টে লি ফো নে না গ রি ক ম ন্ত ব্য-গ্যাসের ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ নয়, উৎপাদন বাড়ান
প্রিয় পাঠক, আপনাদের সরাসরি মন্তব্য নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজনে এবার সিএনজি স্টেশন দিনে ছয় ঘণ্টা বন্ধ: আপনার মন্তব্য কী? প্রশ্নে টেলিফোনের মাধ্যমে মন্তব্য আহ্বান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আপনারা উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া দিয়েছেন। মন্তব্যগুলোর কিছু অংশ আজ ছাপা হলো; বাকি অংশ আগামীকাল প্রকাশিত হবে।
মো. শামসুল আলম কাগজী
ব্যবসায়ী, গোসাইরহাট, শরীয়তপুর
পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে ভাটা পড়ায় বাড়ছে মানুষ। বাড়ছে আবাসস্থল, বাড়ছে বহুতলবিশিষ্ট অ্যাপার্টমেন্ট। বাড়ছে গ্যাসচালিত মিল-ফ্যাক্টরি। বায়ুদূষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং জ্বালানি তেলের খরচ বাঁচানোর জন্য বাড়ছে সিএনজিচালিত যানের সংখ্যা। ফলে গ্যাস ও বিদ্যুৎ আমাদের জাতীয় জীবনে অপরিহার্য জ্বালানি। অপার সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন ও মিল-কারখানা সচল রেখে দেশ উন্নয়নের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র উদ্ভাবনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।
শহীদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী, বগুড়া
জ্বালানিসংকট বলে কেন শুধু গ্যাস বন্ধ রাখা হলো, এর পাশাপাশি পেট্রল-ডিজেলও বন্ধ রাখা উচিত। ছয় ঘণ্টা বন্ধের সিদ্ধান্তটা টানা ছয় ঘণ্টা না হয়ে এক ঘণ্টা পরপর ছয় ঘণ্টা বন্ধ রাখলে আমাদের অসুবিধা কম হবে।
মো. বাপ্পি, ব্যবসায়ী, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা
আমি মনে করি, এ সিদ্ধান্তের কারণে যানজট কিছুটা হলেও কমবে এবং মানুষ কর্মক্ষেত্রেও উপকৃত হবে।
মো. শয়ন
শিক্ষার্থী, মাওলানা ভাসানী বিওপ্রবি
ছয় ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকায় সিএনজিচালিত যানবাহনগুলোয় গ্যাস নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেকে বাধ্য হয়ে যানবাহনে সিলিন্ডারের সংখ্যা বাড়িয়ে গ্যাস মজুদ রাখছে। আমাদের জ্বালানিসংকটের সুষ্ঠু সমাধানের জন্য জ্বালানি অপচয় রোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ আরও জ্বালানি উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে।
শাতিল, শিক্ষার্থী
সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা
আমার মতে, এটা ভালো সিদ্ধান্ত। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়বে। রমজান মাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, এ সিদ্ধান্তের কারণে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং ছিল। ২৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখলে এর আরও উন্নতি হবে।
আবদুুর রশিদ
চাকরিজীবী, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ
গ্যাস-সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। স্বল্প সময়ের মধ্যে যদি এ সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার সিএনজি স্টেশন ছয় ঘণ্টা বন্ধ রাখে, এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। এ সিদ্ধান্ত দীর্ঘমেয়াদি হলে অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের জন্য মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।
আবদুন নূর, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ
দক্ষিণ মুরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সিএনজি স্টেশন ছয় ঘণ্টা বন্ধ রাখায় যাত্রীসাধারণের তথা সিএনজি অটোরিকশাচালকদের ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে। বহিরাগত লোকজন, যারা প্রয়োজনীয় কাজে প্রতিনিয়ত ঢাকায় যাচ্ছে এবং দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে ঢাকার বাইরে চলে আসতে চাচ্ছে, তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। সরকারের উচিত সবার স্বার্থ সংরক্ষণ করা। ছয় ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখায় বিদ্যুৎসংকুলান কতটুকু হচ্ছে, তা আমাদের জানা নেই। যদি আশানুরূপ বিদ্যুৎসংকুলান হয়ে থাকে, তাহলে ছয় ঘণ্টার স্থলে তিন ঘণ্টা বন্ধ রাখলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও এ সিদ্ধান্ত সবাই সাময়িকভাবে মেনে নিতে পারে।
মো. জুলহাস হোসেন
চাকরিজীবী, গাজীপুর
এ সিদ্ধান্তের ফলে জনগণের দুর্ভোগ বেড়েছে।
হোসাইন নজরুল হক
কবি ও অধ্যাপক, মনিরামপুর, যশোর
মাথাব্যথা হলে মাথা না কেটে চিকিৎসা করাতে হয়। গ্যাসের সংকট থাকলে স্টেশন বন্ধ না করে দৈনিক হিসাবে গ্যাস রেশনিং পদ্ধতি চালু করা যেতে পারে।
মো. রাসেদ সরকার, শিক্ষার্থী, সরকারি সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, টাঙ্গাইল
আমি মনে করি, সরকার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে, এতে পরিবহন খাতে বিরূপ প্রভাব না পড়ে।
মো. সিরাজুল ইসলাম
চাকরিজীবী, নয়া পল্টন, ঢাকা
আমি মনে করি, সরকারের এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কোনো সমাধানে আসা সম্ভব নয়। আমাদের চাহিদানুযায়ী উৎপাদন বাড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আগের সরকার কী করেছে, তা না বলে বর্তমান সরকার কী করছে, তা বলাই উচিত।
মোবারক হোসেন
শিক্ষার্থী, সাগরদীঘি, টাঙ্গাইল
সিএনজি স্টেশন যদি ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকে, তবে সাধারণ মানুষকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকারের উচিত এই সমস্যার সমাধান করা।
ফিরোজ আনোয়ার
বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী
আমি মনে করি, সিএনজি স্টেশন বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এই অযোগ্য সরকার ও অযোগ্য বিরোধী দল থেকে আর কী আশা করা যায়!
জেড ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, উত্তরা, ঢাকা
অনেক দেশে দেখেছি সিলিন্ডার ব্যবহার করতে। ব্রিটেনে আগে টাকা দিতে হবে, তারপর গ্যাস পাওয়া যাবে। আর আমাদের দেশে একটি দেশলাইয়ের কাঠি বাঁচানোর জন্য সারা দিন চুলা জ্বলে। আমি মনে করি, এভাবে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। মানুষের দুর্ভোগ বাড়াবেন না, তাহলে আবার ভোট পাবেন।
জান্নাতুল ফেরদৌস
শিক্ষার্থী, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
এতে জনগণের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
ফারুখ আহমেদ, সাংবাদিক, রাজশাহী
বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে খনিজ ও জ্বালানি উপদেষ্টা এবং মন্ত্রীদের কারণে এখন এ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। আমি মনে করি, সরকারের এ সিদ্ধান্ত সঠিক। সঙ্গে সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশাচালকদের কথাও বিবেচনা করতে হবে।
শাহরিয়ার হাসান খান
ব্যবসায়ী, গুলশান, ঢাকা
আমার মতে, এ সিদ্ধান্তের ফলে শুধু নাগরিক দুর্ভোগই বেড়েছে। বিদ্যুৎ ও রান্নার গ্যাসের অবস্থা আগের মতোই আছে। এ সিদ্ধান্ত এখনই প্রত্যাহার করা উচিত।
পার্থ সাহা
চাকরিজীবী, স্বামীবাগ, ঢাকা
সরকারের এ সিদ্ধান্তের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জনসাধারণ। সিএনজি যদি আগের পর্যায়ে চলে যায়, সে ক্ষেত্রে আমাদের যাতায়াতের জন্য সুবিধা হবে। আশা করি, সরকার বিষয়টি বিবেচনা করবে।
মিজান, ব্যবসায়ী, গাজীপুর
আমি মনে করি, সরকারের এ সিদ্ধান্ত ঠিক নয়।
ফারাহ দিবা আহমেদ
সমাজকর্মী, গৃহিণী, বেইলি রোড, ঢাকা
ছয় ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ থাকার ফলে সিএনজি স্টেশনের সামনে বিরাট লাইন। কে আগে কে পরে, তা নিয়ে ঝগড়া থেকে মারামারি পর্যন্ত গড়াচ্ছে। কখনো কখনো সিএনজি ক্রেতারা মালিকপক্ষের ওপর চড়াও হচ্ছে। এতে সবাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আমার মনে হয়, এ ক্ষেত্রে সরকার গ্যাস বন্ধের সময়সীমা কমিয়ে দিলে এই বিরূপ পরিস্থিতি কিছুটা হলেও এড়ানো সম্ভব হতো।
মনিরুল, শিক্ষার্থী, খুলনা
সিএনজি স্টেশন ছয় ঘণ্টা বন্ধ রাখা একটি খারাপ সিদ্ধান্ত। উৎপাদন না বাড়িয়ে এভাবে সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখা জনগণের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে।
রঞ্জিত চন্দ্র সূত্রধর
শিক্ষার্থী, কালিহাতী, টাঙ্গাইল
আমি মনে করি, উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে ব্যবহার কমিয়ে দেওয়া কোনো উপকারে আসবে না। এভাবে স্টেশন বন্ধ থাকায় মালিকসহ সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুতরাং এ সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে।
মো. আবদুল্লাহ মামুন
ব্যাংকার, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, উত্তরা, ঢাকা
আমরা আমাদের ব্যাংকের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সিএনজি স্টেশনকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলাম। সেখান থেকে দেখতে পাই, ছয় ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকায় স্টেশন-মালিকেরা আগের ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, এটা কমিয়ে অন্তত তিন ঘণ্টা করা হোক।
মো. ইসহাক, ব্যবসায়ী, নোয়াখালী
আমি প্রতি সপ্তাহে দু-তিনবার নোয়াখালীতে যাতায়াত করি। এ সিদ্ধান্তের কারণে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। এটা প্রত্যাহার করা উচিত।
তপন কুমার দাস, শিক্ষার্থী, বড়লেখা ডিগ্রি কলেজ, মৌলভীবাজার
আমি মনে করি, এ সিদ্ধান্ত ঠিক নয়। এতে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ছয় ঘণ্টার স্থলে দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখা উচিত।
মো. আখতারুল কাওসার
চাকরিজীবী, হবিগঞ্জ, সিলেট
দেশের বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করা যেতে পারে। আমি মনে করি, সরকারের এ সিদ্ধান্ত ঠিক আছে।
গৌর চন্দ্র সূত্রধর, চিকিৎসক
কালিহাতী, টাঙ্গাইল
সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা সবাইকে মেনে নিতে হবে। কারণ, কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হবে।
তানভীর রহমান, চাকরিজীবী
উত্তরা, ঢাকা
ছয় ঘণ্টা স্টেশন বন্ধ রাখার কারণে সিএনজি অটোরিকশাচালকেরা এখন মিটারে যান না এবং ভাড়া থেকে দু-তিন গুণ বেশি ভাড়া দাবি করছেন। প্রতিটি যানই দ্রুত চালাচ্ছেন। কারণ, সবার টার্গেট তিনটার আগে সিএনজি স্টেশনে যেতে হবে। এ জন্য দুর্ঘটনা বাড়ছে।
সফিউল আবেদীন, সাংবাদিক, কুমিল্লা
আমি এ সিদ্ধান্ত পূর্ণ সমর্থন করি। আমি মনে করি, এটা একটা ভালো উদ্যোগ। যত দিন বিদ্যুৎ-সমস্যা এ দেশ থেকে না যায়, তত দিন ছয় ঘণ্টা স্টেশন বন্ধ থাকা উচিত।
মোমেন আল ফারুক, ব্যবসায়ী
পরীবাগ, ঢাকা
আমার মতে, এটা সাধারণ মানুষের জন্য খুব খারাপ। এই যে গ্যাস বন্ধ রাখা হচ্ছে, এটা কিন্তু বিদ্যুতের পিকআওয়ারে করা হয়নি। অতএব এটা প্রত্যাহার করা উচিত।
ফরহাদ হোসেন, শিক্ষার্থী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আমার মতে, সরকারের এ সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। এতে জনগণের ভোগান্তির পাশাপাশি সরকারের প্রতি ক্ষোভ বাড়বে।
ব্যবসায়ী, গোসাইরহাট, শরীয়তপুর
পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে ভাটা পড়ায় বাড়ছে মানুষ। বাড়ছে আবাসস্থল, বাড়ছে বহুতলবিশিষ্ট অ্যাপার্টমেন্ট। বাড়ছে গ্যাসচালিত মিল-ফ্যাক্টরি। বায়ুদূষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং জ্বালানি তেলের খরচ বাঁচানোর জন্য বাড়ছে সিএনজিচালিত যানের সংখ্যা। ফলে গ্যাস ও বিদ্যুৎ আমাদের জাতীয় জীবনে অপরিহার্য জ্বালানি। অপার সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন ও মিল-কারখানা সচল রেখে দেশ উন্নয়নের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র উদ্ভাবনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।
শহীদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী, বগুড়া
জ্বালানিসংকট বলে কেন শুধু গ্যাস বন্ধ রাখা হলো, এর পাশাপাশি পেট্রল-ডিজেলও বন্ধ রাখা উচিত। ছয় ঘণ্টা বন্ধের সিদ্ধান্তটা টানা ছয় ঘণ্টা না হয়ে এক ঘণ্টা পরপর ছয় ঘণ্টা বন্ধ রাখলে আমাদের অসুবিধা কম হবে।
মো. বাপ্পি, ব্যবসায়ী, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা
আমি মনে করি, এ সিদ্ধান্তের কারণে যানজট কিছুটা হলেও কমবে এবং মানুষ কর্মক্ষেত্রেও উপকৃত হবে।
মো. শয়ন
শিক্ষার্থী, মাওলানা ভাসানী বিওপ্রবি
ছয় ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকায় সিএনজিচালিত যানবাহনগুলোয় গ্যাস নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেকে বাধ্য হয়ে যানবাহনে সিলিন্ডারের সংখ্যা বাড়িয়ে গ্যাস মজুদ রাখছে। আমাদের জ্বালানিসংকটের সুষ্ঠু সমাধানের জন্য জ্বালানি অপচয় রোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ আরও জ্বালানি উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে।
শাতিল, শিক্ষার্থী
সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা
আমার মতে, এটা ভালো সিদ্ধান্ত। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়বে। রমজান মাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, এ সিদ্ধান্তের কারণে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং ছিল। ২৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখলে এর আরও উন্নতি হবে।
আবদুুর রশিদ
চাকরিজীবী, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ
গ্যাস-সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। স্বল্প সময়ের মধ্যে যদি এ সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার সিএনজি স্টেশন ছয় ঘণ্টা বন্ধ রাখে, এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। এ সিদ্ধান্ত দীর্ঘমেয়াদি হলে অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের জন্য মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।
আবদুন নূর, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ
দক্ষিণ মুরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সিএনজি স্টেশন ছয় ঘণ্টা বন্ধ রাখায় যাত্রীসাধারণের তথা সিএনজি অটোরিকশাচালকদের ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে। বহিরাগত লোকজন, যারা প্রয়োজনীয় কাজে প্রতিনিয়ত ঢাকায় যাচ্ছে এবং দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে ঢাকার বাইরে চলে আসতে চাচ্ছে, তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। সরকারের উচিত সবার স্বার্থ সংরক্ষণ করা। ছয় ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখায় বিদ্যুৎসংকুলান কতটুকু হচ্ছে, তা আমাদের জানা নেই। যদি আশানুরূপ বিদ্যুৎসংকুলান হয়ে থাকে, তাহলে ছয় ঘণ্টার স্থলে তিন ঘণ্টা বন্ধ রাখলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও এ সিদ্ধান্ত সবাই সাময়িকভাবে মেনে নিতে পারে।
মো. জুলহাস হোসেন
চাকরিজীবী, গাজীপুর
এ সিদ্ধান্তের ফলে জনগণের দুর্ভোগ বেড়েছে।
হোসাইন নজরুল হক
কবি ও অধ্যাপক, মনিরামপুর, যশোর
মাথাব্যথা হলে মাথা না কেটে চিকিৎসা করাতে হয়। গ্যাসের সংকট থাকলে স্টেশন বন্ধ না করে দৈনিক হিসাবে গ্যাস রেশনিং পদ্ধতি চালু করা যেতে পারে।
মো. রাসেদ সরকার, শিক্ষার্থী, সরকারি সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, টাঙ্গাইল
আমি মনে করি, সরকার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে, এতে পরিবহন খাতে বিরূপ প্রভাব না পড়ে।
মো. সিরাজুল ইসলাম
চাকরিজীবী, নয়া পল্টন, ঢাকা
আমি মনে করি, সরকারের এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কোনো সমাধানে আসা সম্ভব নয়। আমাদের চাহিদানুযায়ী উৎপাদন বাড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আগের সরকার কী করেছে, তা না বলে বর্তমান সরকার কী করছে, তা বলাই উচিত।
মোবারক হোসেন
শিক্ষার্থী, সাগরদীঘি, টাঙ্গাইল
সিএনজি স্টেশন যদি ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকে, তবে সাধারণ মানুষকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকারের উচিত এই সমস্যার সমাধান করা।
ফিরোজ আনোয়ার
বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী
আমি মনে করি, সিএনজি স্টেশন বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এই অযোগ্য সরকার ও অযোগ্য বিরোধী দল থেকে আর কী আশা করা যায়!
জেড ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, উত্তরা, ঢাকা
অনেক দেশে দেখেছি সিলিন্ডার ব্যবহার করতে। ব্রিটেনে আগে টাকা দিতে হবে, তারপর গ্যাস পাওয়া যাবে। আর আমাদের দেশে একটি দেশলাইয়ের কাঠি বাঁচানোর জন্য সারা দিন চুলা জ্বলে। আমি মনে করি, এভাবে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। মানুষের দুর্ভোগ বাড়াবেন না, তাহলে আবার ভোট পাবেন।
জান্নাতুল ফেরদৌস
শিক্ষার্থী, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
এতে জনগণের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
ফারুখ আহমেদ, সাংবাদিক, রাজশাহী
বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে খনিজ ও জ্বালানি উপদেষ্টা এবং মন্ত্রীদের কারণে এখন এ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। আমি মনে করি, সরকারের এ সিদ্ধান্ত সঠিক। সঙ্গে সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশাচালকদের কথাও বিবেচনা করতে হবে।
শাহরিয়ার হাসান খান
ব্যবসায়ী, গুলশান, ঢাকা
আমার মতে, এ সিদ্ধান্তের ফলে শুধু নাগরিক দুর্ভোগই বেড়েছে। বিদ্যুৎ ও রান্নার গ্যাসের অবস্থা আগের মতোই আছে। এ সিদ্ধান্ত এখনই প্রত্যাহার করা উচিত।
পার্থ সাহা
চাকরিজীবী, স্বামীবাগ, ঢাকা
সরকারের এ সিদ্ধান্তের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জনসাধারণ। সিএনজি যদি আগের পর্যায়ে চলে যায়, সে ক্ষেত্রে আমাদের যাতায়াতের জন্য সুবিধা হবে। আশা করি, সরকার বিষয়টি বিবেচনা করবে।
মিজান, ব্যবসায়ী, গাজীপুর
আমি মনে করি, সরকারের এ সিদ্ধান্ত ঠিক নয়।
ফারাহ দিবা আহমেদ
সমাজকর্মী, গৃহিণী, বেইলি রোড, ঢাকা
ছয় ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ থাকার ফলে সিএনজি স্টেশনের সামনে বিরাট লাইন। কে আগে কে পরে, তা নিয়ে ঝগড়া থেকে মারামারি পর্যন্ত গড়াচ্ছে। কখনো কখনো সিএনজি ক্রেতারা মালিকপক্ষের ওপর চড়াও হচ্ছে। এতে সবাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আমার মনে হয়, এ ক্ষেত্রে সরকার গ্যাস বন্ধের সময়সীমা কমিয়ে দিলে এই বিরূপ পরিস্থিতি কিছুটা হলেও এড়ানো সম্ভব হতো।
মনিরুল, শিক্ষার্থী, খুলনা
সিএনজি স্টেশন ছয় ঘণ্টা বন্ধ রাখা একটি খারাপ সিদ্ধান্ত। উৎপাদন না বাড়িয়ে এভাবে সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখা জনগণের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে।
রঞ্জিত চন্দ্র সূত্রধর
শিক্ষার্থী, কালিহাতী, টাঙ্গাইল
আমি মনে করি, উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে ব্যবহার কমিয়ে দেওয়া কোনো উপকারে আসবে না। এভাবে স্টেশন বন্ধ থাকায় মালিকসহ সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুতরাং এ সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে।
মো. আবদুল্লাহ মামুন
ব্যাংকার, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, উত্তরা, ঢাকা
আমরা আমাদের ব্যাংকের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সিএনজি স্টেশনকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলাম। সেখান থেকে দেখতে পাই, ছয় ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকায় স্টেশন-মালিকেরা আগের ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, এটা কমিয়ে অন্তত তিন ঘণ্টা করা হোক।
মো. ইসহাক, ব্যবসায়ী, নোয়াখালী
আমি প্রতি সপ্তাহে দু-তিনবার নোয়াখালীতে যাতায়াত করি। এ সিদ্ধান্তের কারণে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। এটা প্রত্যাহার করা উচিত।
তপন কুমার দাস, শিক্ষার্থী, বড়লেখা ডিগ্রি কলেজ, মৌলভীবাজার
আমি মনে করি, এ সিদ্ধান্ত ঠিক নয়। এতে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ছয় ঘণ্টার স্থলে দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখা উচিত।
মো. আখতারুল কাওসার
চাকরিজীবী, হবিগঞ্জ, সিলেট
দেশের বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করা যেতে পারে। আমি মনে করি, সরকারের এ সিদ্ধান্ত ঠিক আছে।
গৌর চন্দ্র সূত্রধর, চিকিৎসক
কালিহাতী, টাঙ্গাইল
সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা সবাইকে মেনে নিতে হবে। কারণ, কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হবে।
তানভীর রহমান, চাকরিজীবী
উত্তরা, ঢাকা
ছয় ঘণ্টা স্টেশন বন্ধ রাখার কারণে সিএনজি অটোরিকশাচালকেরা এখন মিটারে যান না এবং ভাড়া থেকে দু-তিন গুণ বেশি ভাড়া দাবি করছেন। প্রতিটি যানই দ্রুত চালাচ্ছেন। কারণ, সবার টার্গেট তিনটার আগে সিএনজি স্টেশনে যেতে হবে। এ জন্য দুর্ঘটনা বাড়ছে।
সফিউল আবেদীন, সাংবাদিক, কুমিল্লা
আমি এ সিদ্ধান্ত পূর্ণ সমর্থন করি। আমি মনে করি, এটা একটা ভালো উদ্যোগ। যত দিন বিদ্যুৎ-সমস্যা এ দেশ থেকে না যায়, তত দিন ছয় ঘণ্টা স্টেশন বন্ধ থাকা উচিত।
মোমেন আল ফারুক, ব্যবসায়ী
পরীবাগ, ঢাকা
আমার মতে, এটা সাধারণ মানুষের জন্য খুব খারাপ। এই যে গ্যাস বন্ধ রাখা হচ্ছে, এটা কিন্তু বিদ্যুতের পিকআওয়ারে করা হয়নি। অতএব এটা প্রত্যাহার করা উচিত।
ফরহাদ হোসেন, শিক্ষার্থী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আমার মতে, সরকারের এ সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। এতে জনগণের ভোগান্তির পাশাপাশি সরকারের প্রতি ক্ষোভ বাড়বে।
No comments