গণমাধ্যম-বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিটিভির সংবাদ by মুস্তাফিজুর রহমান
পত্রিকার মাধ্যমে জানলাম, তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে স্যাটেলাইট চ্যানেলে পাঠানো ১৬ সেপ্টেম্বরের এক ফ্যাক্স বার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) কর্তৃক প্রচারিত দুটি জাতীয় সংবাদ বেসরকারি মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেলে বিনা মূল্যে প্রচারের শর্ত থাকলেও ইদানীং লক্ষ করা যাচ্ছে, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ওই শর্ত যথাযথভাবে পালন করছে না।
বার্তায় এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক অবিলম্বে বিটিভির দুপুর দুইটা ও রাত আটটার বাংলা সংবাদ প্রচারের জন্য চ্যানেলগুলোকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
এই বার্তাটিতে আতঙ্কিত বা ভীত হওয়ার তেমন কোনো কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ বিটিভির সংবাদ প্রচারের এই নির্দেশনাটি অনেক আগেই ছিল। বিটিভির সংবাদ প্রচারের এই শর্ত মেনেই স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো তাদের নিজস্ব অনুষ্ঠান ও সংবাদ প্রচার করে আসছিল। তবে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মে এই নীতিমালা শিথিল করে সংবাদ প্রচারের বাধ্যবাধকতাটি উঠিয়ে দেওয়া হয়। এখন প্রশ্ন হলো, নতুন করে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে যদি বিটিভির উল্লিখিত দুটি সংবাদ আবার প্রচার করা শুরু হয়, তাহলে কী লাভ আর কী-ই বা ক্ষতি। ফ্যাক্স বার্তা থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার, তথ্য মন্ত্রণালয় চাইছে দেশের আপামর জনগণ বিটিভির সংবাদ দেখুক। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীর এ যুগে কোনো দর্শক কিংবা পাঠককে জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া কি সম্ভব?
বর্তমানে বাংলাদেশে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা প্রায় ৩৫টি। সারা দেশে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি। আর বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ড বাদ দিয়ে আরও রয়েছে ১১টি স্যাটেলাইট চ্যানেল। সাধারণ পাঠকেরা যখন বাড়িতে একটি বা দুটি সংবাদপত্র রাখেন, তখন তা নির্বাচন করার সময় পত্রিকাটির গুণগত মানের সঙ্গে আরও যে বিষয়টি অন্যতম বিবেচ্য হিসেবে কাজ করে, তা হচ্ছে পাঠকের ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি।
টেলিভিশন চ্যানেল নির্বাচনের সময় নিজস্ব পছন্দের এই বিষয়টি অত্যন্ত জোরেশোরে কাজ করে, বিশেষ করে সংবাদ প্রচারের সময়। বলার অপেক্ষা রাখে না, আমাদের দেশের স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো যার যা আদর্শ অনুযায়ী বা কর্তার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে সংবাদ, অনুষ্ঠান ও টক শো প্রচার করে থাকে, তা যতই নিরপেক্ষতার ছদ্মাবরণে থাকুক না কেন। বিগত সরকার কিংবা বর্তমান সরকার প্রায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনায় তাঁদেরই সম্প্রচার লাইসেন্স দিয়েছে, যাঁরা তাঁদের ঘনিষ্ঠ। সে কারণে দর্শকদের মধ্যেও একটি বিভাজন লক্ষ করা যায়। যাঁরা বর্তমান সরকারের সাফল্যগাথা শুনতে বা দেখতে আগ্রহী, তাঁরা বিটিভি ছাড়াও সরকারদলীয় মতাদর্শের চ্যানেলগুলোর দিকে ঝুঁকে পড়েন। অন্যদিকে যাঁরা বিরোধীদলীয় সমর্থক, তাঁরা তাঁদের মতাদর্শের চ্যানেলগুলো টিউন করেন।
কিন্তু মুশকিল হলো বেচারা দর্শকের। তার একমাত্র ভরসা তিন-চার ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও দেড়/দুই ইঞ্চি প্রশস্ত একটি বস্তু (এসওএস), যার নাম রিমোট কন্ট্রোল। আজকাল প্রায় প্রতিটি টিভির সঙ্গে এই যন্ত্রটি থাকে। যাঁরা টিভি চ্যানেলে অনুষ্ঠান দেখে থাকেন, তাঁরা প্রায় প্রতি মুহূর্তেই তাঁদের পছন্দের অনুষ্ঠানমালা খুঁজে থাকেন এর সাহায্যে। এমনকি এই ছোট্ট যন্ত্রটির সাহায্যে আমি অনেককে দেখেছি অনুষ্ঠানের মাঝখানের বিজ্ঞাপন বিরতির সময় চ্যানেল বদলিয়ে অন্য চ্যানেলে গিয়ে কিছু একটা দেখে পুনরায় ওই চ্যানেলে ফিরে আসতে, যদি তাঁর ওই অনুষ্ঠানটি ভালো লাগে। আর যদি বিজ্ঞাপন বিরতির আগের অনুষ্ঠানটির চেয়েও পছন্দনীয় কোনো অনুষ্ঠান তিনি চ্যানেল বদলাতে গিয়ে পেয়ে যান, তাহলে হয়তো আগের অনুষ্ঠানটি দেখা অসম্পূর্ণ রেখেই নতুন খুঁজে পাওয়া অনুষ্ঠানটি দেখতে শুরু করে দেন।
বিটিভির সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রেও তা-ই। যাঁরা বিটিভির সংবাদ দেখবেন, তাঁদের চ্যানেলে চ্যানেলে প্রচার করে দেখানোর প্রয়োজন নেই। আর যাঁরা দেখবেন না, তাঁদের সব কটি চ্যানেলে একই সংবাদ প্রচার করেও দেখানো সম্ভব নয়। তবে এখানে প্রসঙ্গক্রমে এসে যায় নীতিমালার বিষয়টি। বেসরকারি টেলিভিশনের জন্য একটি নীতিমালা জরুরিভিত্তিতে প্রণয়ন করা উচিত। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিগত ১৯৯৮ ও ২০০৮ সালে যে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তা বর্তমান কারিগরি উৎকর্ষের কথা বিবেচনায় রেখে আবারও নতুন করে তৈরি করা বাঞ্ছনীয়। এ প্রসঙ্গে বিটিভির কথাও বলা যেতে পারে। কবে, কখন বিটিভির নীতিমালা তৈরি করা হয়েছিল, তা এখন বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে। তাই বিটিভির জন্য একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা করা প্রয়োজন। তথ্য মন্ত্রণালয় এই বিষয়টিও ভেবে দেখতে পারে।
তথ্য মন্ত্রণালয় যদি বিটিভির সংবাদ বাংলাদেশি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে প্রচারের নির্দেশ অব্যাহত রাখে, বিশেষ করে রাত আটটার প্রাইম টাইমে, তাহলে হাতে গোনা দু-একটি চ্যানেল বাদ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে অধিকাংশ চ্যানেল। আমি নিজে একটি চ্যানেলে প্রধান নির্বাহী থাকাকালে দেখেছি, কী প্রাণান্তকর চেষ্টা করে বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের কর্মীদের প্রাইম টাইমে এক মিনিট বিজ্ঞাপন সময় বিক্রি করতে হয় সামান্য অর্থের বিনিময়ে। এখন যদি এই প্রাইম টাইম অর্থাৎ রাত আটটা থেকে আটটা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চ্যানেল কর্তৃপক্ষের কাছে না থাকে, তাহলে অবশ্যই টিভি চ্যানেলগুলো একটি অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়বে।
যতক্ষণ দর্শককের হাতে রিমোট কন্ট্রোল আছে, ততক্ষণ কোনো কিছুই জোর করে দেখানো সম্ভব নয়। এই ছোট্ট যন্ত্রটির সাহায্যে আপনি বিশ্ব পরিভ্রমণ করতে পারেন মুহূর্তেই। তাই এখন দর্শকই ঠিক করবে, সে কী দেখবে। তাকে বাধ্য করে কোনো অনুষ্ঠান কিংবা সংবাদ দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।
পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাই, বর্তমানে একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তিগত চরম উৎকর্ষের সময় এ ধরনের সিদ্ধান্ত সত্যিই অর্থহীন। তথ্য মন্ত্রণালয় তার ফ্যাক্স বার্তায় পাঠানো বিটিভির সংবাদ সব বাংলাদেশি স্যাটেলাইট টিভিতে প্রচারের নির্দেশটি পুনর্বিবেচনার অবকাশ রাখে।
মুস্তাফিজুর রহমান: চলচ্চিত্রনির্মাতা, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মহাপরিচালক।
mustafizz_rahman@yahoo.com
এই বার্তাটিতে আতঙ্কিত বা ভীত হওয়ার তেমন কোনো কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ বিটিভির সংবাদ প্রচারের এই নির্দেশনাটি অনেক আগেই ছিল। বিটিভির সংবাদ প্রচারের এই শর্ত মেনেই স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো তাদের নিজস্ব অনুষ্ঠান ও সংবাদ প্রচার করে আসছিল। তবে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মে এই নীতিমালা শিথিল করে সংবাদ প্রচারের বাধ্যবাধকতাটি উঠিয়ে দেওয়া হয়। এখন প্রশ্ন হলো, নতুন করে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে যদি বিটিভির উল্লিখিত দুটি সংবাদ আবার প্রচার করা শুরু হয়, তাহলে কী লাভ আর কী-ই বা ক্ষতি। ফ্যাক্স বার্তা থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার, তথ্য মন্ত্রণালয় চাইছে দেশের আপামর জনগণ বিটিভির সংবাদ দেখুক। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীর এ যুগে কোনো দর্শক কিংবা পাঠককে জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া কি সম্ভব?
বর্তমানে বাংলাদেশে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা প্রায় ৩৫টি। সারা দেশে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি। আর বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ড বাদ দিয়ে আরও রয়েছে ১১টি স্যাটেলাইট চ্যানেল। সাধারণ পাঠকেরা যখন বাড়িতে একটি বা দুটি সংবাদপত্র রাখেন, তখন তা নির্বাচন করার সময় পত্রিকাটির গুণগত মানের সঙ্গে আরও যে বিষয়টি অন্যতম বিবেচ্য হিসেবে কাজ করে, তা হচ্ছে পাঠকের ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি।
টেলিভিশন চ্যানেল নির্বাচনের সময় নিজস্ব পছন্দের এই বিষয়টি অত্যন্ত জোরেশোরে কাজ করে, বিশেষ করে সংবাদ প্রচারের সময়। বলার অপেক্ষা রাখে না, আমাদের দেশের স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো যার যা আদর্শ অনুযায়ী বা কর্তার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে সংবাদ, অনুষ্ঠান ও টক শো প্রচার করে থাকে, তা যতই নিরপেক্ষতার ছদ্মাবরণে থাকুক না কেন। বিগত সরকার কিংবা বর্তমান সরকার প্রায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনায় তাঁদেরই সম্প্রচার লাইসেন্স দিয়েছে, যাঁরা তাঁদের ঘনিষ্ঠ। সে কারণে দর্শকদের মধ্যেও একটি বিভাজন লক্ষ করা যায়। যাঁরা বর্তমান সরকারের সাফল্যগাথা শুনতে বা দেখতে আগ্রহী, তাঁরা বিটিভি ছাড়াও সরকারদলীয় মতাদর্শের চ্যানেলগুলোর দিকে ঝুঁকে পড়েন। অন্যদিকে যাঁরা বিরোধীদলীয় সমর্থক, তাঁরা তাঁদের মতাদর্শের চ্যানেলগুলো টিউন করেন।
কিন্তু মুশকিল হলো বেচারা দর্শকের। তার একমাত্র ভরসা তিন-চার ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও দেড়/দুই ইঞ্চি প্রশস্ত একটি বস্তু (এসওএস), যার নাম রিমোট কন্ট্রোল। আজকাল প্রায় প্রতিটি টিভির সঙ্গে এই যন্ত্রটি থাকে। যাঁরা টিভি চ্যানেলে অনুষ্ঠান দেখে থাকেন, তাঁরা প্রায় প্রতি মুহূর্তেই তাঁদের পছন্দের অনুষ্ঠানমালা খুঁজে থাকেন এর সাহায্যে। এমনকি এই ছোট্ট যন্ত্রটির সাহায্যে আমি অনেককে দেখেছি অনুষ্ঠানের মাঝখানের বিজ্ঞাপন বিরতির সময় চ্যানেল বদলিয়ে অন্য চ্যানেলে গিয়ে কিছু একটা দেখে পুনরায় ওই চ্যানেলে ফিরে আসতে, যদি তাঁর ওই অনুষ্ঠানটি ভালো লাগে। আর যদি বিজ্ঞাপন বিরতির আগের অনুষ্ঠানটির চেয়েও পছন্দনীয় কোনো অনুষ্ঠান তিনি চ্যানেল বদলাতে গিয়ে পেয়ে যান, তাহলে হয়তো আগের অনুষ্ঠানটি দেখা অসম্পূর্ণ রেখেই নতুন খুঁজে পাওয়া অনুষ্ঠানটি দেখতে শুরু করে দেন।
বিটিভির সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রেও তা-ই। যাঁরা বিটিভির সংবাদ দেখবেন, তাঁদের চ্যানেলে চ্যানেলে প্রচার করে দেখানোর প্রয়োজন নেই। আর যাঁরা দেখবেন না, তাঁদের সব কটি চ্যানেলে একই সংবাদ প্রচার করেও দেখানো সম্ভব নয়। তবে এখানে প্রসঙ্গক্রমে এসে যায় নীতিমালার বিষয়টি। বেসরকারি টেলিভিশনের জন্য একটি নীতিমালা জরুরিভিত্তিতে প্রণয়ন করা উচিত। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিগত ১৯৯৮ ও ২০০৮ সালে যে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তা বর্তমান কারিগরি উৎকর্ষের কথা বিবেচনায় রেখে আবারও নতুন করে তৈরি করা বাঞ্ছনীয়। এ প্রসঙ্গে বিটিভির কথাও বলা যেতে পারে। কবে, কখন বিটিভির নীতিমালা তৈরি করা হয়েছিল, তা এখন বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে। তাই বিটিভির জন্য একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা করা প্রয়োজন। তথ্য মন্ত্রণালয় এই বিষয়টিও ভেবে দেখতে পারে।
তথ্য মন্ত্রণালয় যদি বিটিভির সংবাদ বাংলাদেশি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে প্রচারের নির্দেশ অব্যাহত রাখে, বিশেষ করে রাত আটটার প্রাইম টাইমে, তাহলে হাতে গোনা দু-একটি চ্যানেল বাদ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে অধিকাংশ চ্যানেল। আমি নিজে একটি চ্যানেলে প্রধান নির্বাহী থাকাকালে দেখেছি, কী প্রাণান্তকর চেষ্টা করে বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের কর্মীদের প্রাইম টাইমে এক মিনিট বিজ্ঞাপন সময় বিক্রি করতে হয় সামান্য অর্থের বিনিময়ে। এখন যদি এই প্রাইম টাইম অর্থাৎ রাত আটটা থেকে আটটা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চ্যানেল কর্তৃপক্ষের কাছে না থাকে, তাহলে অবশ্যই টিভি চ্যানেলগুলো একটি অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়বে।
যতক্ষণ দর্শককের হাতে রিমোট কন্ট্রোল আছে, ততক্ষণ কোনো কিছুই জোর করে দেখানো সম্ভব নয়। এই ছোট্ট যন্ত্রটির সাহায্যে আপনি বিশ্ব পরিভ্রমণ করতে পারেন মুহূর্তেই। তাই এখন দর্শকই ঠিক করবে, সে কী দেখবে। তাকে বাধ্য করে কোনো অনুষ্ঠান কিংবা সংবাদ দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।
পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাই, বর্তমানে একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তিগত চরম উৎকর্ষের সময় এ ধরনের সিদ্ধান্ত সত্যিই অর্থহীন। তথ্য মন্ত্রণালয় তার ফ্যাক্স বার্তায় পাঠানো বিটিভির সংবাদ সব বাংলাদেশি স্যাটেলাইট টিভিতে প্রচারের নির্দেশটি পুনর্বিবেচনার অবকাশ রাখে।
মুস্তাফিজুর রহমান: চলচ্চিত্রনির্মাতা, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মহাপরিচালক।
mustafizz_rahman@yahoo.com
No comments