দেখে বলতে হবে জিনিসটি কী! হালুম, তুমি প্রস্তুত?’
হালুম বলল, ‘হ্যাঁ, প্রস্তুত।’
শিকু বোতামে চাপ দিল। সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালুমের সামনে একটা জিনিস চলে এল। হালুম হাত দিয়ে নেড়েচেড়ে দেখল জিনিসটা খসখসে, সারা গা চাকা চাকা।
হালুম বলল, ‘মনে হচ্ছে, এটা একটা ফল।’
শিকু বলল, ‘হ্যাঁ, তোমার অনুমান ঠিক।’
হালুম নেড়েচেড়ে দেখল, ফলটার মাথায় ঝুঁটি। হালুম হেসে বলল, ‘বুঝেছি, এটা আনারস!’
শিকু বলল, ‘ঠিক বলেছ, হালুম! এটা সত্যিই একটা আনারস। হালুম, আসছে আরেকটি জিনিস। চোখে না দেখে বলতে হবে, জিনিসটি কী!’
শিকু বোতামে চাপ দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালুমের সামনে আরেকটা জিনিস এল।
হালুম হাতে নেড়েচেড়ে বলল, ‘এটার দুদিকে দুটি কাঠি! নিচের দিকটা বাটির মতো! মাঝখানে একটা তার।’
হালুম আঙুল দিয়ে তারে টোকা দিল। সঙ্গে সঙ্গে টুংটাং টুংটাং করে বেজে উঠল। হালুম হেসে বলল, ‘হাত দিয়ে স্পর্শ করে আর শব্দ শুনে মনে হচ্ছে, এটা একতারা।’
শিকু বলল, ‘হ্যাঁ, এবারেও তুমি ঠিক বলেছ! এটা একতারা। একতারা একটা বাদ্যযন্ত্র। আসছে আরেকটা জিনিস। না দেখে তোমাকে বলতে হবে, জিনিসটি কী!’
শিকু বোতামে চাপ দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালুমের সামনে আসে আরেকটা জিনিস। শিকু কিছু বলার আগেই হালুম চেঁচিয়ে বলল, ‘শিকু, এটা হাত দিয়ে স্পর্শ করতে হবে না, কান দিয়ে শুনতেও হবে না। আমি ঘ্রাণ শুঁকেই বুঝতে পারছি, এটা মাছভাজা। আমার প্রিয় মাছভাজা।’
শিকু খুশিতে হাততালি দিয়ে বলল, ‘একদম ঠিক বলেছ, হালুম। এটা মাছভাজা। আর মাছভাজাটা তোমার জন্য উপহার!’
হালুম খপ করে মাছভাজাটা হাতে নিয়ে কড়মড় করে খাওয়া শুরু করল।
হালুম বলল, ‘হ্যাঁ, প্রস্তুত।’
শিকু বোতামে চাপ দিল। সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালুমের সামনে একটা জিনিস চলে এল। হালুম হাত দিয়ে নেড়েচেড়ে দেখল জিনিসটা খসখসে, সারা গা চাকা চাকা।
হালুম বলল, ‘মনে হচ্ছে, এটা একটা ফল।’
শিকু বলল, ‘হ্যাঁ, তোমার অনুমান ঠিক।’
হালুম নেড়েচেড়ে দেখল, ফলটার মাথায় ঝুঁটি। হালুম হেসে বলল, ‘বুঝেছি, এটা আনারস!’
শিকু বলল, ‘ঠিক বলেছ, হালুম! এটা সত্যিই একটা আনারস। হালুম, আসছে আরেকটি জিনিস। চোখে না দেখে বলতে হবে, জিনিসটি কী!’
শিকু বোতামে চাপ দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালুমের সামনে আরেকটা জিনিস এল।
হালুম হাতে নেড়েচেড়ে বলল, ‘এটার দুদিকে দুটি কাঠি! নিচের দিকটা বাটির মতো! মাঝখানে একটা তার।’
হালুম আঙুল দিয়ে তারে টোকা দিল। সঙ্গে সঙ্গে টুংটাং টুংটাং করে বেজে উঠল। হালুম হেসে বলল, ‘হাত দিয়ে স্পর্শ করে আর শব্দ শুনে মনে হচ্ছে, এটা একতারা।’
শিকু বলল, ‘হ্যাঁ, এবারেও তুমি ঠিক বলেছ! এটা একতারা। একতারা একটা বাদ্যযন্ত্র। আসছে আরেকটা জিনিস। না দেখে তোমাকে বলতে হবে, জিনিসটি কী!’
শিকু বোতামে চাপ দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালুমের সামনে আসে আরেকটা জিনিস। শিকু কিছু বলার আগেই হালুম চেঁচিয়ে বলল, ‘শিকু, এটা হাত দিয়ে স্পর্শ করতে হবে না, কান দিয়ে শুনতেও হবে না। আমি ঘ্রাণ শুঁকেই বুঝতে পারছি, এটা মাছভাজা। আমার প্রিয় মাছভাজা।’
শিকু খুশিতে হাততালি দিয়ে বলল, ‘একদম ঠিক বলেছ, হালুম। এটা মাছভাজা। আর মাছভাজাটা তোমার জন্য উপহার!’
হালুম খপ করে মাছভাজাটা হাতে নিয়ে কড়মড় করে খাওয়া শুরু করল।
No comments